আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
414 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
১.মুরগীর দুই থানের কাছে আর বুকের কাছে দুই পাশে হারাম মাংস থাকে একটু করে।
থানের যেখানে জোড়া থাকে মেরুদন্ডের কাছে সে জায়গায় আর বুকের যেখআনে পাখা থাকে তার উলটা পাশে।
আমিও জানি যে হারাম মাংস থাকে।তবে এই ব্যাপারে সহীহ্ হাদীস আছে কিনা তা জানিনা।


এই কথাটা কি সত্যি?

মুরগীর গিলা কি খাওয়া বৈধ? মুরগীর কি কি অঙ্গ খাওয়া জায়েজ না?


২. গরুর মাংসের কোন অঙ্গ খাওয়া বৈধ না?

৩. মাছের কি এমন কোন অঙ্গ আছে যা খাওয়া বৈধ না?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হালাল প্রাণীর আটটি অংশ খাওয়া নিষেধ।
১. পুরুষ লিঙ্গ। ২. স্ত্রী লিঙ্গ। ৩. মুত্রথলি। ৪. মেরুদণ্ডের ভেতরের মগজ বা সাদা রগ। ৫. পিত্ত। ৬. অন্ডকোষ। ৭. চামড়ার নিচের টিউমারের মতো উঁচু গোশত। ৮. প্রবাহিত রক্ত। তবে এগুলোর ৮ম প্রকার প্রবাহিত রক্ত অকাট্য হারাম, বাকিগুলো মাকরুহে তাহরিমি। (আহসানুল ফাতাওয়া ৭/ ৪০৭)

প্রবাহিত রক্ত অকাট্য হারাম। এর দলিল হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার বাণী;

قل لاَّ أَجِدُ فِي مَا أُوْحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلاَّ أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ

আপনি বলে দিন, যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র। (সূরা আলআনআ’ম ১৪৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুরগীর গোশতের কোনো রগ হারাম নয়।
তবে শুধুমাত্র হাড্ডির কিছু রগ যেমন গলার রগকে কিছু স্কলারগন মাকরুহ বলেছেন।

ভুল বশত সেই রগসহ রান্না হয়ে গেলে গোশত খাওয়া হারাম হবেনা।
ঐ রগের কারণে উক্ত গোশতের সাথে রান্না করা অন্য গোশত,ঝোল খাওয়া যাবে।
কোনো সমস্যা নেই। 

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত মুরগীর সেই গোশত খাওয়া জায়েজ,এতে কোনো সমস্যা নেই।
মুরগীর গিলা খাওয়া বৈধ,কোনো সমস্যা নেই।

(০২)
১. পুরুষ লিঙ্গ। ২. স্ত্রী লিঙ্গ। ৩. মুত্রথলি। ৪. মেরুদণ্ডের ভেতরের মগজ বা সাদা রগ। ৫. পিত্ত। ৬. অন্ডকোষ। ৭. চামড়ার নিচের টিউমারের মতো উঁচু গোশত। ৮. প্রবাহিত রক্ত। 

(০৩)
পুরো মাছ খাওয়া যাবে।
তবে কোনো অঙ্গ খাওয়ার ক্ষেত্রে যদি ডাক্তারের মতানুসারে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়,যেমন নাড়িভুঁড়ি এটিকে যদি কোনো বিজ্ঞ ডাক্তার শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে খেতে নিষেধ করেন, তাহলে স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারনে এসব খাওয়া যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...