আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমার পরিবারের একজন সদস্য কে নিয়ে ৫/৬ মাস আগে খুব খারাপ একটি স্বপ্ন দেখি,তারপর কয়েকবার উনাকে নিয়ে কয়েকটি খারাপ স্বপ্ন দেখেছি কিন্তু খারাপ স্বপ্ন যেহেতু কাউকে বলতে হয়না,আমিও কাউকে জানাইনি।সমস্যা হলো দুইমাস আগে তিনি অসুস্থ হন,করোনা হয়,এবং এরপর থেকেই মানসিকভাবে প্রচন্ড দুর্বল ,আগের মত নেই,বিষন্নতায় আক্রান্ত।বদনজরের অনেকগুলো লক্ষন মিলে যায়।ডাক্তার সব টেস্ট করেও তেমন রোগ পান নি।এখন আমরা চাচ্ছি ওষুধের সাথে সাথে সরাসরি রুকাইয়া করাতে।কিন্তু এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই যে কোথায় গেলে ভালো হবে বা কার কাছে যাব।বা কোন আলেমের কাছে যাব যিনি এই ব্যাপার গুলো ভালো জানবেন।দয়া করে আপনারা কি এই বিষয়ে সাজেশন দিবেন প্লিজ?ভালো আলেমের সন্ধান কোথায় পাওয়া যাবে বা সরাসরি রুকাইয়া করাবে এমন রাক্বির সন্ধান ঢাকার মধ্যে।

1 Answer

0 votes
by (59,160 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/12071 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হযরত য়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن عائشة رضي الله عنها قالت : " كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يأمرني أن أسترقي من العين "

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চোখলাগা হতে (মুক্ত হওয়ার জন্য) ঝাড়ফুঁক করার আদেশ করতেন। (সহীহ মুসলিম-২১৯৫)

عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " العين حق ولو كان شيء سابق القدر لسبقته العين ، وإذا استغسلتم فاغسلوا "

ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভাগ্যকে কোন জিনিস অতিক্রম করতে সমর্থ হলে কু-দৃষ্টিই তা অতিক্রম করতে পারত। যদি এ প্রসঙ্গে কেউ তোমাদেরকে গোসল করাতে চায় তাহলে তোমরা তাতে সম্মত হও।(মুসলিম-২১৮৮)

আসমা (রাঃ) বললেন,

قالت أسماء يا رسول الله إن بني جعفرتصيبهم العين، فأسترقي لهم قال: «نعم، فلو كان شيء سابق القدر، سبقته العين

 হে আল্লাহর রাসূল! জাফরের সন্তানদের বদনজর লেগেছে, আপনি তাদের ঝাড়ফুঁক করুন। তিনি বলেনঃ আচ্ছা। যদি কোন কিছু তাকদীরকে পরাভূত করতে পারতো, তবে বদনজরই তাকে পরাভূত করতো।(সুনানু ইবনু মা'জা-৩৫১০)

বদ নজরের হেকমতঃ-

আল্লাহ তা’আলা বান্দাদেরকে পরীক্ষা করার নিমিত্তে বদ নজর সৃষ্টি করেছেন।

 وَجَعَلْنَا بَعْضَكُمْ لِبَعْضٍ فِتْنَةً أَتَصْبِرُونَ ۗ وَكَانَ رَبُّكَ بَصِيرًا

আমি তোমাদের এককে অপরের জন্যে পরীক্ষাস্বরূপ করেছি। দেখি, তোমরা সবর কর কিনা। আপনার পালনকর্তা সব কিছু দেখেন। (সূরা ফুরকান-২০)

উক্ত আয়াতের আলোকে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, বান্দাদেরকে পরীক্ষা করার নিমিত্তেই মূলত আল্লাহ তাআলা বদ নজর সৃষ্টি করেছেন।

(২)

وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ

এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।( সূরা বাকারা-১৫৫)

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!

বদ নজর মানুষের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। এমনকি মানুষকে ধংসের ধারপ্রান্তে নিয়ে যায়। বদ নজর থেকে বাচার উপায়, হিংসুক থেকে নিজেকে ও নিজের আত্মীয় স্বজন ও ধন সম্পদকে আড়াল করে রাখা। সম্ভাব না হলে সুরা ফালাক্ব ও নাস পড়ে নিজ  শরীরে ফু দেওয়া।

আপনি আমাদের ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসার শিক্ষক রাকি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সাহেবের সাথে কথা বলতে পারেন। উনি iom এ রুকইয়া কোর্স করান। উনি আপনাকে এ বিষয়ে সুপরামর্শ দিবেন বলে আশা রাখি ইনশাআল্লাহ।

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...