আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু, শাইখ। আমি রাতে ঘুমানোর পরেও ফজরের সালাতের পর খুব ঘুম আসে। এই কারণে আমি সকালের যিকির-আযকার, কুরআন তিলাওয়াত করতে পারি না।
এমনকি আমি বিকালেও ঘুমাই, তাও এই সমস্যা দূর করতে পারছি না। অনুগ্রহ যদি কিছু উপদেশ দিতেন যাতে করে আমার ফজরের পর আর ঘুম না আসে।

1 Answer

0 votes
by (686,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


এসময় ইবাদত বান্দেগী,কুরআন তেলাওয়াত,যিকির আযকার,প্রয়োজনীয় কাজ  করা উচিত। 
যদিও শারীরিক প্রবণতা হলো, ফজরের পর চোখেতে আপনা-আপনি ঘুম জড়িয়ে আসে।
,
এসময়ে ঘুমানো নাজায়েজ নয়,তবে সুন্নাতের খেলাফ। 

আমাদের প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করতেন-
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻷُﻣَّﺘِﻲ ﻓِﻲ ﺑُﻜُﻮﺭِﻫَ

‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন।’
বর্ণনাকারী বলেন, ‘এ জন্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন।’
সাখর রা. ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তিনিও তাঁর ব্যবসায়িক কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন।’ 
(আবু দাউদ :২৬০৬)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রাতে আগেই ঘুমাতে হবে।
ঈশার পর খাবার খেয়ে খুব দ্রুত ঘুমাতে হবে।
,    
মসজিদে বা কোনো মাদ্রাসায় যেখানে ইবাদতের পরিবেশ আছে,সেখানে থেকে আপনি এই সময়ে কুরআন তিলাওয়াত যিকির আযকার করতে পারেন,তাহলে ইনশাআল্লাহ এই সমস্যা হবেনা।
,
প্রত্যেহ এই সময়ে কোনো কাজ রেখে দিতে পারেন,যেটির কারনে ঘুম ধরবেনা।
,
উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো দিয়ে কাজ না হলে আপনি একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন,সেটি হলো ফজরের পর ইশরাক পর্যন্ত ইবাদত বান্দেগী,লেখাপড়া ইত্যাদি করে তারপর ঘুমিয়ে যাবেন।
তাহলে উলামায়ে কেরামদের  মতানুসারে এটি  সুন্নাতের খেলাফ হবেনা।

যদি আরো বেশি তিলাওয়াত করতে চান,সেক্ষেত্রে ইশরাকের পর ঘড়িতে/ফোনে এলার্ম দিয়ে সামান্য সময়ের জন্য ঘুমিয়ে গিয়ে আবারো উঠে তিলাওয়াত করতে পারেন।
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...