জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]
★শরীয়তের বিধান হলোঃ যদি স্বামী তালাকের ব্যাপারে অস্বীকার করে,তাহলে শুধু স্ত্রীর বলার দ্বারা তালাক হবেনা।
অবশ্য যদি বাস্তবেই স্ত্রী নিজ কানে তালাক প্রদানের বাক্য শুনে থাকে,তাহলে তার জন্য সেই স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা জায়েজ হবেনা।
তার জন্য উচিত খোলা করে হোক বা অন্য যেকোনো ভাবেই হোক,উক্ত স্বামী থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৯/৯০)
والمرأۃ کالقاضي إذا سمعتہ أو أخبرہا عدل لایحل لہا تمکینہ۔ (شامي ۴؍۴۶۳ زکریا، الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۳۵۴)
সারমর্মঃ
স্ত্রী কাজির মতোই। যখন সে তাহা শুনবে অথবা তাকে ন্যায়পরায়ণ কেহ খবর দিবে।
তখন সেটিকে টিকিয়ে রাখা বৈধ হবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দাদি ও কাকির সাক্ষ্য দেওয়ার দ্বারা তালাকের ক্ষেত্রে স্ত্রীর কথা গ্রহণযোগ্য হবেনা।
তবে স্ত্রী যেহেতু নিজ কানে তালাকের বাক্য শুনেছে,তাই তার জন্য সেই স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা জায়েজ হবেনা।
তার জন্য উচিত খোলা করে হোক বা অন্য যেকোনো ভাবেই হোক,উক্ত স্বামী থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করা।