আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
822 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম, 

 

আজকে খুবই জটিল বিষয় মাসালা নেওয়ার জন্য আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছি । আমি আর আমার স্ত্রীর সাথে বিয়ে করি ২০১৮ সালে । তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর বয়স। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া মাশাল্লাহ ভালো । কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক সময়ে অনেক ঝগড়া লাগে । উল্লেখ এইযে আমার মধ্যে একটি সমস্যা রয়েছে যে আমি আমার রাগ সহজে আয়াত্তে আনতে পারি না । এর জন্য আমি আগেও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ (psychologist) দেখাই । এখনও দেখাচ্ছি। আমার সাথে আমার স্ত্রীর যখন ঝগড়া হয় তখন অনেক সময় অনেক কথা বলা হয় (যেমনঃ আমাকে ভালো না লাগলে থাইকো না, বাবা মা এর কথা এত শুনতে হলে তাদের সাথেই থাক, তোকে ছেড়ে দিব ইত্যাদি কথা । এখান এ উল্লেখ এইযে আমাদের প্রত্যেকটা ঝগড়া ফোন এ থাকা অবস্থায় লাগে । আমার কাজের উদ্দেশ্যে  কয়েকদিন এর জন্য আমাকে তার থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। এর কারণ এ ফোন এ জোতটা ঝগড়া লাগে সামনে থাকলে  তা লাগে না। হয়ত ফোন এ আমাদের বোঝাপড়া হয়ে উঠতে পারে না। আমি কি বুঝাতে চাই সে বুঝে না সে কি বুঝাতে চায় আমি বুঝি না যেটা  সামনে থাকলে বুঝা সহজ। 

 

মূল ঘটনা এখন শুরু করতে চাচ্ছি, আল্লাহর কসম দিয়ে বলতেসি এখন আমি কোন প্রকার মিথ্যা কথা বলব না । বৃহস্পতিবার আমার এর আমার স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লাগে । সেদিন এর মত সমস্যা না হলে ও ঠিক পরের দিন মানে শুক্রবার একটি ঝামেলা হয় । ঝগড়ার এক ফাঁকে আমি তাকে একটি খারাপ গালি দেই যার জন্য সে আমার কাছে তালাক চায় । আমি বলি যে তুমি যদি এখন থেকে এক মিনিট এর মধ্যে ফোন রেখে দাও তাহলে আমাদের সব তালাক হয়ে যাবে (আমার মনে এই বিশ্বাস ছিল যে সে ফোন কাটবে না।) । উল্লেখ্য এইযে তখন যে ফোনটি রাখে না । কিন্তু ঝগড়া যখন বাড়তে থাকে তখন সে আবার তালাক চায় আমি তখন তাকে নিম্ন লিখিত ২ টা কথার মধ্যে একটি বলি (আমার সঠিক মনে নেই আমি কোনটি বলেছি ওই মুহূর্তে),

 

১। তুমি যদি এখন থেকে এক মিনিট এর মধ্যে ফোন রেখে দাও তাহলে আমাদের সব তালাক হয়ে যাবে। 

 

অথবা 

 

২। তুমি যদি এক মিনিট এর মধ্যে ফোন রেখে দাও তাহলে আমাদের সব তালাক হয়ে যাবে। ( আমার স্ত্রীর মতে আমি এই কথাটি বলেছি )

 

আমার এই কথার পর সে কষ্টে ফোনটি কেটে দেয় । এখান এ উল্লেখ্য ও এইযে আমার মনে এই বিশ্বাস ছিল যে সে ফোন কাটবে না আমার তাকে তালাক দাও এর কোন ইচ্ছা ছিল না । এখান এ একটি গুরুত্ব পূর্ণ কথা হচ্ছে সে যখন ফোন রাখে তখন আমাদের মোট কথা হয়েছিল দেখাচ্ছে  ১ মিনিট ৩১ সেকেন্ড । কিন্তু সে আমার এই শর্ত শুনার পর ফোনটি রাখে । তার মানে আমার এই শর্ত শুনার পর পর সে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ফোন কেটে দেয় কিন্তু যখন সে কাটে তখন আমাদের মোট কথা হয়েছে তার সাথে ঝগড়া মিলে ১  মিনিট ৩১ সেকেন্ড।মূলত ঝগড়ার পর পরই শর্ত টি দাওয়া হয়। 

 

আমি আমার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসি এবং সে ও আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি ছাড়া আমার স্ত্রী আর  কাউকে তার স্বামী হিসেবে নিতে পারবে না । তার আমি ছাড়া এখন তাকে দেখার মত কেউ নেই । আমার হক আদায় আর জন্য সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করার পর ও কোন চাকরি করেনি। আমরা কেউ ই চাই না এভাবে আমাদের শেষ হয়ে যাক। আমার মহান আল্লাহ তায়ালার উপর বিশ্বাস আছে তিনি আমাকে আর আমার স্ত্রীকে একটি ভুলের জন্য এভাবে আলাদা হতে দিবেন না । বাকিটা আমি আল্লাহ র উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আজকে আমার স্ত্রী না থাকলে আমি জেনার মুখে পরে যাব। 

