আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম  হুজুর।

১। কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তালা** শর্ত দেয় আর এটা বলে যে,,""" দুইজন দুইজন কে বিন্দু পরিমান ঠকানো যাবে না কিন্তু,,, তাহলে কিন্তু সম্পর্ক হারা* হয়ে যাবে। """  এই কথার মাধ্যমে স্বামী বুঝাতে চেয়েছিল স্ত্রী যাতে স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর না ঠকায়।
কিন্তু সে মুখে কথাটা বলার সময় বলে থাকে,""বিন্দু পরিমান ঠকানো যাবে না তাহলে কিন্তু  সম্পর্ক হারা* হয়ে যাবে""

 এইখানে সে বিদেশ যাওয়ার কথাটা উল্লেখ করেনি কিন্তু তার নিয়তে ছিল বিদেশ যাওয়ার পরের কথা৷   আর সে সময় বিদেশ যাওয়ার আলোচনাই হচ্ছিল।
তাহলে এই শর্ত কি বিদেশ যাওয়ার পর থেকে পরবে নাকি আগেই? যেহেতু স্বামী বাক্যটা বলার সময় বিদেশ যাওয়ার কথা উল্লেখ করেনি,,,কিন্তু সে মূলত বিদেশ যাওয়ার পরের কথাই বুঝাতে চেয়েছিল.।

২।শর্তের কথা  বলার সময় বিদেশ যাওয়ার কথা উল্লেখ না করার কারনে কি এখনই শর্ত আরোপ হয়ে যাবে? নাকি তার নিয়তে বিদেশ যাওয়ার পরের কথা ছিল বলে তখনই শর্ত আরোপ হবে?? অর্থাত স্বামী তার স্ত্রীকে এই উদ্দেশ্যই বলেছিল যাতে বিদেশ যাওয়ার পর না ঠকায় বিন্দু পরিমান।

৩৷ স্ত্রী হচ্ছে ওয়াসওয়াসার রোগী,, সে প্রতিটা কাজেই ভাবে স্বামীকে ঠকিয়ে ফেললো কিনা। চলাফেরা কথা বলা সব জায়গায় সন্দেহ হয় তার।
স্বামী বিদেশ যাওয়ার আগেই,,  স্ত্রীর সাথে তার এক বন্ধুর কথা হয় যেটা জানলে স্বামী রাগ করতে পারতো। বা হয়তো এইটা তাত কাছে বিন্দু পরিমান ঠকানো হতে পারতো।
কথা বলে ফেলার পর থেকে স্ত্রী ভয়ে  আছে শর্ত মোতাবেক স্ত্রীর উপর তা** পতিত হয়ে গিয়েছে কিনা?? কারন সে বলেছিল বিন্দু পরিমান না ঠকানোর কথা।
স্বামীতো এখনো বিদেশে যায়নি। তাহলে কি সেই শর্ত কার্যকর হবে বা স্ত্রীর উপর কোন তা** পতিত হবে??

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(১.২)
তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (3/ 252):
"ومن الألفاظ المستعملة: الطلاق يلزمني، والحرام يلزمني، وعلي الطلاق، وعلي الحرام فيقع بلا نية للعرف.
 (قوله: فيقع بلا نية للعرف) أي فيكون صريحاً لا كنايةً، بدليل عدم اشتراط النية وإن كان الواقع في لفظ الحرام البائن؛ لأن الصريح قد يقع به البائن كما مر، لكن في وقوع البائن به بحث سنذكره في باب الكنايات، وإنما كان ما ذكره صريحاً؛ لأنه صار فاشياً في العرف في استعماله في الطلاق لايعرفون من صيغ الطلاق غيره ولايحلف به إلا الرجال، وقد مر أن الصريح ما غلب في العرف استعماله في الطلاق بحيث لايستعمل عرفاً إلا فيه من أي لغة كانت، وهذا في عرف زماننا كذلك فوجب اعتباره صريحاً كما أفتى المتأخرون في أنت علي حرام بأنه طلاق بائن للعرف بلا نية مع أن المنصوص عليه عند المتقدمين توقفه على النية"
সারমর্মঃ
স্ত্রীকে যদি কেহ বলে যে তুমি আমার উপর হারাম, তাহলে এ শব্দ বললে নিয়ত ছাড়াই তালাক পতিত হবে।
উরুফ তথা সামাজিক প্রচলনের কারনে।
তবে এটি কেনায়া বাক্য হওয়ায় এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। 

والحاصل: أن الحلف بطلاق ونحوه تعتبر فيه نية الحالف ظالما أو مظلوما إذا لم ينو خلاف الظاهر كما مر عن الخانية، فلا تطلق زوجته لا قضاء ولا ديانة، بل يأثم لو ظالما إثم الغموس، ولو نوى خلاف الظاهر، فكذلك لكن تعتبر نية ديانة فقط، فلا يصدقه القاضي بل يحكم عليه بوقوع الطلاق إلا إذا كان مظلوما على قول الخصاف ويوافقه ما قدمه الشارح أول الطلاق من أنه لو نوى الطلاق عن وثاق دين إن لم يقرنه بعدد ولو مكرها صدق قضاء أيضا. اهـ.
(الدر المختار و حاشیۃ ابن عابدین، 3/785، ط: دار الفکر
সারমর্মঃ
তালাকের কসমের ক্ষেত্রে কসমকারীর নিয়ত গ্রহনযোগ্য হবে,চাই সে জালেম হোক বা মাজলুম হোক,যদি সে যাহেরের খেলাফ নিয়ত না করে । 
তাহলে তার স্ত্রী কাযায়ান এবং দিয়ানাতানও তালাক হবেনা।
  
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, 
""এইখানে সে বিদেশ যাওয়ার কথাটা উল্লেখ করেনি কিন্তু তার নিয়তে ছিল বিদেশ যাওয়ার পরের কথা৷   আর সে সময় বিদেশ যাওয়ার আলোচনাই হচ্ছিল।""

সুতরাং স্পষ্ট যে স্বামীর নিয়তটি যাহেরের পক্ষে।
খেলাফ নয়।
তাই এই নিয়ত গ্রহনযোগ্য।     

★সুুতরাং এই শর্ত বিদেশ যাওয়ার পর থেকে পরবে।

(০৩)
এতে স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...