বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
সাহরী খাওয়া সুন্নত। পেট ভরে
খাওয়া জরুরি নয়,
এক ঢোক পানি পান করলেও সাহরীর সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। আর সাহরী
খেতে পারবে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত। সুতরাং ফজরের নামাজের ওয়াক্ত
শুরু হওয়ার একটু পরেও খেলে তার রোজা হবে না।
হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
تسحروا، فإن في السحور بركة.
‘তোমরা সাহরী খাও।
কেননা,
সাহরীতে বরকত রয়েছে।’-সহীহ মুসলিম ১/৩৫০
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না।
এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত
বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন।’
(মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস : ৯০১০; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৩৪৭৬)
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/3346/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. রমজান মাসে সাধারণত ফজরের আযান
দেওয়া হয় ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পরে। তাই আজান দেয়ার এক মিনিট আগ অব্দি খেলে তার রোজা
হবে না। তবে আরো ভালো ভাবে সাহরীর শেষ সময় সম্পর্কে জানার জন্য আপনার এলাকার ইসলামিক
ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডার দেখে নিবেন।
২. না, আজান দেয়ার সময় বা আজান দেয়ার অব্দি সাহরি খেলে তার রোজা হবে
না।
৩. হ্যাঁ, তারাবীহ এর নামাজ না পড়লে তার গোনাহ হবে।
৪. হ্যাঁ, এতে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে।
৫. না, এতে তার রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, কফ,
সর্দি বা থুথু গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যায় না।
৬. হ্যাঁ, এতে তার রোজা হবে।
৭. খাবার মুখে চলে আসার পর তা
গিলে ফেললে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। তবে গলার মধ্যে থাকা অবস্থায় গিলে ফেললে কোনো সমস্যা
নেই।
৮. হ্যাঁ, পারবে। তবে গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় পারবে না।