আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
476 views
in সাওম (Fasting) by (15 points)
edited by
১. আজান দেয়ার এক মিনিট আগ অব্দি খেলে কি রোজা ভেঙ্গে যাবে? কখন সাহেরির শেষ সময়?

২. যে ব্যক্তি সকালে কাজে যায় এবং সে রাত্রে না খেলে রোজা  রাখা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় সে দেরিতে ঘুম ভাঙে যদি আজান দেয়ার সময় বা আজান দেয়ার অব্দি সাহরি করে তাহলে কি তার রোজা হবে?

৩. কোন ব্যক্তি তারাবীহ নামাজ না পড়লে কি তার গুনাহ হবে?

৪. কোন ব্যক্তি অজু করার সময় নাকের নরম স্থান অব্দি পানি প্রবেশ করাতে গিয়ে পানি নাকের নল দিয়ে ভিতরে চলে গেছে।এতে কি তার রোজা ভেঙ্গে যাবে?

৫. কান্নাকাটি করায়,বা ঠান্ডা লাগায় কিংবা যেকোন ভাবে কারো নাকে বা গলায় কফ/সর্দি জ্বমে আছে আর ঢোক না গিললে তার অস্বস্তি হচ্ছে। এই ঢোক গিলায় তার রোজা ভাঙবে?

৬. কোন ব্যক্তির জন্য ফজরের সালাতের আগে সাহরির সময়ে গোসল ফরজ হলো আর সে রাতে গোসল না করে সাহরি করে ঘুমিয়ে গেলো আর সকালে গোসল করলো।এতে কি তার রোজা হবে?

৭. খাবার পর অনেক সময় মনে হয় খাবার গলার উপরে চলে আসছে তখন ঢোক গিয়ে নিচে পাঠালে রোজা ভেঙে যাবে?

৮. কোন ব্যক্তির অজু আছে কিন্তু কাপড়ে নাপাকি লেগে আছে এই অবস্থায় সে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (60,180 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

সাহরী খাওয়া সুন্নত। পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়, এক ঢোক পানি পান করলেও সাহরীর সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। আর সাহরী খেতে পারবে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত। সুতরাং ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার একটু পরেও  খেলে তার রোজা হবে না।

 

হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

تسحروا، فإن في السحور بركة.

 ‘তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে।’-সহীহ মুসলিম ১/৩৫০

 

অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন।

(মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস : ৯০১০; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৩৪৭৬)

 

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/3346/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. রমজান মাসে সাধারণত ফজরের আযান দেওয়া হয় ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পরে।  তাই আজান দেয়ার এক মিনিট আগ অব্দি খেলে তার রোজা হবে না। তবে আরো ভালো ভাবে সাহরীর শেষ সময় সম্পর্কে জানার জন্য আপনার এলাকার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডার দেখে নিবেন।

২. না, আজান দেয়ার সময় বা আজান দেয়ার অব্দি সাহরি খেলে তার রোজা হবে না।

৩. হ্যাঁ, তারাবীহ এর নামাজ না পড়লে তার গোনাহ হবে।

৪. হ্যাঁ, এতে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে।

৫. না, এতে তার রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, কফ, সর্দি বা থুথু গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যায় না।

৬. হ্যাঁ, এতে তার রোজা হবে।

৭. খাবার মুখে চলে আসার পর তা গিলে ফেললে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। তবে গলার মধ্যে থাকা অবস্থায় গিলে ফেললে কোনো সমস্যা নেই।

৮. হ্যাঁ, পারবে। তবে গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় পারবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...