আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
304 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
closed by
কয়েকদিন আগে আমি একটা প্রশ্ন করেছিলাম এই বিষয়ে যে হিন্দু শিক্ষিকাকে বাদ দেওয়ার জন্য মিথ্যা বলা কি কুফর হবে কিনা।উত্তর টা পেয়েছি। আপনার হয়ত মনে পড়েছে। আমার যে ইমান নিয়ে সন্দেহ হত।
https://ifatwa.info/41449/?show=41517#a41517

আমি তাকে প্রাথমিকভাবে এবার ১ মাসের জন্য বাদ দিতে চেয়েছিলাম পরীক্ষার সিলেবাস অনেক বাদ আছে এই কারন বলে। আমি প্রথমে এইজন্য মা আর আপুর সাথে কথা বলি। সেই শিক্ষিকার আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল না। তাই আমার মা আর আপু চাচ্ছে সপ্তাহে ১ দিন পড়তাম।যাতে সে কিছু হলেও টাকা পায়।

( আমি যদি মা কে ইমান নিয়ে সন্দেহের ব্যাপারটা বলি তাহলে হয়তবা কাজ হবে না( সিউর না)। কয়েকদিন আগে এমন একটা কথা বলছিলাম তখন মা এমন বলেছিল যে তারা গোড়া হিন্দু না। কিন্তু হিন্দু তো হিন্দুই। রাশিফল, ভবিষ্যৎবানী এগুলাতে বিশ্বাস করে। একবার সেই শিক্ষিকা আমার হাত টান দিয়ে দেখে আর বলে আমার নাকি টাকা হবে। আমি বিশ্বাস করি না এগুলা জ্যোতিষীকে হাত দেখানো। কিন্তু তারা তো করে। পরে আরেকদিন ভবিষ্যৎ নিয়ে আরেক কথা বলে যা এমন ভবিষ্যৎ বানী হিসেবে বলছে কিনা তা তো জানি না। কিন্তু কথার ধরন দেখে মনে হয় ভবিষ্যৎ বানী হিসেবে বলছে। আমি কোন উত্তর দেই নাই।)
১)
এখন আমি জানতে চাই ইমান নিয়ে এমন আশংকায় থাকার পরেও কি তার কাছে পড়া উচিত হবে?
( আমার বাইরেও প্রাইভেট আছে। মুসলিম শিক্ষক পড়ায় সেখানে।)

২) যদি আমি পড়ি আর তার এমন কথাবার্তা শুনে কোন উত্তর না দেই তাহলে কোন সমস্যা হবে?
৩) আমার মনে হয় যে সে কি কোন রাশিফল দেখে আসল যে আজকে এই টাইমে পড়ানো তার জন্য তাদের মতে শুভ কিনা। এমন অবস্থায় কি পড়ব?

( আমার কিন্তু তার কোন দরকারই নেই, বললাম যে তাদের আর্থিক অবস্থার কথা, তাই আমার মা বলে পড়তে)

৪) ৩ এ যেমন বললাম,
কোন রাশিফল দেখে আসল কিনা, এমন যদি সে আসলেই করে থাকে এভাবে কি আমার কোন গুনাহ হবে?
এটা যদি সে করে তাহলে কি তা নিজে কাফিরের জন্য ফিতনা হয়ে গেলআম?

৫) তাকে খাবার দিতে গেলেও সন্দেহ হয় তাকে নিয়ে। একদিন সন্ধ্যায় হয়তবা ঝাল কিছু দেওয়া হয়েছিল।  তখন বলে " সন্ধ্যা বেলায় ঝাল খাইতাসি কেন"।  হয়তবা ভুতের ব্যাপার তাদের মতে। আমার যতদূর মনে হয়। এখন সে যদি পানি চায় আমাদের কাছ থেকে ঝাল সরানোর জন্য তাহলে পানি দিলে কি তাদের কুফরি কাজে সাহায্য হয়ে যায়?
ক) তাকে নাস্তা পানি দেওয়া কি বাদ দিব?

