আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in সাওম (Fasting) by (48 points)
শাইখ আহমাদুল্লাহ বলেছিলেন যে, যদি এমন কোনো নির্ভরযোগ্য এপ বা ওয়েবসাইট থাকে যেটা সঠিক সময় মেইনটেইন করে,সেটা দেখে রোজা রাখা, বা ভাংগা যাবে।

habibur.com আগে বাংালাদেশের যেই প্রসিদ্ধ ওয়েবসাইট আছে যারা বেশ ভালো নির্ভর‍্যোগ্য বলে পরিচিত,তাদের ওয়েবসাইটের সময় দেখে ১ম রোজার সাহরি করেছিলাম।

১ম রোজার জন্য সাহরির শেষ সময় দেয়া ছিল ৪.৩৩

আর ফজর ওয়াক্ত  ৪.৩৪ দেয়া ছিল। আমি জানতাম ফজরের ওয়াক্ত হবার আগে পর্যন্ত মূলত সাহরির সময় থাকে,তাই সাভাবিক ই মনে হয়েছে কিন্তু নিচে দেয়া মুফতি আফফান বিন শরফুদ্দিন ভাইয়ের কথায় পুরোই ভয় লাগছে। আমার রোজা কি কাযা করতে হবে? না আদায় হয়ে গেছে?

আর ওই ওয়েবসাইট  ফলো করব কিনা সামনে থেকে?

মুফতি সাহেবের কথাটা এমন ''

গত বছরের এক রমাদ্বান সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকে সংগৃহীতঃ-

উত্তর দিয়েছেন উস্তায Affan Bin Sharfuddin হাফিযাহুল্লাহ...

সাহরীর শেষ সময়ের পরে আযানকে দুইটা ভাগে ভাগ করা যায়-

১) রমাদান মাসের- এ সময় সেহরির শেষ সময় ও ফজরের আযানের মাঝে ৬ মিনিটের পার্থক্য থাকে। এর মধ্যে প্রথম তিন মিনিটে সেহরি করলেও রোজা হয়ে যাবে।
কিন্তু পরের তিন মিনিটে পানাহার করলে সেই রোজার জন্যে কাযা আদায় করতে হবে।

২) রমাদান ব্যতীত অন্যান্য মাস- এক্ষেত্রে ২০ মিনিট পার্থক্য থাকে। এক্ষেত্রে আযানের আগে আগে সাহরি /পানাহার করলে সেই রোজা কাযা করতে হবে।

[চেষ্টা করবো আমরা সাহরির শেষ সময়ের আগেই খাওয়া, ব্রাশ সব কম্পলিট করে রাখার]

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ.
হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি; যাতে তোমরা তাক্বওয়া অবলম্বনকারী (মুত্তাকী) হতে পার। সূরা বাকারা (২) ১৮৩

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَكُلُواْ وَاشْرَبُواْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّواْ الصِّيَامَ إِلَى الَّليْلِ
আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত।(সূরা বাকারা-১৮৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি কি বুঝাতে চান? বিষয়কে এত কঠিন করছেন কেন?

আপনি ইসলামিক ফান্ডেশন কর্তৃক নামায রোযার একটা স্থায়ী ক্যালেন্ডার ক্রয় করবেন।বা অনলাইন থেকে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিবেন। 
তার দেখবেন সেখানে যে যে টাইম দেয়া রয়েছে, সেই টাইম অনুযায়ী সেহরি ও ইফতার করবেন। যেই টাইম দেয়া রয়েছে,পুরোপুরি সেই টাইমকে মান্য করা অত্যন্ত জরুরী।পুরোপুরি মান্য করতে না পারলে, রোযা হবে কি না? সেটা ইজতেহাদ (নিজ আকল দ্বারা চিন্তা গবেষণা) করে বলতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইজতেহাদ করতে আমরা অপারগ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 314 views
...