বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
রাস্তার ভিক্ষুক যাদের ভিক্ষাবৃত্তি আজকাল একরকম পেশা হয়ে গেছে।তন্মধ্যে অনেকের আবার আর্থিক সচ্ছলতা ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে।এদেরকে রুক্ষ ভাষায় ধমক না দিয়ে উপদেশ দিতে হবে।নরম ভাষায় তাদেরকে বুঝাতে হবে।না দিলে সুন্দরভাবে বিদায় দিতে হবে
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﻟﺴَّﺎﺋِﻞَ ﻓَﻼ ﺗَﻨْﻬَﺮْ
তরজমাঃএবং(হে নবী) আপনি সওয়ালকারীকে ধমক দিবেন না।
হাদীস শরীফে এসেছে, নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻟﻠﺴﺎﺋﻞ ﺣﻖ ﻭﺇﻥ ﺟﺎﺀ ﻋﻠﻰ ﻓﺮﺱ-
তরজমাঃসুওয়াল কারীর ও একটি হক্ব রয়েছে যদিও সে ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে আসে।(আবু-দাউদ-১৬৬৫)
সুওয়াল করার হুকুম ভিক্ষুকের অবস্থার উপর নির্ভর করবে।সে যদি সাবলম্বী হয় তাহলে সুওয়াল করা তার জন্য উপরের বর্ণিত ধারা অনুযায়ী হারাম হবে ঠিক কিন্তু সুওয়ালকৃত ব্যক্তির জন্য কিছু দিয়ে দেয়াটা উচিৎ।কেননা সুওয়ালের কারণে তার উপর সুওয়ালকারীর জন্য একরকম হক্ব বা অধিকার স্থাপিত হয়ে গেছে। তবে সাধারণত সদকার(নফল) নিয়্যাত থাকলে বাস্তব অবস্থা অনুসন্ধান করে দেয়াটাই উত্তম হবে।কারো সম্পর্কে যদি প্রবল ধারণা হয় যে,সে সর্বদিক দিয়ে অক্ষম তাহলে তাকে দিয়ে দিবে।তবে যদি কেউ ধনী বা সুস্থ-সবল,উপার্জনোক্ষম
কাউকে সদকা দিয়ে দেয় তাহলে তার বৃথা যাবে না।বরং অবশ্যই সে সওয়াব পাবে।........বিস্তারিত জানুন-
3719
সুতরাং আপনার জন্য উচিৎ সামর্থ্যানুযায়ী কিছু তাকে দিয়ে দেয়া বা নরম ভাষায় বুঝিয়ে বিদায় দেয়া।
(২)
যানবাহনে ত্রুটিপূর্ণ নামায আদায় কারার পর সেখান নেমে পরবর্তীতে স্বাভাবিক অবস্থায় আবার নামাযকে এজন্য দোহরাতে হবে।
প্রশ্ন হল,যদি পরবর্তীতে নামাযকে দোহড়ানো লাগে,তাহলে গাড়ীতে কেন পড়তে হয়?
উত্তরে বলা যায় যে,আল্লাহ না করুক যদি এই গাড়ীতে থাকায় অবস্থায় কারো মৃত্যু চলে আসে,তাহলে সে এমন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে যে,তার যিম্মায় এক ওয়াক্ত নামায অবশিষ্ট থেকে যাবে।তাই তার প্রতি হুকুম হল,সে ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় সে তার নামাযকে আদায় করে নেবে।যেহেতু ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় নামায পড়া হয়েছে,তাই পরবর্তীতে স্বাভাবিক অবস্থায় উক্ত নামাযকে দোহড়াতে হবে।
(৩)
ফরয গোসলের সময় যদি হাদাসে আসগার সংগঠিত হয়,তথা বায়ূ ইত্যাদি নির্গত হয়,তাহলে গোসলকে পূর্ণ করবে।নতুন ভাবে গোসল করা বা গোসলের অঙ্গ সমূহকে আবার ধৌত করার কোনো প্রয়োজন নেই।কেননা হাদাসে আসগার গোসল ফরযের কারণ নয়।তাই গোসলের যে ফরয আদায় করার মূহুর্তে বায়ূ নির্গত হয়েছে,সেই ফরয এবং পরবর্তী কোন্র ফরয থাকলে সেই ফরযকেও পূর্ণ করে গোসলকে সমাপ্ত করা হবে।
গোসলের নামায তেলাওয়াত ইত্যাদি ইবাদত করার মনস্থ করলে তখন অবশ্যই অজু করে নিতে হবে।