আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
154 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম

1.সিজদায় কি রব্বানা দোয়া করা যাবে?পিতামাতার জন্যে কোরআন এ যে দোআ আছে তা কি করা যাবে?সালাতে না চাইতে ও কান্না আসলে কি নিশব্দে কাদা যাবে?যেমন পিতামাতা র সুস্থতা কামনায়?কারণ আমি শুনেছিলাম কেদে দোয়া করলে আল্লাহ খুশি হন?

2.যে কোনো অবস্থায় কি দোআ করা যাবে?নাকি সবসময় হাত তুলে মোনাজাত করে করতে হবে?মনে মনে করলে কি হবে?

3.আমার 5 সেপ্টেম্বর থেকে এখন ও ব্লিডিং হচ্ছে মাঝে 5 দিন এর মাথায় বন্ধ হওয়া তে আমি ফরজ গোসল করে নামাজ পরি ..পরদিন এ অল্প করে আবার শুরু হয়,,এখন আমি যে নামাজ শুরু করলাম তা কি ঠিক আছে?কেননা 5 দিন র দিন কোনো ব্লিডিং ছিলনা..কিন্তু এরপর থেকে এখন অবধি অল্প অল্প করে হছে যা 2 দিন ধরে বেড়েছে..এখন প্রায় এক মাস হয়ে যাচ্ছে নতুন করে মাসিক হছে না ইস্তিহাযা ই হচ্ছে আমি কি করে বুঝবো?আমি কি মেডিসিন নিয়ে ব্লিডিং অফ করবো?এবং ব্লাড র পরিমাণ অল্প বা বেশি যাই হোক যেমন মাসিক র শুরুতে খুব ই অল্প যায় পরে বাড়ে এক্ষেত্রে কি প্রথম দিন থেকেই কাওন্ট করবো?ব্লিডিং র পরিমান যাই হোক না কেনো?

1 Answer

0 votes
by (710,920 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-
দু'আ অন্যান্য ইবাদতের ন্যয় একটি ইবাদত।
হযরত নু'মান বিন বশির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে
ﻋﻦ ﺍﻟﻨﻌﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﺑﺸﻴﺮ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻫﻮ ﺍﻟﻌﺒﺎﺩﺓ ﺛﻢ ﻗﺮﺃ ﻭﻗﺎﻝ ﺭﺑﻜﻢ ﺍﺩﻋﻮﻧﻲ ﺃﺳﺘﺠﺐ ﻟﻜﻢ ﺇﻥ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﺴﺘﻜﺒﺮﻭﻥ ﻋﻦ ﻋﺒﺎﺩﺗﻲ ﺳﻴﺪﺧﻠﻮﻥ ﺟﻬﻨﻢ ﺩﺍﺧﺮﻳﻦ
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺪﻋﻮﺍﺕ » ﺑﺎﺏ ﻣﻨﻪ

নবীজী সাঃ বলেন, দু'আ-ই একটি ইবাদত।অতঃপর নবীজী সাঃ সূরা আল-মু'মিনের ৬০ নং আয়াত তেলাওয়াত করেন।যার ভাবার্থ হল,
"তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে লাঞ্ছিত হয়ে দাখিল হবে।
{সুনানে তিরমিযি-৩৩৭২}
সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ডাকা, আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে নেয়া,দু'আ করা একজন মুসলমানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।এমনকি হাদীস শরীফে এসেছে যদি কারো জুতার ফিতা খুলে যায় তাহলে যেন সে প্রথমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চায় এবং ফিতা বাধে।
নামায,রোযা,হজ্ব,যাকাত,ইত্যাদি পৃথক পৃথক ইবাদত।দু'আ ও একটি ইবাদত,তবে দু'আ নির্দিষ্ট  পৃথক কোনো ইবাদত নয় বরং কখনো উপরোক্ত ইবাদত সমূহের সাথে সংযুক্ত হয়ে আসে।আবার দু'আকে পৃথক ভাবেও করা যায়।

নামাযের বাইরে এবং নামাযের ভিতরকার পরিচিত ও প্রসিদ্ধ দু'আ-দুরূদ সমূহকে সবাই পড়ে থাকেন এবং সুন্নাত বা মুস্তাহাব হিসেবে গণ্য করে থাকে।

নামাযের ভিতরকার পরিচিত ও প্রসিদ্ধ দু'আ সমূহ ব্যতীত অন্যান্য দু'আ, এবং নিজ প্রয়োজন উল্লেখপূর্বক দু'আ ও নিজ মাতৃভাষায় দু'আ যাবে কি?বা জায়েয আছে কি?
এমন প্রশ্নের জাবাবে বলা যায় যে,
নামায দ-ুপ্রকার ফরয ও নফল।
আমরা নিম্নে নিম্নে দু'আ সম্পর্কে আলোচনা করব।
ফরয নামাযে নির্ধারিত প্রসিদ্ধ দু'আ সমূহ ব্যতীত কি অন্যান্য দু'আ করা যাবে?
নিজপ্রয়োজন উল্লেখ করে কি দু'আ করা যাবে?
নিজ মাতৃভাষায় কি দু'আ করা যাবে?

এ সমস্ত প্রশ্নের জবাব খুজতেই আমাদের এ প্রচেষ্টা। আল্লাহ কবুল করুক।আমীন।
আসুন প্রথমে নামাযে বর্ণিত দু'আ সমূহ সম্পর্কে আংশিক কিছু ধারণা নিয়ে নেই।..................বিস্তারিত জানুন- 185

প্রথমে এই মূলনীতি গলো বুঝুন তারপর আপনার প্রশ্নের উত্তর বুঝতে পারবেন।


(১)ফরয নামায যদি একাকী পড়েন,বা নফল নামাযে কুরআন হাদীসে বর্ণিত আরবী দু'আ করতে পারবেন।কান্না এমন পর্যায়ে যদি চলে যায় যে,মুখ থেকে কোনো অক্ষর সৃষ্টি হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হবে।নতুবা সাধারণ কান্না আসলে নামায ফাসিদ হবে না।বিস্তারিত জানুন- 431  আল্লাহ সামনে নিজের অপারগতা পেশ পূর্বক কেউ যদি কান্না করে তাহলে, সেই অপারগতাকে আল্লাহ বেশী কবুল করেন।

(২)
যেকোনো অবস্থায় যেকোনো মূহুর্তে আপনি দু'আ করতে পারবেন।দু'আ করার জন্য হাত তুলা শর্ত নয়।বরং নামাযের বাহিরে হাত তুলে দু'আ করাটা দু'আর আদাব বা মুস্তাহাব।

(৩)
আপনার পূর্বের যে নিয়ম ছিলো,মাসের যত তারিখে আসতো,এখন মাসের ঐ তারিখ অাসলে,ঐ দিন থেকে নিয়ে দশ দিন পর্যন্ত কমবেশী যা কিছুই আসুক না কেন,যে কোনো কালারের আসুক না কেন,সবগুলোই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।এবং পরবর্তী দিন সমূহ ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 510 views
+1 vote
1 answer 1,838 views
...