আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
পারিবারিক অশান্তির কারণে প্রথমে স্ত্রী খোলা তালাক নিয়েছিল । খোলা তালাক নেবার তিন মাসের মধ্যে তালাক এর নিয়ম না জেনেই  ভুল করে ওই  স্বামী sms করে আবার ওই স্ত্রীকে দুবার তালাক বলেছিল। কিছুদিন পর সেই স্ত্রী পুরোনো স্বামীর কাছে ফিরতে চাইলো। তারপর এক মুফতির কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যে তিন তালাক হয়ে গেছে  এখন ওই স্ত্রী পুরোনো স্বামীর জন্য হারাম হয়ে গেছে ওই স্ত্রী পুরোনো স্বামীর জন্য হালাল হবে না। ওই স্ত্রীকে সেচ্ছাই অন্য ছেলেকে বিয়ে করতে হবে এবং সেই নতুন স্বামী যদি ওই স্ত্রীকে সেচ্ছাই তালাক দেই তারপর ওই স্ত্রী পুরোনো স্বামীর জন্য হালাল হবে। এখন আমার প্রশ্ন হলো :-
1)ওই স্ত্রী যদি সেচ্ছাই বিয়ে করে এবং তার নতুন স্বামীর সাথে সহবাস করার পর ওই স্ত্রী ওই নতুন স্বামীকে যদি বলে- আমি পুরোনো স্বামীকে এখনো ভালোবাসি আমি আমার পুরাতন স্বামীর কাছে ফিরতে চাই, তুমি যদি আমাকে তালাক দাও তাহলে আমি আমার পুরোনো স্বামীকে ফিরে পাবো,, আমার পুরোনো সংসার ফিরে পাবো,,কিন্তু তুমি যদি আমাকে তালাক না দাও তাহলে তোমাকেই স্বামী বলে মানবো তোমার সব দায়িত্ব পালন করবো। তোমাকে তালাক দেবার জন্য জোর করে বাধ্য করছি না বা কোনোদিন তোমাকে তালাক দেবার জন্য জোড়  করবোও না কিন্তু তুমি যদি চাও আমাকে তালাক দিতে পারো,আমার পুরোনো সংসার ফিরিয়ে দিতে পারো এর বদলে তুমি যদি বিয়েতে যে টাকা খরচা হয়েছে আমার কাছ থেকে নিতে চাও আমি দোবো তোমার ক্ষতি আমি হতে দোবো না।এইভাবে কোনরকম জোড় না করে যদি ওই নতুন স্বামীকে ওই স্ত্রী তালাক দেবার জন্য বলে  তাহলে কী ওই স্ত্রীর গুনহা হবে??
2)আর স্ত্রীর মুখ থেকে এইসব কথা শোনার পর যদি ওই নতুন স্বামী ওই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেই মন থেকে তাহলে নতুন স্বামী ও পুরাতন স্বামীর কোনো গুণহা হবে কী ??
3)যদি ওই নতুন স্বামী তালাক দিয়ে দেয় তাহলে ওই স্ত্রী পুরাতন স্বামীর জন্য হালাল হবে কী??
4) আমি শুনেছি কোনো স্ত্রী যদি বিনা কারণে তার স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাই তাহলে সেই মহিলা জান্নাতের গন্ধও পাইনা,,কিন্তু যেহেতু ভুলবশত তিন তালাক হয়ে গেছে এই ক্ষেত্রে ওই মহিলা পুরোনো স্বামীকে পাবার জন্য যদি নতুন স্বামীকে জোর জবরদসতিমূলক চাপ সৃষ্টি না করে ভালো করে বুঝিয়ে শান্তভাবে নতুন স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাই তাহলে ঐ স্ত্রী কী গুনহাগারি হবে??
5) ওই স্ত্রী আর বিয়ে করতে চাইছে না প্রথম স্বামীর কাছেই যেতে চাইছে কিন্তু এটা তো আর সম্ভব নয় এখন ওই স্বামী অনেক করে বুঝিয়েছে অন্য জায়গায় বিয়ে করার জন্য এবং ওই প্রথম স্বামী ওই স্ত্রীকে বলেছে তুমি বিয়ে করো তারপর যদি দ্বিতীয় স্বামী  মরে যায় অথবা সে যদি সেচ্ছায় তোমাকে তালাক দেয় তাহলে আমি তোমাকে আবার বিয়ে করে নব,, কিন্তু তুমি যেনো ওই দ্বিতীয় স্বামীকে জ্বালাতন করবে না ওই নতুন স্বামীকে ভালোবাসার চেষ্টা করবে,, কোনোদিনও জোর করে স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাইবে না,,যদি দ্বিতীয় স্বামী কোনো কারণবশত  তোমার মনের কষ্ট বুঝতে পারে এবং যদি সে তোমাকে তালাক দেই তাহলে আমি তোমাকে ফিরিয়ে নব আমি তোমাকে আবার বিয়ে করবো আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো,আমি এখন বিয়ে করবো না তোমার ফিরে আসার অপেক্ষা করবো। যদি তুমি দ্বিতীয় স্বামীর কাছে সুখী হয়ে যাও তাহলে আমি খুশি হয়ে যাবো আমার কাছে আর ফিরে আসতে হবে না। তুমি সুখী হবার পর আমি বিয়ে করবো,এইসব কথা বলার পর সেই স্ত্রী রাজি হয়েছে অন্য জায়গায় বিয়ে করতে।কিন্তু ওই স্ত্রী বলছে তার প্রথম স্বামীকে সে ভুলতে পারবে না।এইমত অবস্থায় প্রথম স্বামী মনে মনে একটা প্ল্যান করেছে আর এই প্ল্যানটা ওই স্ত্রী জানেনা ওই প্ল্যানটা প্রথম স্বামীর মনেই আছে আর প্ল্যানটা হচ্ছে যে আগে ওই স্ত্রী সেচ্ছাই বিয়ে করুক বিয়ে হয়ে যাবার পাঁচদিন পর ওই প্রথম স্বামী দ্বিতীয় স্বামীর কাছে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলবে এবং ওই দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দেবার জন্য বলবে কিন্তু কোনো রকম জোড় জবরদস্তি করে বা ভয় দেখিয়ে নয় স্বাভাবিক ভাবেই বলবে । দরকার হয় ওই প্রথম স্বামী নিজের শরীরের  ক্ষতি করবে এমন ক্ষতি করবে যেটা  মারাত্মক কিছু নয় ওই হালকার মধ্যে হয়তো আট দশদিন না খেয়ে থাকবে না খেলে শরীর দূর্বল হয়ে যাবে দিয়ে সেলাইন এর বোতল হাতে লাগিয়ে নিয়ে মিথ্যা কিছু ডাক্তারি রিপোর্ট নিয়ে ওই দ্বিতীয় স্বামীকে বলবে আমি আমার এই স্ত্রীকে এখনও ভালোবাসি আর ও আমাকে ভালোবাসে ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে দয়া করে আপনি ওকে তালাক দিয়ে দেন আপনি  তালাক না দিলে আমাদের দুজনার জীবনটা শেষ হয়ে যাবে আপনি আমাদের ওপর দয়া করুন আমাদের সংসারটা ফিরিয়ে দিন আমাদের পুরোনো ভালোবাসা ফিরিয়ে দিন আমার স্ত্রীকে আপনি ভিক্ষা দিন আপনার বিয়েতে যা টাকা খরচ হয়েছে আমি সব দিয়ে দবো যদি বেশিকিছু চান তাহলেও আমি দব কিন্তু আপনি ওই স্ত্রীকে তালাক দেন আপনি তালাক দিলে আমরা আবার একসাথে সংসার করতে পারবো আপনাকে জোড় করছি না কিন্তু এই দুটো জীবনের কথা ভেবে আপনি ছেড়ে দিন আপনার হাতে পায়ে ধরি এইসব কথা শোনার পর দ্বিতীয় স্বামী যদি ওই স্ত্রীকে সেচ্ছাই তালাক দিয়ে দেই বা কিছু টাকা নিয়ে তালাক দেই তাহলে কী কারো পাপ বা কেউ কী গুনহাগার হবে??আর এইমতো অবস্থায় যদি দ্বিতীয় স্বামী ওই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয় তাহলে ঐ প্রথম স্বামীর জন্য ওই স্ত্রী হালাল হবে কী??

