বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ۗ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُم ۚ مِّنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ
তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো
হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি
ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য
মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী। সূরা
আলে ইমরান, আয়াত নং-১১০
মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা ঈমানের অঙ্গ। ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ করা ওয়াজিব।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ
طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، - وَهَذَا حَدِيثُ أَبِي بَكْرٍ - قَالَ أَوَّلُ مَنْ بَدَأَ بِالْخُطْبَةِ يَوْمَ الْعِيدِ قَبْلَ الصَّلاَةِ مَرْوَانُ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ الصَّلاَةُ قَبْلَ الْخُطْبَةِ . فَقَالَ قَدْ تُرِكَ مَا هُنَالِكَ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ " .
তারিক ইবনু শিহাব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ঈদের সালাতের পুর্বে মারওয়ান ইবনু হাকাম সর্বপ্রথম খুতবা প্রদান আরম্ভ করেন। তখন
এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, খুতবার আগে হবে সালাত (নামায/নামাজ)। মারওয়ান বললেন, এ নিয়ম রহিত করা হয়েছে। এতে আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, ‘এ ব্যাক্তি তো কর্তব্য পালন করেছে’। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ যদি অন্যায় কাজ
দেখে, তাহলে সে যেন হাত দ্বারা এর সংশোধন করে দেয়। যদি এর ক্ষমতা না
থাকে, তাহলে মুখের দ্বারা, যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তর দ্বারা (উক্ত কাজকে ঘূণা করবে),
আর এটাই ঈমানের নিম্নতম স্তর।
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৮৩
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. আপনি যদি তাদেরকে প্রকাশ্য
পাপ থেকে সরাসরি বাঁধা দিতে সামর্থ্য রাখেন তাহলে সরাসরি বাঁধা দিবেন এবং সরাসরি বলবেন।
আর যদি সরাসরি বাঁধা দিতে সামর্থ্য না রাখেন তাহলে মুখে বলবেন। আর যদি এটাও না পারেন
তাহলে মনে মনে ঐ পাপ কাজকে ঘৃণা করবেন। কারণ, রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তোমাদের কেউ যদি অন্যায় কাজ দেখে, তাহলে সে যেন হাত দ্বারা এর সংশোধন করে দেয়। যদি এর ক্ষমতা না থাকে, তাহলে মুখের দ্বারা, যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তর দ্বারা (উক্ত কাজকে
ঘূণা করবে), আর এটাই ঈমানের নিম্নতম স্তর। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৮৩
২. পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান
জিনিস হলো। তাই তার যথাযথ হেফাজত করা চায়। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি দেখেন যে,
তাদের সাথে মিশলে আপনার ঈমান-আমলের ক্ষতি হচ্ছে অথবা ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তাহলে
তাদের কাছে যাতায়াত কমিয়ে দিবেন এবং তাদের সাথে কথা বার্তাও কম কম বলেবেন।
৩. তবে সম্ভব হলে সর্বদা তাদেরকে
ভালো কাজের দিকে আহবান করতে থাকবেন।