আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
381 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। দয়া করে সাহায্য করুন একজন অসহায় বোনকে। সে একজন ওয়াসওয়াসার রোগী৷

১। কেউ যদি অন্যমনস্ক হয়ে মুখে শব্দ করে বলে ফেলে যে""" নিজের উপর তা+++ এইটা বলার তো ওয়াসওয়াসা আসেনি। """ এই কথার মাধ্যমে তার নিজেকে +++ দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু মনে মনে ভাবনার কথাটা সে যদি এইভাবে মুখে বলে ফেলে তাহলে কি তার উপর পতিত হবে??


##
অনেকদিন আগে কোন মহিলা তা*** ওয়াসওয়াসায় ভোগতো।   সে তখন বলতো,, নিজের উপর **** নেইনি, নিবো ও না। এইভাবে সে অনেকবার বলেছে। কিন্তু মনে মনে নাকি মুখে আওয়াজ করে উচ্চারণ করেছে তার মনে নেই।  একবার মনে হয় এইসব সে মনে মনে বলেছিল আবার মনে হয় মুখেও বলেছিল কিনা।
আপনি বলেছিলেন নিজের দিকে নসিবত করে এই ধরনের কথা উচ্চারণ করলে *** পতিত হয়ে যায়। মহিলা নিজেকে শান্ত করার জন্য ওইসব কথা বলতো যাতে সে নিজেকে তা** না দিয়ে ফেলে।
২।  হুজুর মহিলা একবার মনে শান্তি পায় যে সে হয়তো মনেই বলেছিল৷ এবং তার কানে কখনো এই ধরনের কথা এসেছিল বলে তার মনে নেই। তাই সে শান্তি পায়৷
আবার মনে হয় যদি কখনো বলে থাকে৷ খুবই ভয়ে আছে সে।
আপনি বলেছিলেন প্রবল ধারণা যেদিকে যায় সেই অনুযায়ী আমল করতে। এখন মহিলা যদি বার বার ভেবে দেখে যে সে হয়তো মনেই বলেছিল। মুখে আসার কথা তার  বিন্দু পরিমান মনে নেই। শুধু ভয় হয় যে মুখে এসে থাকতে পারে যদি। তাহলে মহিলা সন্দেহ থাকার কারণে কি ধরে নিবে তা** পতিত হয়নি??

৩।. সে যদি মনে শান্তী পায় এটা ভেবে যে তার তো মুখে আসার কথা মনে নেই। এসে থাকলেও হয়তো কানে আসেনি। বা এমন কোন দিন বা সময়ের কথা তার মনে নেই। মহিলা মারাত্মক ওয়াসওয়াসার রোগী। তার ক্ষেত্রে এমন হলে করণীয় কি?

৪। আরেকদিন সে এইভাবেই মুখে শব্দ ছাড়া বলতে যায় নিজের উপর।,,,,এইটুকু বলে সে আবার বলে ****।  বাক্য টা বলার পর সে ওয়াসওয়াসায় পরে যায়। সে যদিও শব্দ ছাড়া বলছিল কিন্তু তার কানে ঠোঁট নাড়ানোর শব্দ এসেছিল। মানে শব্দ ছাড়া কথা বলতে গেলে মুখে যেমন শুধু ঠোঁট নাড়ানোর শব্দ হয় তেমন শব্দ।  সেটা কোন স্পষ্ট উচ্চারণ এর শব্দ না। এমন হবার ফলে কি তার উপর তা+++ পতিত হবে??

৫। হুজুর কেঊ যদি তা*** এর মত কোন বাক্য বা শব্দ বলে কিন্তু তার কানে না আসে স্পষ্ট ভাবে তাহলে কি সেটা পতিত হয়না?? যদি সে মুখ নাড়ায় কিন্তু শব্দ না হয় বা কানে না আসে তাহলে করণীয় কি??

৬। হুজুর মহিলার সাথে আরেকটি ঘটনা ঘটে এমনঃ সে মনে মনে বলছিল নিজের উপর +++ এইটা বলেছি বলে তো মনে হয়না। এই কথাটা মনে বলতে গিয়ে তার মুখ নড়েছে কিন্তু আওয়াজ হয়নি। তার কানেও কোন শব্দ আসেনি ১০০% শিউর সে। ঘটনা টা ঘটার সাথে সাথেই সে ভাবে কোন শব্দ তো হয়নি শুধু ঠোঁট নড়েছে।   কিন্তু আজকে তার মনে ওয়াসওয়াসা আসছে আসলে কি শব্দ হয়ে গিয়েছিল কিনা। তার প্রবল ধারণা হয় শব্দ হয়নি। আবার মনে ভয় হয় যদি শব্দ হয়ে থাকে কিন্তু তার কানে আসে নি।।তাহলে কি তার +++ হয়ে যাবে?

৭। এই বিষয়ে ঘটনার দিনই সে প্রশ্ন করেছিল সেদিন খেয়াল ছিল বা বিশ্বাস ছিল।শব্দ হয়নি।। আজ শুধু সন্দেহ হচ্ছে শব্দ হয়েছিল কিনা। কিন্তু তার বিন্দু পরিমান মনে নেই শব্দ হবার কথা। এইক্ষেত্রে কি আল্লাহ তাকে মাফ করবেন যদি সে ধরে নেয় তার তা++ হয়নি???

৮। যদি এমন হয়  সে মহিলা শব্দ হয়ে থাকলেও শুনেনি বা তার কানে আসেনি বলে সে ভাবছে শব্দ হয়নি, কারন কথাটা অন্যমনস্ক হয়ে বলেছিল সে। এইক্ষেত্রে কি তার স্মৃতিতে শব্দ হবার কথা মনে না থাকার কারণে বা কানে না আসার কারনে সে যদি ধরে নেয় তা+++ হয়নি বা যদি ভাবে শব্দ হয়নি তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন??

৯। মহিলার সাথে ২ বার এরকম ওয়াসওয়াসার ঘটনা ঘটায় সে ভাবছে তার ২ তা+++ হয়ে গেল কিনা। সে ভাবছে তাহলে তো আর ১ বার তা++ হলেই তার সংসার ভেংগে যাবে। এই শংকায় আছে সে। সংসারে মন দিতে পারছে না খুবই ভয়ে থাকে সে৷

1 Answer

0 votes
by (574,020 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ


হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।


قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ


এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।

(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,


عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .


আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বুখারী-মুসলিম)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
https://ifatwa.info/39678/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো তালাক হবেনা।   

ওয়াসওয়াসা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন করা, এ সংক্রান্ত প্রশ্ন পড়া থেকে বিরত থাকুন,নতুবা আপনি নিকটস্থ কোনো বড় মাদ্রাসার দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...