আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
372 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্।

শায়েখ!

বিয়ের জন্য পাত্রী দেখার সময় পাত্রের কোনো অভিবাবকের কি পাত্রী দেখা জায়েজ হবে,যেখানে ওই অভিবাবক পাত্রীর জন্য নন-মাহরাম ।
আমার এক দ্বীনি বোনের বিয়ের জন্য সম্বন্ধ হয়েছে,খোজ খবর নেওয়ার পর উভয় পক্ষ সম্মতি দিয়েছে বিয়ের জন্য, এখন শুধু পাত্রী দেখা বাকি!পাত্রের পাত্রী পছন্দ হলেই বিয়ে আগাবে,,কিন্তু সমস্যা হলো পাত্রের বাবা এবং মা কেউই না থাকায় অভিবাবক হিসেবে পাত্রের মামা পাত্রীকে দেখতে চাইছে,,এতে পাত্রের সম্মতি আছে। কিন্তু পাত্রী রাজি নয় নন-মাহরামের সামনে যেতে,এক্ষেত্রে পাত্রীর নিজের পরিবারের কেউ বুঝতে চাইছে না পাত্রীকে,,তারা বলে প্রয়োজনে এভাবে দেখা দেয়া জায়েজ আছে।
আমার প্রশ্ন -

১)এক্ষেত্রে পাত্রীর কি করা উচিৎ? মামার সামনে যাওয়া কি ঠিক হবে?নাকি এই বিয়ে থেকে পিছিয়ে আসা উচিৎ?

 (বিঃদ্রঃ পাত্রীকে পাত্রের ভাবী দেখার পর পছন্দ করেছে কিন্তু তারপরও তাদের দাবী হলো মামাকেও দেখতে হবে,,কারণ পাত্রের বড় ভাইকেও মামা পছন্দ করে বিয়ে করিয়েছে!)

২)এক্ষেত্রে পাত্রকে কিভাবে বুঝানো যেতে পারে?যদি পাত্র বুঝতে না চায় তাহলে করণীয় কি?(পাত্রের দ্বীনের বুঝ মোটামুটি।)
৩)পাত্রী দেখার সময় তো শুধু হাতের কব্জি এবং মুখ দেখানো জায়েজ, কিন্তু এক্ষেত্রে পাত্রীর ত্বকে যদি জন্মগত কোনো সমস্যা থাকে,,(যেমন-হাত-পায়ের ত্বক ফাটা,,ত্বকে বিভিন্ন দাগ যা দেখতে অসুন্দর দেখায়,,)এধরনের কিছু যদি সমস্যা থাকে তাহলে তা কি বিয়ের আগে পাত্রকে জানানো জরুরী? (যদি মনে ভয় থাকে যে বিয়ের পর জানতে পারলে পাত্র রাগ করতে পারে,) এক্ষেত্রে না জানালে কি ধোকা হয়ে যাবে?

৪)বিয়ের জন্য মেয়েদের ক্ষেত্রে তো হাদিস অনুযায়ী চারটি বিষয় বিবেচনা করতে বলা হয়েছে যেখানে দ্বীনদারিতা কে সবার উপরে রাখতে হবে।কিন্তু কোনো ছেলের ক্ষেত্রে কিভাবে নির্বাচন করা যাবে?এবং দ্বীনদারিতা যাচাইয়ের জন্য কি কি প্রশ্ন করলে সবচেয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে?

শায়েখ,একটু তাড়াতাড়ি উত্তর দিলে উপকৃত হবো,ইনশাআল্লাহ।

ভুল-ত্রুটি মাফ করবেন।  জাঝাকিল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2898 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছা করে নেয়,তাহলে ঐ মহিলাকে দেখতে পারবে এবং কথাও বলতে পারবে।
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
(إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ ، فَإِنْ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى مَا يَدْعُوهُ إِلَى نِكَاحِهَا ، فَلْيَفْعَلْ)
যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চায়,তাহলে সে যেন যযথাসম্ভব ঐ মহিলাকে দেখে নেয়।(সুনানু আবি দাউদ-২০৮২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।
(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পাত্রীকে শুধুমাত্র পাত্রই দেখতে পারবে বা পাত্রর পরিবারের মহিলাগণ দেখতে পারবে।পাত্রর মামাকে পাত্রী দেখানো কখনো উচিৎ হবে না।

যদি পাত্র দ্বীনদার হয়,এবং তার বংশ ও পেশা সবকিছুই মানসম্মত হয়, এবং পাত্র ভবিষ্যতে পাত্রীকে সম্পূর্ণ পর্দাতে রাখতে ওয়াদাবদ্ধ হয়, তবে শুধুমাত্র বিয়ের পূর্বে মামাকে দেখানোর কথা বলেন, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত রিশতা ভঙ্গ না করে বরং কবুল করা যেতে পারে।আল্লাহই ভালো জানেন।

(৩)
জ্বী, বিয়ের আগে জানাতে হবে যদি কোনো দোষণীয় বিষয় থাকে।নতুবা বিয়ের আগে জানানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(৪)
সে নামায পড়ছে কি না? সে তার স্ত্রীকে পর্দায় রাখবে কি না? এদুটি প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমেই জানতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
শায়েখ ৩ এবং ৪ নং প্রশ্নের উত্তর!!!? 
by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...