আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
258 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
edited by
(নিচে এডিট করা প্রশ্ন )

১)আগের প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে
"যদি সে উক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ইসলামের কোন ক্ষতি সাধন করার ইচ্ছা পোষণ করে করে তাহলে তা তার জন্য সম্পূর্ন  নাজায়েয এবং গোনাহ। কিন্তু এটিকে কুফুর বা শিরক বলা যাবে না।"
কিন্তু এটি কি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার মত না? তাহলে এমন কাজ কুফর নয় কেন?
ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা কি কুফর না?

লিংক কমেন্টে দিচ্ছি।
২)এতদিন কিছু কিছু কাজ করেছি যাতে সন্দেহ হচ্ছে ইমান নিয়ে।
এখন আমি কি সেই বিষয়গুলো আসলেই ইমান ভংগকারী কিনা তা জানতে একে একে প্রশ্ন করব নাকি ইমান দোহরিয়ে ফেলব?
নাকি এখন দোহরিয়ে ধীরে ধীরে প্রশ্ন করব এখানে?
কারন অনেক গুলো প্রশ্ন আছে। সময় লাগবে।
৩) এতদিন নাপাকি নিয়ে অনেক অসচেতন ছিলাম আর পরিবারেরও সাপোর্ট পাচ্ছিলাম না। আমি চাচ্ছি পিছনের নাপাকিগুলো নিয়ে চিন্তা বাদ দিয়ে সামনের দিনগুলোতে সচেতন থাকতে। আল্লাহর কাছে কি এভাবে দোয়া করা যাবে যাতে আল্লাহ নাপাকি গুলো দূর করে দেন যাতে আমার কিছু করতে না হয়? মানে আমি নাপাকি গুলো ধোয়ার ব্যবস্থা না করেও আল্লাহ যাতে তা দূর করে দেন? এভাবে দোয়া করা কি জায়েজ হবে?
৪) নাপাকি নিয়ে সচেতন ছিলাম না বুঝতাম। অনেক জায়গায় সেগুলো লেগে যেতে পারে। তাও আমার পরিবারের অন্য সদস্য নামাজ পড়েছে, আমার কাছে নামাজে র আর কতক্ষন আছে তা জানতে চেয়েছে, আমি বলেছি। একদিন ওযুর সময় ওযু নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে আমি বলেছি" ওযুর এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে ওযু হবে,"
কিন্তু স্পষ্ট ভাবে বলিনি যে তোমার ওযু হবে না। সে ও তো আমার কথা শুনে হয়ত ভেবেছে যে তার ওযু / নামাজ হয়েছে।
এক্ষেত্রে কার কার কুফর হবে?  সতর্কতার সাথে কি ইমান দোহরিয়ে ফেলব?

১) নম্বর প্রশ্নটি আমার কাছে অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে না। আমি আগের প্রশ্নটির উত্তর নিয়ে জানতে চাচ্ছিলাম, তা লিখেছি প্রশ্নে।

২) বিগত কিছুদিন যাবত কোনো কোনো কথা বা কাজের ফলে ইমান নিয়ে সন্দেহ হয়েছে।এখন যদি সবগুলো একসাথে প্রশ্ন করি তাহলে অনেক্ষন লাগবে। তাই জানতে চাচ্ছিলাম এখন সতর্কতার জন্য কালিমা শাহাদাত পড়ে ফেলব কিনা আর পরে ধীরে ধীরে প্রশ্ন করব কিনা?

৩) এই সাইটে একটা প্রশ্নের উত্তরে দেখেছিলাম প্রস্রাবের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে। আর নাপাকি লাগার সন্দেহ আর না লাগার সন্দেহ সমান সমান হলে বস্তুকে সতর্কতার জন্য নাপাক ধরে নিতে। (আমার এটাই মনে পড়ছে, আল্লাহ জানেন)
কিন্তু এ কয়েকদিন আমার শরীরের কোন অংশে( নাপাক হতেও পারে নাও হতে পারে) জায়গায় মগ লাগলে তা ধুই নি। এমন আরো কিছু ঘটনা আছে৷ তাই জানতে চাচ্ছিলাম

যদি নাপাকি লেগে থাকে কোন কোন জায়গায় তাহলে কি আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করা যাবে যাতে আল্লাহ সেগুলো দূর করে দেন? যাতে আমার কিছু করতে না হয়?
৪) ৩ এ যেমন ঘটনা বলেছিলাম। আশা করি বুঝতে পেরেছেন এখন

কমেন্টের প্রশ্ন গুলোঃ

১)আমি যদি নেক নিয়তে জেনারেলে পড়াশুনা করি আর আশেপাশের মানুষ ( আমার মা -ও) যদি মনে করে দুনিয়াবি ফায়দা বা চাকরির জন্য পড়ছি তাহলে কি আমার এতে কোন গুনাহ হবে?

২)শিক্ষাক্ষেত্রে, চাকরিক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমতা নিয়ে ইসলাম কি বলে?
কারো যদি শিক্ষাক্ষেত্রে, চাকরিক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা দেখে ভাল লাগে তাহলে তার কি কুফর হবে? যেহেতু ইসলামে পুরুষদেরকে নারীদের উপর কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নগুলো সম্পূর্ণই অসম্পূর্ণ। আপনাকে বলবো যে, আপনি প্রশ্নগুলো ইডিট করে দিবেন।সম্ভব হলে, ফোনে কথা বলবেন।আপনার রিপ্লাইয়ের অপেক্ষায় আছি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...