আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
edited by


১)যখন কোনো ইংরেজি শব্দ বলতে যাই তখন মনে হয় যে এটা ইলুমিনাতির কোড ওয়ার্ড কিনা। এখন সবগুলো খুজে খুজে বের করব? দৈনন্দিন বিভিন্ন কথায় ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতে হয়। এ ব্যাপারে কিছু বলবেন যে কি করব?

খ) আমার ব্যবহার করা অনেক জিনিসই দেখলে মনে হয় ইলুমিনাতির কিনা। এখন এগুলো কি গুগল থেকে খুজে বের করব ইলুমিনাতির কিনা?
গ) পড়াশুনার বই নিয়েও মনে হয় যে বইয়ে কোন ইলুমিনাতির চিহ্ন আছে কিনা, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ইলুমিনাতি নিয়ন্ত্রণ করে কিনা, এর উপর ইলুমিনাতির প্রভাবে আছে কিনা। এমন মনে হলে কি করব?

২) আমার আগের প্রশ্নের উত্তরে মুফতি ইমদাদুল হক বলেছিলেন,
"কোন কথা বা চিহ্ন কাফের মুশরিকদের ধর্মীয় কথা বা চিহ্ন থেকে আসলে, আর এখন অনেকেই কথাবার্তায় বা লেখায় সেসব কথা বা চিহ্ন ব্যবহার করলে সেইসব কথা বা চিহ্ন ব্যবহার করাও কুফর বা নাজায়েজ হবে না। আর সেসব পড়াশুনার সময় ব্যবহার করলে কুফর বা নাজায়েজ হবে না। তবে অমুসলিমের ধর্মীয় নিদর্শন মূলক কোনো কথা বা কাজকে অনুসরণ করা যাবে না।"

কিন্তু যদি কোন কিছু ( কথা, চিহ্ন, খাবার) ইলুমিনাতি সংগঠন থেকে আসে আর অনেক মানুষ এটাকে অজ্ঞতার জন্য ব্যবহার করে থাকে তাহলে তা ব্যবহার করা কি কুফর বা নাজায়েজ হবে?
by (25 points)
edited by
#-%*5#5৳6#5#7&

1 Answer

+1 vote
by (719,600 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সম্মাণিত প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যতক্ষণ না কোনো বিষয়ে পূর্ণ ইয়াকিন ও বিশ্বাস হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই বিষয়ের উপর নির্দিষ্ট করে ইলুমিনাতির হুকুম আরোপ করা যাবে না।

আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/293

বিঃদ্র
আপনার সাথে এ বিষয়ে ফোনে কথা বলতে চাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (719,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (719,600 points)
+1
যতক্ষণ না কোনো খাবার সম্পর্কে হারাম হওয়ার পূর্ণ ইয়াকিন ও বিশ্বাস হবে, ততক্ষণ আপনি যে  কোনো খাবার খেতে পারবেন। 
by (719,600 points)
আমার মুবাইল নাম্বার -০১৭১৭৯১৭৬৮৬

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...