আমাকে উত্তর গুলো দিয়ে আমাকে দয়া করুন।আপনাদের বিরক্ত করার জন্য খুবই লজ্জিত।আসলে আমরা ওয়াসওয়াসা গ্রস্থরা খুবই অসহায়।আল্লাহ্ বাদে আপনারা ছাড়া আমাদের কথা কেই বা শুনবে।উত্তর গুলো বিস্তারিত দিলে বুঝতে সহজ হয়।
(ঘটনা ১)
আমার স্ত্রী আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করে,আর আমিও বুঝতে পারি যে আমি তার সাথে অন্যায় করি।তখন আমি বলি দেখ আমি তো আসলেই আর্থিক ভাবে দূর্বল, অলস,সব কিছুই তুমি বুঝেছ।সামনের দিন গুলো কিভাবে যায় জানা নেই।আমার সাথে থাকলে তোমার জীবন কস্টের হবে। তুমি তোমার পরিবারের সাথে আলাপ করতে পারো।এটা সারাজীবনের ব্যাপার। তুমি চাইলে আমি তোমাকে ছেড়ে দিব।আমার যা হবার হবে,আমাকে নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই।
এক কথায় তাকে বিভিন্ন ভাবে বুঝাই যে তুমি চাইলে আমি সব শেষ করতে রাজি আছি।আমার যা হবার হবে।
তখন সে বলে আমি এই সব চাই না।আমার পরিবারও চাইবে না।ছোট জীবনে যেভাবেই হোক কাঠিয়ে দিব।
ঘটনা ১ এর আলোকে প্রশ্ন
(ক)"উক্ত ঘটনা ও তুমি চাইলে ছেড়ে দিব বা সব শেষ করে দিব" এই গুলোর দ্বারা কি স্ত্রী নিজেকে তালাক দেওয়ার অনুমতি পেয়ে গেছে?
(খ) আমি ৯৯% নিশ্চিত যে বলেছিলাম তুমি চাইলে "দিব বা শেষ করব" অর্থাৎ ভবিষ্যৎ বাক্যে বলেছিলাম।ডিরেক্ট বলিনি
কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসা হচ্ছে যে আমি যদি এইভাবে বলে থাকি যে
" তুমি চাইলে শেষ অথবা তুমি চাইলে হয়ে যাবে" ??
তাহলে কি হবে?
ঘটনা প্রায় ৫ মাস আগের, তখন আমার উক্ত ওয়াসওয়াসাটি আসে নি।
(গ) এখন যদি সে কোন দিন আমার কাছে তালাক চায়,আর আমি না দেই।।
তাহলেও কি পতিত হয়ে যাবে? যেহেতু আমি লাল মার্ক করা কথাটি বলেছিলাম কি না ওয়াসওয়াসা হচ্ছে।
(ঘ)স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করার ইচ্ছে করছে।আবার ভয় হচ্ছে যে তার কি রকম মনে আছে কে জানে?যদি মনে নেই বলে?বআমি কি আমার স্ত্রীকে কি জিজ্ঞেস করব সেদিন আমি কি বলেছিলাম?নাকি ৯৯% নিশ্চিত যেটা সেটা ধরে নিব।জিজ্ঞাসা না করলে কোন সমস্যা হবে?
(ঙ )এই প্রশ্নটি ভাল করে লক্ষ করুন প্লিজ।
আমি জানি যে প্রশ্ন লিখার উদ্দেশ্যে যা কিছুই লিখা হয়, তাতে তালাক হবে না বা প্রশ্ন করার উদ্যেশ্যে তালাকের শর্ত লিখে ফেললেও তালাক হবে না।
কিন্তু যখন আমি লাল মার্ক করা শর্তটি লিখা শুরু করি(পুরু লিখিনি)তখন ভাবি যে ওয়াসওয়ার বিষয়টি লিখার দরকার নাই,ওয়াসওয়াসা বাদ দেই।একবার ভাবি লিখব আবার ভাবি থাক দরকার নাই, এই করতে করতে মার্ক করা শর্তটি পুরু লিখেই ফেলি।
কিন্তু লেখার পর মনে হচ্ছে.. আমি একবার ভেবেছি ওয়াসওয়াসা জনিত প্রশ্নটি লিখব, আবার ভেবেছিলাম লিখব না।
ঠিক যখনই ভেবেছিলাম লিখব না, ঠিক তখই যদি শর্তটি লেখা হয়ে থাকে,তাহলে তো আমি প্রশ্ন করার উদ্যেশ্যে লিখিনি,এমনিতেই লিখেছি।আর এমনিতে লিখার কারণে শর্ত হয়ে যেতে পারে।আমার এগুলো মনে হচ্ছে।আর ভয় হচ্ছে।
অথচ আমার এই সাইটের বক্সে প্রশ্ন করতেই এইগুলো লিখছি।
(চ)আমি বিভ্রান্তিতে পড়ে গেছি।এখন আমি কোনটা ধরব প্রশ্ন করার উদ্যেশ্যে শর্তটি লিখেছি ধরব?
