আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (19 points)
আস্সালামুআালাইকুম হুজুর,
ইমান ও পরিচ্ছন্নতার  বিষয় এবং আরো কিছু বিষয়ে প্রশ্ন ছিলো
১) যদি কেউ কোনো হিন্দু  ব্যক্তিকে চেনাতে গিয়ে এরকম বলে ফেলে ওইযে সেই লোকটা যে সারাদিন জয় তারা করে মানে জয় তারা একটা হিন্দুদের ঠাকুরের নাম। এরুপ বলার ফলে কি কারো ইমান চলে যাবে?

২) আমার মেঝো বোন আর আমি আমাদের ছোট বোনকে  নামাজ এর আগে ওযু করার কথা বলছিলাম কারন সে নামাজের আগে হয়ত ওযু করে নি এখন আমার মেঝো বোন বলছিলো তুই সূরা ভালো পারিস কিন্তু নামাজের আগে ওযু করিস নি তাহলে কি তোর নামাজ হবে নাকি তার কথাটি শুনে আমি হেসে ফেলেছিলাম এতে কি আমার ইমান চলে গিয়েছে?

৩) (২) নং ঘটনাটিতে আমার মেঝো বোনও উক্ত কথাটি বলার সময় হেসে দিয়েছিলো এতে কি তার ইমান চলে গিয়েছে?

৪) যদি কেউ কোনো ব্যক্তিকে মুনাফিক বলে যদিও সে জানে না সে আসলেই মুনাফিক কিনা তবে রাগের মাথায় বলে ফেলেছে তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে? অন্যকে মুনাফিক বলার জন্য?

৫) যদি কোনো নাপাক কাপড় একবার ধুয়ে নেওয়া হয় আর তাতে যদি কোনো পাক ভেজা / শুকনা পবিত্র কাপড় লাগে তাহলে কে সেই পবিত্র কাপড়টি নাপাক হয়ে যাবে?

৬) আমি আমার বোনের সাথে ওযু নিয়ে কথা বলছিলাম সে বলছিলো সতর সম্পূর্ন ঢাকা না থাকলে  ওযু চলে যাবে আমি তখন বলেছি না সতর সম্পূর্ন না ঢাকলে ওযু চলে যায়,না সে এটা মানতে চাচ্ছিলো না তখন রাগ করে বলি আমি যখন বলেছি তখন এটাই ঠিক এরুপ বলার কারনে কি ইমান চলে যাবে?

৭) আখলাক ঠিক রেখে যে যাই বলুক তার ইমান চলে যাবে না বিষয়টি কি এরকম?

৮)না জানার কারনে যদি কেউ হারামকে হালালা মনে করে তবে জানার পর সেই ধারনা ত্যাগ করে তাহলে কি তার পুনরায় ইমান আনতে হবে?

৯) এমন কোনো গল্পের বই কি পড়া যাবে যেগুলো হিন্দু প্লাটফর্ম  এ লিখা যেমন হয়ত গল্পের কিছু যায়গায় পূজার বর্ননা দেয়া? তবে গল্পের কাহিনী  অন্য?

১০)এমন গল্গের  বই কি পড়া যাবে যেখানে গল্পের আসল চরিত্র হয়ত হিন্দু তবে গল্পের কাহিনি ভিন্ন?যেমন - রবীন্দ্রনাথ এর বই, শরৎচন্দ্রের?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


কাফের বলার ক্ষেত্রে উসূল

আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-

ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199

কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯} 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَىٰ إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا تَبْتَغُونَ عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَعِنْدَ اللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٌ ۚ كَذَٰلِكَ كُنْتُمْ مِنْ قَبْلُ فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فَتَبَيَّنُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا [٤:٩٤]

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন আল্লাহর পথে সফর কর,তখন যাচাই করে নিও এবং যে,তোমাদেরকে সালাম করে তাকে বলো না যে, তুমি মুসলমান নও। তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদ অন্বেষণ কর,বস্তুতঃ আল্লাহর কাছে অনেক সম্পদ রয়েছে। তোমরা ও তো এমনি ছিলে ইতিপূর্বে; অতঃপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। অতএব, এখন অনুসন্ধান করে নিও। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খবর রাখেন। {সূরা নিসা-৯৪}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي ذر رضي الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يرمي رجل رجلا بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك 

হযরত আবু জর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুল সাঃ বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যদি কাউকে ফাসেক বলে, কিংবা কাফের বলে অথচ লোকটি এমন নয়,তাহলে তা যিনি বলেছেন তার দিকে ফিরে আসবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬৯৮} 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এরুপ বলার ফলে কারো ঈমান চলে যাবেনা। 

(০২)
এতে আপনার ঈমান চলে যায়নি। 

(০৩)
এতে তারও ঈমান চলে যায়নি। 

(০৪)
অন্যকে মুনাফিক বলার জন্য তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৫)
সেই নাপাক কাপড় ভেজা থাকলে পাক কাপড় ভেজা থাকা অবস্থায় স্পর্শ হলে পাক কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
আর পাক কাপড় শুকনো থাকলে তাতে পানির চিন্হ পাওয়া গেলে পাক কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।

(০৬)
এরুপ বলার কারনে ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৭)
ইচ্ছাকৃতভাবে ঈমান চলে যাওয়ার মতো যেকোনো কাজ করলে বা যেকোনো বাক্য বললে তার ঈমান চলে যাবে।

(০৮)
না,তাকে পুনরায় ঈমান আনতে হবেনা।

(০৯)
উক্ত বই পড়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে ঈমানের জন্য,এমন লাইন গুলী স্কীপ করে চলে যেতে হবে।

(১০)
হ্যাঁ,এমন বই পড়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...