ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/3951/ নং ফাতাওয়াতে
আমরা বলেছি যে,
ইসলামে জামাতের সাথে নামাজের গুরুত্ব
অপরিসীম। আল্লাহ তাআলা নামাজের ব্যাপারে অনেক আয়াত নাজিল করেছেন। ঈমানের পরেই যার
স্থান। যা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ। জামাআতে নামাজ শুরু করার প্রথম
তাকবিরের রয়েছে অত্যাধিক ফজিলত। যাকে তাকবিরে উলা বলা হয়।
,
তাকবীরে উলা সম্পর্কিত হাদীসটি নিম্নরূপ :
من صلى أربعين يوما في جماعة يدرك التكبيرة الأولى كتب له براءتان : براءة من النار، وبراءة من النفاق
অর্থ : যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন জামাতে নামায
আদায় করবে এবং সে প্রথম তাকবীরও পাবে তার জন্যদুটি মুক্তির পরওয়ানা লেখা হবে।
(এক) জাহান্নাম থেকে
মুক্তি।
(দুই) নেফাক থেকে মুক্তি।
(-সুনানেতিরমিযী
১/৩৩; আততারগীব
১/২৬৩)
এ হাদীস থেকে স্পষ্ট হয় যে, ইমামের প্রথম তাকবীর বলার সাথে সাথে তাকবীর
বলে নামায শুরুকরলে তাকবীরে উলা পাবে। সুতরাং ইমামের তাকবীরে তাহরীমার সাথেই
নামাযে শরিক হওয়ারচেষ্টা করতে হবে। প্রকাশ থাকে যে, সূরা
ফাতেহা শেষ হওয়ার আগে জামাতে শরিক হতে পারলেওকোনো কোনো ফকীহ তাকবীরে উলার সওয়াব
হাসিল হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন। -ফাতাওয়া
তাতারখানিয়া ২/৫৪; আলমুহীতুল
বুরহানী ২/১০৭; হাশিয়াতুত
তহতাবী আলাল মারাকী ১৪০; রদ্দুল
মুহতার ১/৫২৬
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ
পড়ার ফজিলতের ব্যাপারে প্রশ্নে বর্ণিত বক্তব্যটি খুজে পাওয়া যায়নি।
২. আপনার এলাকার ইসলামিক ফাউন্ডেশন
কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডার দেখেই ইফতারী করবেন। কারণ, এলাকার ভিন্নতায় ইফতারীর সময়ের
মধ্যেও ভিন্নতা আছে।
উল্লেখ্য যে, ইফতারীর সময় হয়ে
যাওয়ারও পাঁচ/দশ মিনিট পরে ইফতারী করলেও তেমন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু অসতর্কতাবশত
ঠিক টাইম অনুযায়ী করতে গিয়ে একটু আগে হয়ে গেলেই আপনার রোজা আর হবে না। তাই এ ব্যাপারে
খুব সতর্ক থাকবেন। সুতরাং আপনার এলাকার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডার
দেখেই ইফতারী করবেন।