খ) তার কাছে পড়ার দরকার আমার নেই কিন্তু তাদের আয় কম। তাকে যে বেতন দেওয়া হয় আর সে যদি তা কুফরি কাজে ব্যবহার করে তাহলে কি কুফর হবে?

(কমেন্টে আরো প্রশ্ন)
closed

1 Answer

+1 vote
by (63,560 points)
selected by
 
Best answer

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/27715/?show=27715#q27715 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَعِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا هُوَ

 “তাঁর কাছেই আছে অদৃশ্য জগতের সমস্ত জ্ঞানের চাবি। যা তিনি ব্যতীত আর কেউ জানে না। (সূরা আনআমঃ ৫৯)

 

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

قُل لَّا يَعْلَمُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ ۚ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ

 “বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে কেউ গায়েবের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে।” (সুরা নামলঃ ৬৫)

 

অতএব, যদি কেউ কোন রাশিফল এই বিশ্বাস নিয়ে পড়ে যে, এটি তার জীবনে বাস্তবিকই ঘটবে এবং বিভিন্ন গ্রহ ও নক্ষত্র তার জীবনের উপর প্রভাব ফেলবে, তবে তার কোন ইবাদতই আল্লাহর কাছে কবুল হবে না।

 

রাসূল (সা.) বলেছেন, “কোন ব্যক্তি যদি গণকের কাছে গিয়ে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চায় এবং গণৎকারের কথা যদি সে বিশ্বাস করে, তবে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হবেনা।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৫৫৪০)

 

রাশিচক্র চর্চাকারী এবং দৈবজ্ঞানের দাবিদার ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শকারীদের ক্ষেত্রেও এ হাদীসটি প্রযোজ্য।

 

অপর এক হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে গেল এবং তার কথা বিশ্বাস করলো, সে যেন মুহাম্মদের উপর অবতীর্ণ বাণীকে অস্বীকার করলো।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৮৯৫)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. তার কাছে পড়া না পড়া এটা একমাত্র আপনার ইচ্ছাধীন। তবে এটা জেনে রাখা দরকার যে, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হলো। তাই তা একজন মুসলিমের জন্য হেফাজত করা আবশ্যক। সুতরাং তার কাছে প্রাইভেট পড়লে বা তার কথা বার্তায় যদি আপনার ঈমানের ত্রুটি হওয়ার সম্ভবনা থাকে তাহলে তার কাছে না পড়াই উত্তম।

 

উল্লেখ্য যে, আপনি যেহেতু বোন। তাই ফিতনার আশংকা থাকায় পরিপূর্ণ পর্দার সাথে হলেও কোনো মুসলিম শিক্ষকের কাছেও প্রাইভেট পড়া ঠিক হবে না। সুতরাং আপনি কোনো মুসলিম শিক্ষিকার কাছে প্রাইভেট পড়বেন।

 

২. তার কথা বার্তা শুনে যদি উত্তর না দেন এবং তার ঐ সব কথা যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।

. তার কাছে পড়া না পড়া এটা একমাত্র আপনার ইচ্ছাধীন। তবে এটা জেনে রাখা দরকার যে, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হলো। তাই তা একজন মুসলিমের জন্য হেফাজত করা আবশ্যক। সুতরাং তার কাছে প্রাইভেট পড়লে বা তার কথা বার্তায় যদি আপনার ঈমানের ত্রুটি হওয়ার সম্ভবনা থাকে তাহলে তার কাছে না পড়াই উত্তম।


৪. না, এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। কারণ, রাশিফল দেখলে সে দেখেছে । আর আপনি তো এগুলো বিশ্বাসই করেন না।
৫. ক. একা একান্ত আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। তবে অমুসলিমকেও সাহায্য সহযোগিতা করা যায়।
খ. আপনি যেহেতু তার কাছে প্রাইভেট পড়ার বিনিময় হিসিবে বেতন দিচ্ছেন। তাই সে যদি এই টাকা কুফরী কাজেও ব্যবহার করে তাহলেও আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...