ওয়া
আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
মিথ্যা বলা মহাপাপ।রাসূলুল্লাহ সাঃ জীবনে কখনো মিথ্যা বলেননি।এমনকি মিথ্যা পরিহারকে সর্বোত্তম আ'মল বলে হাদীসে ঘোষিত হয়েছে।রাসূলুল্লাহ নিজে কৌতুক বা মজাক করেছেন,কিন্তু মিথ্যা পরিহার করে। রাসূলুল্লাহ সাঃ একবার এক বৃদ্ধাকে বলেন, কোনো বুড়ো মানুষ তো জান্নাতে যাবে না। বেচারী কান্না শুরু করে দিলে তিনি বলেন, বুড়িকে তো আল্লাহ জোয়ান বানিয়ে জান্নাতে দিবেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ بِالحَدِيثِ لِيُضْحِكَ بِهِ القَوْمَ فَيَكْذِبُ، وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُ»
‘‘যে ব্যক্তি মানুষ হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে তার জন্য ধ্বংস! তার জন্য ধ্বংস! তার জন্য ধ্বংস!’’ (তিরমিযী-২৩১৫; আবূ দাউদ-৪৯৯০)
অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقًّا، وَبِبَيْتٍ فِي وَسَطِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَإِنْ كَانَ مَازِحًا وَبِبَيْتٍ فِي أَعْلَى الْجَنَّةِ لِمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ»
‘‘যে ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা বর্জন করে, মস্কারা বা কৌতুক করতেও মিথ্যা বলে না, তার জন্য জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ির জন্য আমি দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।’’ (আবূ দাউদ হাদীস নং ৪৮০০)
কৌতুক করে কাউকে ভয় পাইয়ে দেওয়াও জায়েয হবে না।এক সফরে সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ -এর সাথে ছিলেন। একজন সাহাবী ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তখন অন্য একজন গিয়ে তার রশিটি নিয়ে আসেন। এতে ঘুমন্ত ব্যক্তি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে উঠে পড়েন। তার ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থা দেখে সাহাবীগণ হেসে উঠেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা হাসছ কেন? তারা ঘটনাটি বললে তিনি বলেন:
«لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يُرَوِّعَ مُسْلِمًا»
‘‘কোনো মুসলিমের জন্য বৈধ নয় যে, সে অন্য মুসলিমকে ভয় পাইয়ে দিবে।’’(আবূ দাউদ-৫০০৪)
কোনো খবর শোনার পর তাহক্বীক না করে প্রচার করাও মিথ্যার একটি প্রকার।রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
«كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ»
‘‘একজন মানুষের মিথ্যাবাদি হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে তাই বলবে।’’ ( সহীহ মুসলিম১/১০-১১).................................বিস্তারিত জানুন-
1719
এক ইবাদত করার পর যখন শরীর মন ক্লান্ত হয়ে যায়, তখন আবার ইবাদতে মনোযোগ সৃষ্টি করতে
শরয়ী বিনোদনের অনুমোদন শরীয়তে রয়েছে।
হযরত আলী রাযি বলেনঃ
روِّحوا القلوبَ ساعةً فساعةً
'তোমরা অন্তরকে মাঝেমধ্যে আনন্দ প্রফুল্লতা দান করো'
অন্য বর্ণনায় এসেছে,আলী রাযি বলেনঃ
ﻳﺮﻭﻯ ﻋﻦ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ( ﺃﺟﻤﻮﺍ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻘﻠﻮﺏ، ﻭﺍﻟﺘﻤﺴﻮﺍ ﻟﻬﺎ ﻃﺮﺍﺋﻒ ﺍﻟﺤﻜــﻤﺔ، ﻓــﺈﻧﻬﺎ ﺗﻤــﻞ ﻛﻤــﺎ ﺗﻤــﻞ ﺍﻷﺑــﺪﺍﻥ )
তোমরা অন্তরকে নিজ কাজে জমিয়ে রাখো,এবং এর জন্য হেকমতের পথ খোঁজ করো।কেননা অন্তর তেমনি ক্লান্ত হয়ে ,যেভাবে শরীর ক্লান্ত হয়।...........................বিস্তারিত জানুন-
673
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মিথ্যা ও অশ্লীলতা পরিহার করে যদি কোনো কৌতুক বই থাকে,তাহলে ইবাদতের জন্য মনকে সতেজ করার স্বার্থে উক্ত বই পড়ার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।
(২)
পুরাতন বইকে যদি তার মালিক বিক্রি করে দিতে চায়,তাহলে সেই বইকে ক্ররিদ করতে বাঁধা কিসের।অবশ্যই জায়েয হবে।তবে যদি বইয়ের মালিক ব্যতীত অন্য কেউ বিক্রি করতে চায়,তাহলে সেটা জায়েয হবে না।