আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
272 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। দয়া করে সাহায্য করুন। নিচের বিষয় গুলো নিয়ে সমাধান দিন দয়া করে।
১। কোন মহিলা অনেকদিন আগে তা*** ওয়াসওয়াসায় ভোগতো।   সে তখন বলতো,, নিজের উপর **** নেইনি, নিবো ও না। এইভাবে সে অনেকবার বলেছে। কিন্তু মনে মনে নাকি মুখে আওয়াজ করে উচ্চারণ করেছে তার মনে নেই।  একবার মনে হয় এইসব সে মনে মনে বলেছিল আবার মনে হয় মুখেও বলেছিল কিনা।
আপনি বলেছিলেন নিজের দিকে নসিবত করে এই ধরনের কথা উচ্চারণ করলে *** পতিত হয়ে যায়। মহিলা নিজেকে শান্ত করার জন্য ওইসব কথা বলতো যাতে সে নিজেকে তা** না দিয়ে ফেলে। এখন তার মনে নেই তার তখন কি নিয়ত ছিল... সে সন্দেহ করছে নিজের দিকে নসিবত করে বলে ফেলেছিল কিনা।

নিজের উপর ++++ কথাটা মুখে উচ্চারন করার সময় নিজের চিন্তা চলে আসলে নাকি পতিত হয় তাই সে চিন্তায় আছে।
২। সে কিছুতেই মনে করতে পারছে না আসলেই মনে মনে বলেছিল কথাগুলো নাকি মুখেও উচ্চারণ করেছিল কিনা। একবার মনে হয় সে শুধু মনেই বলেছে আবার মনে হয় যদি মুখেও বলে থাকে?? তাহলে কি তার উপর তা** পতিত হবে? মহিলা ভাবে হয়তো সে মুখেও বলে থাকতে পারে কথাটা,, অর্থাত সম্ভাবনা আছে কিন্তু সে শিউর না।

৩। হুজুর মহিলার স্বামীর কাছ থেকে যদি তার  মৌখিক তা*** অধিকার থাকে আর কাবিন নামায় ও অধিকার দেওয়া থাকে তাহলে সে কয় তা** পতিত করতে পারবে??  অবাধে অধিকার থাকলে নাকি ৩ তা** ও দেওয়া যায় মহিলার মাধ্যমে।  তাহলে এই আলোকে জানাবেন নিচের ঘটনা গুলোর পরেও মহিলার সংসার করা ঠিক হবে কিনা।
৪। মহিলার যদি অবাধে তা*** অধিকার থাকে আর মহিলা মনে না করতে পারে সে কয়বার নিজের উপর ++++ দেওয়ার মত কথা বলেছিল বা আসলেই বলেছিল কিনা তাহলে কয় তা++ ধরে নিবে?

৫। মহিলা সঠিক মনে করতে পারছে না কবে বা কিভাবে সে কথাগুলো বলে থাকতে পারে,, বা মুখে বলেছিল কিনা বা কয়বার বলেছিল। তাহলে সে যদি এখন ধরে নেয় তার উপর তা++ পতিত হয়নি তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন??

৬। যদি এমন হয় মহিলা নিজের উপর তা*** দেওয়ার মত কিছু বলেছিল কিন্তু এখন সে মনে করতে পারছে না মনে মনে নাকি মুখে বলেছিল, মনে করতে না পারার কারনে ধরে নিয়েছে তখন তা++ হয়নি। এইটা ভেবে সে সংসার করলে পাপী হবে?? মহিলার একবার মনে হয় সে মুখেও বলে থাকতে পারে আবার মনে হয় সে হয়তো মুখে বলেনি।

৭। সন্দেহ যুক্ত তা+++ নাকি শরীয়তে ধরা হয়না। মহিলার যদি মনে হয় সে মুখে বলেও থাকতে পারে। কিন্তু কখন কিভাবে বলেছে তার মনে নেই,,, বা আসলেই মুখে বলেছিল কিনা,, নাকি সবসময়ই মনে বলতো তার মনে নেই। হুকুম কি??মহিলার সংসার কি জায়েয হবে?

৮। মহিলা ওয়াসওয়াসার কারনে দেখতে যায় সে এইভাবে কথাটা বলেছিল কিনা। সেজন্য সে আওয়াজ ছাড়া বলতে যায়,, """নিজের উপর  তা+++ "" এইভাবে বলতে গিয়ে সে আবার ওয়াসওয়াসায় পরে যায়৷ কারন ঠোঁট নাড়ানোর শব্দ হয়েছিল।  কিন্তু পুরো বাক্য টা সে শব্দ করে বলেনি।

৯।.সে সন্দেহে আছে শব্দ হয়ে গিয়েছিল কিনা বা এতে তা** পতিত হবে কিনা? সে যদি মনে না করতে পারে আসলে কি ঘটেছিল৷  শুধু সন্দেহ আর ভয় আসে,,,  বলার সময় শব্দ হয়ে গিয়েছিল কিনা। সে নিজেকে, তা*** দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে কথাটা বলতে যায়নি। দেখতে চেয়েছিল আগে এইভাবে উচ্চারণ করেছিল কিনা। কিন্তু এখন সে খুবই সন্দেহে আছে। বার বার মনে হয় শব্দ হয়ে গিয়েছিল কিনা। আবার মনে হয় শুধু জিহবা আর ঠোট নাড়ালে যে শব্দ হয় ওই ধরনের শব্দ হয়েছে যেটা অন্য কেউ শুনলে বুঝবে না সে আসলে কি বলেছে। তাহলে হুকুম কি???

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ


এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
এখানে তাকে চিন্তিত হতে হবেনা।
তালাক হয়নি।

(০২)
তালাক হবেনা।

(০৩)
এক তালাকেরই মালিক থাকবে।
কেননা এখানে স্বামী ২ তালাকের ক্ষমতা দেয়ার উদ্দেশ্য নেয়নি।

(০৪)
আসলেই নিজের উপর তালাক নিয়ে থাকলে সে
এক তালাক ধরে নিবে।

(০৫)
সে সন্দেহে থাকলে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
তালাক হবেনা।

(০৬)
সন্দেহ থাকলে আল্লাহ মাফ করবেন।
তার সংসার বৈধ হবে।

(০৭)
হ্যাঁ সেই  মহিলার সংসার  জায়েয হবে।

(০৮)
এতে তালাক হবেনা।

(০৯)
এতেও তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...