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরয়ী হালালাহ হলো,উদাহরণ স্বরুপ আপনি নিজ স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদান করে থাকলে আপনার সাবেক স্ত্রীর ইদ্দতকাল অতিবাহিত  হওয়ার পর তাকে অন্যত্র বিবাহ হতে হবে।

তারপর সেই স্বামীর সাথে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে হবে। এমনকি শারিরীক সম্পর্ক হতে হবে। তারপর উক্ত স্বামী যদি আপনার সাবেক স্ত্রীকে তালাক দেয়, তারপর ইদ্দত শেষ হয়, তাহলেই কেবল আপনি আবার উক্ত মহিলাকে বিবাহ করতে পারবেন। এবং আবার ঘর সংসার করতে পারবেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

আম্মাজান আয়েশা রা. থেকে বরণিত, রাফায়ার স্ত্রী বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার স্বামী রাফায়া আমাকে এক সাথে তিন তালাক দিয়েছে? এরপর আমি আব্দুর রাহমানের সাথে বিবাহ করেছি। এখন রাফায়ার কাছে যেতে পারবো কিনা? নবীজী বললেন, আবদুর রহমান তোমার সাথে সহবাস করলে এরপর রাফায়ার নিকট যেতে পারবে। (সহীহ বুখারী ৫২৬১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই স্ত্রীর গুনাহ হবেনা। 

(০২)
না,গুনাহ হবেনা।
তবে আগে থেকে চুক্তি ভিত্তিক এটি হয়ে থাকলে যারা যারা এর সাথে জড়িত ছিলো,সকলের গুনাহ হবে।

(০৩)
সহবাস হয়ে থাকলে ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর  ১ম স্বামীর জন্য তাকে  বিবাহ করা হালাল হবে। 

(০৪)
হ্যাঁ গুনাহগার হবে। 
এর জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিতে হবে।

(০৫)
এখানে শরীরের ক্ষতির কিছু কাজ করা হলে তাতে গুনাহ হবে।
এভাবে বুঝিয়ে তালাক নেয়া হলে ২য় স্বামী স্বেচ্ছায় তালাক দিলে আশা করা যায় ১ম স্বামীর গুনাহ হবেনা।
তবে তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।

উক্ত বিবাহে সহবাস হয়ে থাকলে তালাকের পর ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর  ১ম স্বামীর জন্য তাকে  বিবাহ করা হালাল হবে। 

সেই ২য় স্বামীর সাথে স্ত্রীর সহবাস না হলে ১ম স্বামীর জন্য তাকে এভাবে  বিবাহ করা হালাল হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...