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক এটি খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

হেদায়া ২/৩৮৭) গ্রন্থে আছেঃ 
: (387/2، ط: رحمانیہ)
فالصریح قوله انت طالق ومطلقۃ وطلقتک فهذا يقع الطلاق الرجعي ولا یفتقر الى النيۃ ولا يقع به الا واحدۃ وان نوی اكثر من ذلك۔
সারমর্মঃ 
স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়।
এক্ষেত্রে নিয়তের দিকে মুহতাজ হতে হবেনা।
এক্ষেত্রে একের বেশির নিয়ত করলেও এক তালাকই পতিত হবে।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সেই শর্ত শোনার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে সে ফোন রেখেছে।
তার মানে এটি যেহেতু শর্ত দেওয়ার এক মিনিটের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে,সুতরাং স্ত্রী এখানে শর্ত ভঙ্গ করে ফেলেছে। 

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্ত্রীর উপর এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে। 
আপনি তার ইদ্দত চালাকালিন সময়ের মধ্যেই তাকে মৌখিক ভাবে 'ফিরিয়ে নিলাম' বললেই ফিরিয়ে নেওয়া হয়ে যাবে।
অথবা তার সাথে স্বামী সুলভ আচরণ করলেও ফিরিয়ে নেয়া হবে। 

ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর ফিরিয়ে নিতে চাইলে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।     

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

وشرط الحنث في قولہ إن خرجت مثلاً فأنت طالق أو إن ضربت عبدک فعبدي حر لمرید الخروج والضرب فعلیہ فورًا؛ لأن قصدہ المنع عن ذٰلک الفعل عرفًا ومدار الأیمان علیہ، وہٰذہ تسمی یمین الفور۔ (درمختار، الأیمان / باب الیمین في الدخول والخروج والسکنیٰ، مطلب في یمین الفور ۵؍۵۵۳-۵۵۴ زکریا، ۳؍۷۶۱-۷۶۲ دار الفکر بیروت، وکذا في البحر الرائق / باب الیمین في الدخول ۴؍۳۱۵ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি বলে তুমি যদি বের হও,,তাহলে তুমি তালাক, অথবা তুমি যদি তোমার গোলামকে প্রহার করো,তাহলে আমার গোলাম আযাদ,তাহলে এটির বিধান তাৎক্ষনিক হবে।
কেননা তার উদ্দেশ্য ছিলো ঐ কাজ থেকে সেই সময়েই বিরত রাখা,( সারাজীবন এর জন্য নয়)

আরো জানুনঃ 

★★উল্লেখ্য, এখানে আপনি যদি "সব তালাক" বলতে তিন তালাকের নিয়ত করে সেই উদ্দেশ্যেই এটি বলেন,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তিন তালাক পতিত হবে।
সেই ছুরতে উক্ত স্ত্রী আপনার জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যাবে।
শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত তাকে নিয়ে ঘর সংসার করার কোনো সুযোগ নেই।           


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
 তুমি যদি এক মিনিট এর মধ্যে ফোন রেখে দাও তাহলে আমাদের সব তালাক হয়ে যাবে। 
আমি কিন্তু এই শব্দে সব কথাটি উল্লেখ করেছি। কিন্তু আমার মনে বিশ্বাস ছিল ওই ফোন টি কাটবে না । এখন কি আমাদের ৩ তালাক হয়ে গেছে নাকি ১ তালাক যেটাকে ফিরানো যায় ।  
by (559,530 points)
সব বলে কি তালাকের মোট সংখ্যা ৩ উদ্দেশ্য ছিলো??? 
by (3 points)
হুযুর আমরা কি এটা  নিয়া সরাসরি কথা বলতে পারি ফোন এ তাহলে ভালো মতো বুঝাতে পারতাম ?
01799328908 এটা আমার নাম্বার । 

