আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আসলে ওয়াসওয়াসার আক্রান্ত। তালাকের ব্যাপারে জানার পর থেকে আমার আব্বু আম্মুর জন্য শুধু ভয় হয়।আগে আব্বু আম্মু কিছুদিন পর পর ই ঝগড়া করত, মাঝে মাঝে আব্বু বলত থাকতে না পারলে যাগা,আমার পোলাপান আমি পালতে, পারব। তুই না থাকলে আমার পোলাপান আর ও ভালো ভাবে মানুষ হইব।আবার কখনও কখনও শুধু বলত যে 'যাগা '।

এইগুলার দ্বারা কি তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে ক্ষতি হবে?

আমি ত জানি না এ আব্বু তালাক এর নিয়তে বলেছি কিনা।

একবার আম্মুকে জিজ্ঞেস করি যে, আম্মু তোমারে যে আব্বু আগে যাগা যাগা বলত এইটা ডিভোর্স এর নিয়ত বললে কিন্তু হয়ে যাবে।

আম্মু বলে যে ডিভোর্স দিব কেন। আর তোর আব্বুরে পরে আস্ক করলে নাকি বলত যে এমনেই। (হয়ত রাগে বলত)

আবার এইরকম কিছু আব্বু এইগুলা বলার আগে বলত না আমার ফুপ্পুরে আমার ফুপু এইগুলা বলত আর আব্বুরে আইসা ফুপ্পু বিচার দিত, পরে এর পর থেকেই নাকি আব্বু ও আম্মুক এইভাবে বলত।

আর যদি আম্মু এই যাগা যাগা বার বার বলার দরুন রাগ করে নানু বাসায় যায় তাহলে কি কোন সমস্যা হবে? মুলত অভিমান থেকে বা কষ্ট থেকে।

আর এখন এইগুলা বলে না তবে আব্বু মাঝে মাঝে হাসতে হাস্তে বলে যে না পারলে যাওগা মুলত সিরিয়াস মুহহুত্ত্রে না এম্নি এমনি বলে।যখন আম্মি বিভিন্ন অভিযোগ করে এইটা অইটা নিয়ে।

1 Answer

0 votes
by (679,480 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ
""তোর আব্বুরে পরে আস্ক করলে নাকি বলত যে এমনেই""

তার মানে আপনার আব্বু নিজেই বলেছে যে তিনি তালাকের নিয়তে এসব বাক্য বলেনা।
এমনিতেই রেগে বলে।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আম্মু আর আব্বুর মাঝে কোনো তালাক হয়নি।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...