ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/15931/
নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
সুরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ
তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
شَهۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡهِ الۡقُرۡاٰنُ هُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡهُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَهِدَ مِنۡکُمُ الشَّهۡرَ فَلۡیَصُمۡهُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰهُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾
রমযান মাস, যাতে
কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী
ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ
হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ
চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত
দিয়েছেন, তার
জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ছাবেত বুনানী রাহ. বলেন, আনাস ইবনে মালেক রা. যখন বার্ধক্যের কারণে
রোযা রাখতে সক্ষম ছিলেন না তখন তিনি রোযা না রেখে (ফিদয়া) খাবার দান করতেন।-মুসান্নাফে
আবদুর রাযযযাক, হাদীস
: ৭৫৭০
,
ইকরিমা রাহ. বলেন, ‘‘আমার মা প্রচন্ড তৃষ্ণা-রোগে আক্রান্ত ছিলেন
এবং রোযা রাখতে সক্ষম ছিলেন না। তাঁর সম্পর্কে আমি তাউস রাহ.কে জিজ্ঞাসা করলাম।
তিনি বললেন, ‘প্রতি
দিনের পরিবর্তে মিসকীনকে এক মুদ (বর্তমান হিসাবে পৌনে দুই কেজি) পরিমাণ গম প্রদান
করবে’।’’-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৫৮১
এক রোযার পরিবর্তে এক ফিদয়া ফরয হয়।
এক ফিদয়া হল, কোনো
মিসকীনকে দু বেলা পেট ভরে খানা খাওয়ানো অথবা এর মূল্য
প্রদান করা।
হযরত সায়ীদ ইবনে মুসাইয়্যিব রাহ. বলেন-
وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ
এই আয়াত রোযা রাখতে অক্ষম বৃদ্ধের জন্য
প্রযোজ্য।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস
: ৭৫৮৫; আলমুহীতুল
বুরহানী ৩/৩৬৯; আদ্দুররুল
মুখতার ২/৪২৬
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/14504/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১.
আপনি যদি রোজা রাখতে সক্ষম হন তাহলে এখন আপনাকে বিগত রোজাগুলো কাযা আদায় করে দিতে
হবে। সুতরাং রোজা রাখতে সক্ষম অবস্থায় ফিদিয়া আদায় করলে হবে না। আর যদি আপনার অবস্থা এমন হয় যে কোনো
অভিজ্ঞ দ্বীনদার ডাক্তার আপনার সম্পর্কে বলে
যে এই অবস্থায় রোযা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। রোগ বৃদ্ধি পাবে বা রোগ-ভোগ
দীর্ঘ হওয়ার প্রবল আশঙ্কা আছে। তাহলে আপনি বিগত
রোজাগুলোর ফিদিয়া আদায় করে দিতে পারবেন।
২. বর্তমান সময়ে একটা
ফিদিয়ার সর্ব নিম্ন হলো ৭৫ টাকার মত। আর যারা যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তি তাদেরকে
উক্ত ফিদিয়া দিতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/41445/
৩. কোনো নির্ভরযোগ্য
ফাউন্ডেশন সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে যে, তাদেরকে দিলে তারা নিশ্চিত তার
হকদারের কাছে পৌছে দিবে। তাহলে তাদেরকে দেওয়া যাবে, অন্যথায় নয়।
উল্লেখ্য যে, অনেক
ফাউন্ডেশন আছে যে, যারা যাকাতের টাকা গ্রহণ করার পর তার হকদারদের কাছে ঠিকমত পৌছে
দেয় না। তাই এমন ফাউন্ডেশনে দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।