নাকি যখন ওয়াসওয়াসা জনিত প্রশ্নটি ভেবেছিলাম লিখব না ঠিক তখনই লিখা হয়ে গেছে ধরব?
যদি সত্যিই যখনই ভেবেছিলাম ওয়াসওয়াসা জনিত প্রশ্নটি লেখার দরকার নাই,ঠিক তখনই শর্তটি লিখা হয়ে থাকে, তাহালে শর্তটি পাওয়া গেলে কি তালাক হয়ে যাবে?
(ছ)কেউ যদি এমনিতেই উদ্যেশ্য ছাড়া,তালাকের নিয়ত ছাড়া, মার্ক করা শর্তটি লিখে, তাহলে কি এটা শর্তযুক্ত কেনায়া বাক্য ধরা হবে?তালাকের উদ্যেশ্যে না লিখলে, শর্তটি পাওয়া গেলে পতিত হয়ে যাবে?
(জ)কাবিন নামায় সাইন করার সময় আমি দেখিনি যে ১৮ নাম্বর কলামে কাজি ঠিক চিহ্ন দিয়েছিলেন কি না জানিনা।আমি কলাম পড়িও নি।কি লেখা তা আমাকে জানায়ও নি।
আমাকে না জানিয়ে যদি কাজী ঠিক দিয়ে দেয়,কিন্তু আমি কিছুতেই চাই না স্ত্রী এই অনুমতি পেয়ে যাক। তাহলে কি স্ত্রী অনুমতি পেয়ে যাবে?
(ঘটনা ২)
রমজানে কিভাবে সহবাস করব সেই বিষয়ে আলোচনা করছিলা।স্ত্রী আমকে বলে আপনি না করে থাকতে পারবেন?
আমি তখন আঞ্চলিক ভাষায় বলেছি "হারাম(অর্থাৎ পারব)"ময়মনসিংহ এর আঞ্চলিক ভাষায় কোন কিছু পারলে এভাবে বলা হয় যে "আমি এই কাজটি হারাম(পারব)"
কিন্তু স্ত্রী তখন কথাটি নিয়ে মজা করে জিজ্ঞেস করে যে
"হারাম(অর্থাৎ নিষিদ্ধ) "?
আমি বলেছি আরে না, বলছি যে.. " হারাম(অর্থাৎ পারব)"
সে বলে আবার মজা করেই বলে, "আরে না আপনি বলেছেন "হারাম(অর্থাৎ নিষিদ্ধ)"
আমি আবারও বলি, আরে না "আমি হারাম(অর্থাৎ পারব)" বলেছি।
এইবাবে কয়েকবার মজার চলে কথা-কাটাকাটি হয়।
(ঘটনা ২ এর আলোকে প্রশ্ন)
(ক)আমার স্ত্রী যদি তালাকের অনুমতি পেয়েও যায়, তাহলে উক্ত মজা করে কথা-কাটাকাটি দ্বারা কি আমাদের সম্পর্কের কোন ক্ষতি হবে?
(খ)তালাকের অনুমতি প্রাপ্ত স্ত্রী যদি
এইবাবে বলে "আপনার জন্য আমি হারাম" তাহলে কি তালাক পতিত হয়ে যাবে কি না?
(গ)কিভাবে বললে স্ত্রী নিজের উপর তালাক পতিত করার অনুমতি পাবে?কেনায়া বাক্যেও কি স্ত্রীকে তালাক পতিত করার অনুমতি দেওয়া যায়?
(ঘ) অনুমতি প্রাপ্ত স্ত্রী কিভাবে বললে তার উপর তালাক পতিত করতে পারবে?কেনায়া বাক্যেও কি নিজের উপর তালাক পতিত করতে পারবে?