بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
https://ifatwa.info/33890/ ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নামাজে শুরুর তাকবির তথা তাকবিরে তাহরিমা ব্যাতিত অন্যান্য তাকবির বলা সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ
عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ
الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يُكَبِّرُ حِينَ
يَقُومُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ، ثُمَّ يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لَمِنْ
حَمِدَهُ. حِينَ يَرْفَعُ صُلْبَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ، ثُمَّ يَقُولُ وَهُوَ
قَائِمٌ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ـ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ {بْنُ صَالِحٍ عَنِ
اللَّيْثِ} وَلَكَ الْحَمْدُ ـ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَهْوِي، ثُمَّ يُكَبِّرُ
حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ
يَرْفَعُ رَأْسَهُ، ثُمَّ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي الصَّلاَةِ كُلِّهَا حَتَّى
يَقْضِيَهَا، وَيُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الثِّنْتَيْنِ بَعْدَ الْجُلُوسِ.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আরম্ভ করার সময় দাঁড়িয়ে তাকবির বলতেন। অতঃপর রুকূ‘তে যাওয়ার
সময় তাকবির বলতেন, আবার যখন রুকূ‘ হতে পিঠ সোজা করে উঠতেন তখন
سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন, অতঃপর দাঁড়িয়ে قَائِمٌ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলতেন। অতঃপর সাজদাহ্য় যাওয়ার সময় তাকবির বলতেন। এবং যখন মাথা
উঠাতেন তখনও তাকবির বলতেন। আবার (দ্বিতীয়) সাজদাহ্য় যেতে তাকবির বলতেন এবং পুনরায় মাথা
উঠাতেন তখনও তাকবির বলতেন। এভাবেই তিনি পুরো সালাত শেষ করতেন। আর দ্বিতীয় রাক‘আতের
বৈঠক শেষে যখন (তৃতীয় রাক‘আতের জন্য) দাঁড়াতেন তখনও তাকবির বলতেন। ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু
সালিহ্ (রহ.) লাইস (রহ.) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করতে وَلَكَ الْحَمْدُ উল্লেখ করেছেন। (বুখারী শরীফ
৭৮৯.৭৮৫; মুসলিম ৪/১০, হাঃ ৩৯২, আহমাদ ৮২৬০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৫৩)
★নামাজে কিরাআতে কোনো এমন শব্দ যদি উচ্চারণ
করা হয়,যেটি কুরআনে নেই,আর অর্থ যদি অনেক দূরবর্তী অর্থ হয়,তাহলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
قال فی رد المحتار: فإن لم یکن مثلہ فی القرآن والمعنی بعید متغیر تغیرا
فاحشا یفسد أیضا کہذا الغبار مکان ہذا الغراب.وکذا إذا لم یکن مثلہ فی القرآن ولا
معنی لہ کالسرائل باللام مکان السرائر.(الدر المختار وحاشیة ابن عابدین (رد
المحتار) 1/ 631)
সারমর্মঃ যদি যেটি কুরআনে না থাকে,আর অর্থ যদি অনেক দূরবর্তী অর্থ হয়,তাহলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে। যেমন الغراب
এর স্থানে الغبار পড়া।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/ বোন!
“ইনশাআল্লাহ”
মূলত আরবি বাক্য। যার অর্থ: যদি আল্লাহ তায়ালা চায়। বিশদ্ধ আরবি উচ্চারণের ক্ষেত্রে
“ইন” এর নূন কে গুন্নাহ করে পড়া হয় এবং “আল্লাহু আকবার” এর মধ্যে “হু” কেউ স্পষ্ট করে
পড়তে হবে। এবং বাংলাতে “র” যবর রা বলা হলেও আরবিতে বিশুদ্ধ উচ্চারণ হবে “র” যবর র।
“র” যের রি “র” পেশ রু।