১।আসসালামু আলাইকুম হুজুর যদি এমন হয়। কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বললো যে, ""কোনদিন কিন্তু আমাকে বিন্দু পরিমান ঠকাইবা না। তাহলে কিন্তু সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে।""
আসলে স্বামী শর্ত দেওয়ার জন্য বলেনি যে বিন্দু পরিমান ঠকালে তা-**. এমন বুঝায় নি। স্বামী নাকি শুনেছে বউ যদি জামাইকে ঠকায় তাহলে তাদের সম্পর্ক হারাম হয়ে যায়। এই ধারণা থেকে যদি স্বামী কথাটা বলে থাকে তাহলে কি ওই স্ত্রীর উপর কোন শর্ত পরবে??
স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী,, সে যাই করতে যায় মনে হয় স্বামী কে ঠকিয়ে ফেললো না তো?? রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করতে গেলেও কারোর দিকে তাকালেও মনে হয় ঠকিয়ে ফেললো না তো??
তাই সে স্বামীকে জিজ্ঞেস করে ওইদিন সে অন্য কিছু মিন করেছিল কিনা??..."" স্বামী বলে এতকিছু জানো আর এইটা জানো না?? হুজুর রাও তো বলে পর নারী বা পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করলে তাদের সংসার হারাম হয়ে যায়।"""
স্বামী যদি এইরকম ধারণা থেকে কথাটা বলে যে,,,, যদি স্ত্রী এই ধরনের কিছু করে তাহলে সম্পর্ক হারাম হয়ে যায় বা তা-*** হয়ে যায়,,, এই ধারণা নিয়ে যদি স্ত্রীকে বলে "" কোনদিন বিন্দু পরিমান ঠকাইবা না তাইলে কিন্তু সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে""
এইভাবে বললে কি শর্ত পরবে??
২। কোন মহিলা যদি সার্চ করতে গিয়ে লিখতে চায় """তালাকের সন্দেহ করলে তা** হয় কিনা""
কিন্তু সে এই বাক্য টা পুরো লিখে না,,শুধু লিখে "" তালাকের সন্দেহ করলে তা**,,,, এইটুকু লিখার পর সে বাকি অংশ লিখে না ওয়াসওয়াসার কারনে , অর্থাত " হয় কিনা" লিখে নি।
তাহলে এইটুকু লিখার কারণে কি মহিলার নিজের উপর শর্ত পরে যাবে?? এমন কোন শর্ত যে, ওই মহিলা তালাকের যেকোন সন্দেহ করলে তার উপর তা** পতি* হবে??
৩।""তালাকের সন্দেহ করলে তালা*"" কোন মহিলা শুধু এইটুকু বললে তার উপর শর্ত দিতে পারবে?? এইখানে তো সে নিজেকে উল্লেখ করে বলেনি বাক্যটা,, তার নিয়তে যদি নিজের কথা থাকতো তাহলে কি তার উপর শর্ত পরবে?
৪।
একজন মহিলা আপ্নার কাছে প্রশ্ন করার সময় লিখতে যায়, """ কোন মহিলা কি এইটুকু বলে তার নিজের উপর তা**** শর্ত নিতে পারবে??"
এইখানে স্টার দেওয়া যায়গায় সে লিখেছিল ""তালাকের""
তারপর সে বাক্য টা খেয়াল করে ভয় পেয়ে যায়,, কারন সেখানে লিখা ছিল """ তার নিজের উপর তা****।। (স্টার দেওয়া যায়গায় তালাকের লিখেছিল।)
সে ভাবে এইভাবে লিখার ফলে কি তার উপর তা*** পতিত হয়ে যাবে কিনা??
৫।হুজুর,,স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী,, তাই তার স্বামী কোন ধরনের কেনায়া বাক্য বললেই তাকে সে তালাকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে।
ওইদিন একটা কেনায়া ধরনের শব্দ শোনার পর স্ত্রী এই প্রশ্ন করায় স্বামী প্রচন্ড রেগে যায়।
সে বলে এই কথার মধ্যে তালাক পাইলা কই?? সারাদিন এত তালাক তালাক করো কেন??
তালাক মনে হয় তোমার মাথায় বাসা বাধছে। এইসব কথা সে খুবই রাগ করে বলে।।মেসেজে হয়েছে কথাগুলো।
স্বামী যে এতবার তালাকের শব্দ লিখেছে সেজন্য কি সমস্যা হবে??
যদি শব্দ লিখার সময় নিজের স্ত্রীকে মনে মনে ভেবে ফেলতো??
৬।
এইভাবে কথা বলার পর স্বামী আরও বলেছে এই জঘন্য শব্দটা তুমি নিজেও বললা আমাকেও বলাইলা। স্ত্রী বলে এইভাবে বললে কোন সমস্যা হয়না তো,, তুমি তো আমাকে দেওয়ার জন্য বলোনি,, তাই কোন সমস্যা হবে না।। স্বামী বলে অহ সমস্যা হবে না তাহলে কি সারাদিন বলবো এইসব। তারপর স্ত্রী বলে আরে তোমার তো আমাকে তা** দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না এইসব কথায়, তাই সমস্যা হবে না বলেছি। তারপর স্বামি আর কিছু বলেনি। ।
###এইখানে স্ত্রী তো বলেছে সামীকে যে তুমিতো আমাকে দেওয়ার জন্য বলোন শব্দটা তাই সমস্যা হবে না,, এইটা বলে সে নিজের মনের ওয়াসওয়াসা দূর করেছে কারন সে সরাসরি তাকে নিয়ত জিজ্ঞেস করলে আবার রাগ করবে। এখন কি স্ত্রী ধরে নিবে তার স্বামী তাকে দেওয়ার জন্য বলেনি ওইসব? নাকি আবার জিজ্ঞেস করবে??
৭।
স্বামী যদি স্ত্রীকে তা** শর্ত দেয় এইটা বলে যে, "" আমার সামনে আর এইসব কথা বলবা না,, বললে তা***"""
এখন স্ত্রী কি স্বামী এইসব কথা বলতে যেসব কথা বুঝিয়েছে সেসব কথাই বলতে পারবে না শুধু?? নাকি স্ত্রী কোনদিন "এইসব কথা"" এই শব্দটাও বলতে পারবে না??
স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী তাই সে ভাবে,, সে অন্য কারোর সাথে কথা বলতে গিয়ে "" এইসব কথা"" এই শব্দ বলে ফেললেও সমস্যা হবে কিনা??
৮। স্ত্রী যদি প্রশ্ন করে স্বামী কোনদিন কেনায়া বাক্য বলার সময় তালা** নিয়ত করে বলেছিল কিনা। স্বামী যদি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয় বা বলে হ্যাঁ,,, এতে কি তালা* বায়ে* হবে নাকি রজয়ী??
অর্থাত কেনায়া তালা** নিয়ত নিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলে কোন ধরনের তালা* হয়??
৯। কোন মহিলার যদি তা*** হয় ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ। আর তারপর তার হায়েয হয় জানুয়ারির ১২ তারিখ,, এইভাবে ৩ বার হায়েয হলেই কি তার ইদ্দত শেষ?? অর্থাত মার্চের ১৯ তারিখ যদি তার ৩য় হায়েয শেষ হয় তাহলে কি তখনি তার ইদ্দত শেষ??