আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (49 points)
আমি একজন বিদেশী লোকের কফি শপের একটা কাজ করেছি। কাজটা ছিল, অনেকগুলো দোকান, ব্যাগ, মগের এর ছবি দিয়েছে সেখানে দেখা যায় অন্য একটা দোকানের লোগো ছিল, কোনটাতে কোন লোগো ছিল না। তো যেগুলোতে ছিল সেগুলোর লোগো মুছে দিয়ে যেই লোকের কাজ, তার দোকানের কোম্পানির নাম, লোগো বসিয়ে দেয়া।

কিন্তু কথা হলো তার দোকানের লোগো আবার ভালুকের ছবি। তো কাজটা নেয়ার সময় মাথায় ছিলনা। পরে কাজের মাঝে মাথায় আসে। পরে কাজটা তো নিয়ে নিয়েছি তাই পরে শেষ করেছি। অনেক ছবিতে শুধু দোকানের নাম বসাতে হয়েছে, কিন্তু আবার অনেক ছবিতে তার প্রাণীর ছবিওয়ালা লোগো বসাতে হয়েছে।  এখন মনে সন্দেহ হচ্ছে এটা নিয়ে।

১) প্রথমত এরকম অন্য দোকানের ছবির নাম মুছে তার দোকানের নাম বসানো ঠিক কিনা? সে অনেকগুলো দোকানের ছবি দিয়েছে যেগুলোর নাম মুছে তার দোকানের নাম বসাতে হবে, কেন দিয়েছে জানা হয়নি।

২) প্রাণীর ছবিও বসিয়েছি কিছু দোকান, মগ, ব্যাগের ছবিতে, এখন এই ইনকাম হালাল হবে?
আমি লোগোর প্রাণী অংকন করিনি, শুধু ছবিটা বসিয়েছি।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের নীতিমালা হলো গুনাহের কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,অন্যকেও গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ      

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অন্য দোকানের লোগো, ছবির নাম মুছে তার দোকানের লোগো,নাম বসানোর কাজ যে আপনাকে দিয়েছে,এক্ষেত্রে এটি কি ঐ দোকানদের অনুমতিতে নিজ মালিকানায় আনার পর করা হচ্ছে?
নাকি তাদেরই জিনিস অবৈধ কোনো পন্থায় এনে  এটি করা হচ্ছে?

যদি তাদের থেকে এগুলো ক্রয় করে এনে বা বৈধ কোনো পন্থায় নিজ মালিকানায় এনে এমনটি করা হয়,তাহলে জায়েজ হবে।

নতুবা এটি জায়েজ হবেনা।
 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

(০২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
১নং জবাবের আলোকে যদি সেগুলো বৈধ ভাবে নিজ মালিকানায় আনার পর একাজ করা হয়,তাহলে আপনি যতগুলোতে ছবি বসিয়েছেন,ততগুলির ইনকাম হারাম হবে।
এই টাকা গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

ছবি বসানোর কাজ, ছবি সংক্রান্ত কাজ ব্যাতিত অন্য যে কাজ গুলি করেছেন,তার ইনকাম হালাল হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...