আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
916 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমাদের এলাকার  ইমাম হাজির-নাজির এ মানে তার পিছনে নামায পড়া যাবে কিনা। আশপাশে সব মসজিদ একই অবস্থা৷ সমস্যা হল মসজিদে গিয়ে নামাজ না পরলে নামাজে অনেক সময় ছুটে যায় অথবা সঠিক সময়ে পড়া হয়না। আর এমনিতেই খুশু-খুজু  ত মসজিদের মত থাকেই না।  চার/পাচ দিন ধরে আমি হুজুরকে বুঝাইছি। কোন পরিবর্তন হবে বলে মনে  হচ্ছে না।
তো এখন ঊনার অবস্থানটা আমার আরো পরিস্কার হয়েছে। উনি হাজের তথা উপস্থিত এইটা মানেন না কিন্তু নাজের তথা সবকিছু দেখতে পান ওইটা মানেন। তবে আমি উনাকে বললাম এইটা তো আল্লাহর সিফাত এর সাথে তুলনা হয়ে যাচ্ছে সেই কারণে এটা শিরক। তিনি প্রতি উত্তরে বললেন হা এইটা মানি যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর পর্যায়ে নেওয়া যাবে না তবে এই রকম হতো হইতে পারে যে আল্লাহতালা নিজে রাসূলকে দেখান ।
তিনি এইরকম আকিদায় বিশ্বাসী।
তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে আল্লাহর সাথে রাসুলের তো কোন তুলনাই হবে না কখনো কিন্তু তিনি মানে যে আল্লাহ নিজে রাসূল সাঃ কে দেখান তথা নাজের এর এইটা এজন্য গুরিয়ে ফিরিয়ে যুক্তি দেয় এবং তিনি নবীজি জীবিত আছেন এবং গায়েব জানেন এগুলো বিশ্বাস করেন।

এখন তার পিছনে নামাজ পড়লে নামাজ হবে কিনা?

ইমাম বুখারী, বুখারী শরীফ লেখার সময় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কবরের কাছে গিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর সাথে কথা বলতেন এরকম কিছু গল্প আমাদের হুজুর বিশ্বাস করেন।
এই গল্প গুলোর উপর ডিপেন্ড করে নবীজিকে জীবিত নবীজি গায়েব জানেন নবীজি দেখতে পান এই বিষয়গুলো প্রমাণ করার চেষ্টা করেন।
যেহেতু উনার আক্বীদা যে আল্লাহ এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কখনো তুলনা করা যাবেনা কিন্তু তিনি কিছু ভ্রান্তিকর গল্পের কারণে এই বিষয়গুলো  বিশ্বাস করেন।
এজন্য আমি ৩/৪ মাস বাসায় নামাজ পরেছি।  খুবই খারাপ অবস্থা।  নামাজ এর মধ্যে খুশু-খুযু থাকে না নামাজ ঠিক সময় পড়তে পারি না, অনেক সময় নামাজ পরবো পরবো করে ছুটেও যায়। নামাজের প্রতি আগ্রহ আস্তে আস্তে হারিয়ে নামাজই ছেয়ে দেই নাকি এই ভয়ে আছি,  জামাতে নামাজ ত বাধ্যতামূলক কিন্তু ইমাম সাহেব ও এই ধরনের সমস্যা। আমি একজন সাধারন মুসল্লী মসজিদে গিয়ে আগে কিছু দাওয়াতি কাজ করতে পারতাম এখন তাও পারি না।
এই রকম অবস্থা আমার করনীয় কি?
by
মসজিদের ইমাম সাহেব যখন রাজনৈতিক বক্তব্য দেন তখন যদি কেউ ইমাম সাহেবের বিরুদ্ধে মিটিং করে প্রতিবাদ করে। 
এমন কি ইমাম সাহেব সর্ম্পকে কটাক্ষ ভাষায় কথা বলে 
তা হলে সেই সব ব্যাক্তি যদি ইমাম সাহেবের পিছনে নামাজ পড়ে তা হলে কি তাদের নামাজ হবে ?

আমরা জানি কোন ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ কিংব অনাস্হা করলে নামাজ হয় না এটা কি টিক ?

1 Answer

0 votes
by (588,660 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট। আমরা আপনার প্রশ্ন থেকে যা বুঝেছি, সেই আলোকে বলছি। প্রয়োজনে আপনি কমেন্ট করবেন যদি না বুঝেন-

রাসূল সাঃ গায়েবের খবর জানতেন।এমন আকিদা শিরকী আকিদা তথা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা।যা ঈমান নিয়ে নিবে। সুতরাং এমন আকিদার কারো পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2915

তাছাড়া অন্যান্য বিষয়, মিলাদ কিয়াম,দাড়ি ছাটাই কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। কবিরাহ গোনাহে বরাবর লিপ্ত ব্যক্তির পিছনে নামায পড়লে নামায যদিও আদায় হয়ে যাবে। তথাপি তাদের পিছনে নামায পড়া মাকরুহ। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/291

ফাসিকের পিছনে নামায পড়লে কেন সেই নামাযকে দোহড়াতে হয়? সে সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1872

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উনার শিরকি আকিদা থাকলে উক্ত ইমামের পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে না। তাছাড়া অন্যান্য কবিরাহ গোনাহের কারণে উক্ত ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া যাবে, তবে নামায মাকরুহ হবে। ফিতনার আশংকা না থাকলে উক্ত ইমামকে বদলিয়ে ফেলাই উত্তম। আর ফিতনার আশংকা থাকলে উক্ত ইমামের পিছনে নামায পড়া যাবে। অথবা দূরবর্তী কোনো মসজিদে নামায পড়া যেতে পারে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
এলাকায় আশেপাশে একই অবস্থা।  ফিতনা যারা সহিশুদ্ধ ইসলাম মানতে চায় তাদের নামাজ পরতেই দিবে না কিন্তু আমারা এইসব উপেক্ষা করে নামাজ পরতেছি। আর  ইমাম পরিবর্তন করা ত দুরের কথা।

নবিজি নাজের সবকিছু দেখতে পান এই আকিদা পোষন করলেও কি কোনো উপায় না থাকার কারনে উনার পিছনে নামাজ পড়া যাবে
by (588,660 points)
জ্বী, নামায পড়া যাবে, তবে উক্ত নামাযকে আবার দোহড়িয়ে পড়া ওয়াজিব। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 198 views
...