ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
নামাজের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার
জন্য নিম্নোল্লিখিত শর্তগুলো বিদ্যমান থাকা আবশ্যক—
১. পুরুষ হওয়া।
২. মুসলমান হওয়া।
৩. বালেগ হওয়া।
৪. বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া।
৫. নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার
জন্য প্রয়োজনীয় কিরাত পড়তে সক্ষম হওয়া।
৬. নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার
যতগুলো শর্ত আছে, তার মধ্য থেকে যদি শুধু একটি শর্তও পাওয়া না যায়, তাহলে তার ইমামতি শুদ্ধ হবে না। নামাজ সহিহ হওয়ার শর্ত যেমন—পবিত্রতা, সতর ঢাকা ইত্যাদি। আর যার নামাজই হবে না, তার ইমামতির
প্রশ্নই আসে না।
৭. ওজর তথা যাবতীয়
অপারগতামুক্ত হওয়া। যেমন—নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া, প্রস্রাব ঝরা, সর্বক্ষণ বায়ু নির্গত হওয়া ইত্যাদি। (বাদায়ে : ২/৫৪)
৮. শব্দের সঠিক উচ্চারণে
সক্ষম হওয়া। যে ব্যক্তি ‘রা’ বলতে ‘গাইন’, ‘হা’ বলতে ‘খা’ উচ্চারণ করে, এরূপ লোকের ইমামতি শুদ্ধ হবে না।
আরো জানুন- https://ifatwa.info/40913/?show=40926#a40926
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. হ্যাঁ, নামাজের
ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য উপরে উল্লেখিত শর্তগুলো যদি তার
মধ্যে বিদ্যমান থাকে তাহলে তার পিছনে নামাজ হবে। এতে কোনো সমস্যা
নেই।
২. তবে ইমাম সাহেবের যদি মানুষের
সাথে লেনেদেন খারাপ থাকে তাহলে এই কারণে তার গোনাহ হবে। তবে এতে ইমামতির কোনো সমস্যা হবে না। সুতরাং প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে তার পিছনে নামাজ পড়লে নামাজ সহীহ হয়ে যাবে।