by (559,530 points)
নাকি এখানে "আমাদের মাঝের সব সম্পর্ক তালাক হবে"  
এটি উদ্দেশ্য ছিলো? 
by (8 points)
আমার মনে হয় আপনি যদি সব  তালাক হয়ে যাবে মানে তিন তালাক এর উদ্দেশ্যে বলেন তাহলে তিন তালাক হয়ে যাবে। সব বলতে আপনি নিশ্চই জানেন যে তালাক তিনটি।আপনার নিয়ত অনুযায়ী হবে সব বলতে আপনি নিশ্চই তিন তালাক এর উদ্দেশ্যে বলেছেন।  সব কথাটা বলার দরকার ছিল না । আপনি বড়ো কোনো মাদ্রাসার সাথে যোগাযোগ করুন,,, আল্লাহ ভালো জানেন,,আমিও এই সমস্যায় ভুগছি 
by (8 points)
আমিও তিন তালাক এর সমস্যায় ভুক্তভুগী 1 বছর ধরে পাগলের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছি।যদি কিছু উপায় পাওয়া যায়।কিন্তু কোনো উপায় নেই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার।কারণ আপনি যে হালালা করবেন এটিও প্ল্যান করে করা যাবে না।একদল বলছে হালালা হারাম আর একদল বলছে সংসার ফিরিয়ে দেবার উদ্দেশ্যে করলে এতে সোয়াব পাওয়া যাবে।একদল বলছে হালাল করার নিয়তে বিয়ে করলে সেই বিয়ে বাতিল কিন্তু একদল বলছে নিয়ত এই বিয়েতে প্রভাব পড়বে না।একদল বলছে যদি তিন তালাক বলা হয় তাহলে তিন তালাকই হয়ে যাবে আর একদল বলছে একসাথে তিন বললে 1 তালাক হবে তবে উভয় পক্ষের কাছেই দলিল আছে আপনাকে দলিল ছাড়া কেউ কথা বলবে না।তালাক এর সমস্যা কিয়ামত পর্যন্ত মিটবে না।আসলে তালাক আর হালালার স্পষ্ট দলিল বা চূড়ান্ত কোনো দলিল নেই যার জন্য এই সমস্যা। যদি এমন কোনো হাদিস থাকতো যে ভুল করে তিন তালাক হয়ে গেলে তারপর সেই স্ত্রী যদি রাজি থাকে অন্যজনকে বিয়ে করতে হালাল হবার উদ্দেশ্যে আর যদি কেউ রাজি থাকে  হালাল করে দেবার উদ্দেশ্যে বিয়ে করার জন্য কাউকে জোড় করে চাপ দিয়ে নয় শুধুমাত্র উপকার করতে তাহলে  কোনরকম গুনহা হবে না।এমন কোনো হাদিস নেই।তিন তালাক হয়ে গেলে আপনি সঠিক উত্তর পাবেন না যদি ওই স্ত্রীকে পুনরায় নিতে চান।তবে একটাই উপায় ওই স্ত্রীকে সেচ্ছাই অন্যজনকে বিয়ে করতে হবে তারপর সেই নতুন স্বামী যদি বুঝতে পারে ওই স্ত্রীর মনের কষ্ট আর সেটা বুঝে যদি ওই নতুন স্বামী ওই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেই তাহলেই ইদ্দত শেষে প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে। 1বছর ধরে আমি শুধু কাঁদছি আর আমার স্ত্রীকে বোঝাচ্ছি তুমি অন্য জায়গায় বিয়ে করে নাও যদি কোনোদিন সেই স্বামী তোমাকে তালাক দিয়ে দেই তারপর আমি বিয়ে করে নোবো আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো সারাজীবন।
by (8 points)
স্পষ্ট দলিল নিশ্চয়ই ছিল কিন্তু হয়তো সেই হাদিস আমাদের কাছে পৌঁছায়নি কোনো কারণে জার জন্য এত সমস্যা।আপনি জানেন কেউ কেউ বলছে যদি আপনার স্ত্রীর মনে মনে এই নিয়ত করে যে অন্যজনকে বিয়ে করার পর সহবাস হয়ে গেলে তার কাছে তালাক চেয়ে নব এরকম উদ্দেশ্য করলেও সেই বিয়ে বাতিল।আর এই নিয়তের কারণে ওই স্ত্রী প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে না।
by (8 points)
আজ আমরা যদি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে থাকতাম তাহলে এই সমস্যার সমাধান করতে পারতাম।নবীজীর কাছে আমাদের এই সমস্যার কথা জানাতাম। যায় হোক আমি খুব সাধারণ মানুষ আমি নিজে এই সমস্যা নিয়ে ভুগছি আমি এই এক বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে এই কথা গুলো বলেছি যে কথা গুলো বলেছি যদি ভুল বলে থাকি ক্ষমা করে দিবেন।আর হ্যাঁ তালাক দাতাকে বলছি খুব বড়ো মাদ্রাসায় যোগাযোগ করুন আর খুব সাবধানে কাজ করবেন সারাজীবনের ব্যাপার জান্নাত জাহান্নামের ব্যাপার যেটাই করবেন ভালো বুঝে করবেন।তবে তালাক বিষয় নিয়ে প্রত্যেকটা গ্রামে গ্রামে প্রত্যেক মাসে মাসে অন্তত একটি করে আলোচনা সভা বসানো উচিত যেখানে তালাক নিয়ে মানুষকে বোঝানো যাবে।প্রত্যেকটা মানুষের বিয়ে করার আগে তালাক এর মশলা জানা উচিত।যতদিন না মানুষকে বোঝানো সম্ভব হবে ততদিন এই সমস্যা হতে থাকবে
by (8 points)
তবে আর একটা বিষয় ওই 1মিনিট যেটা বলেছেন ওটা আপনাকে হিসাব করতে হবে আর আপনার নিয়ত সব কথার দ্বারা কী আপনি তিন তালাক এর উদ্দেশ্যে বলেছেন এটা আপনাকে খুব ভালো ভাবে মনে করতে হবে আপনার প্রশ্নের উত্তর ওই 1 মিনিট এর মধ্যে আর আপনার নিয়তের মধ্যে লুকিয়ে আছে। আল্লাহ ভালো জানেন 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...