ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদিস শরিফে এসেছে,
عن ابى عبد الرحمن السلمى عن على قال دعى القراء فى رمضان فامر منهم رجلا يصلى بالناس عشرين ركعة قال وكان على يوتر بهم
হযরত আবু আব্দুর রহমান সুলামী বলেনঃ হযরত হযরত আলী রাঃ রমজান মাসে কারীদের ডাকতেন। তারপর তাদের মাঝে একজনকে বিশ রাকাত তারাবীহ পড়াতে হুকুম দিতেন। আর বিতিরের জামাত হযরত আলী নিজেই পড়াতেন। {বায়হাকী-৪/৪৯৬}
عن سعيد بن ابى عبيد ان على بن ربيعة كان يصلى بهم فى رمضان خمس ترويحات ويوتر بثلاث
হযরত সাঈদ বিন আবু উবায়েদ থেকে বর্ণিত। হযরত আলী বিন রাবীয়া পাঁচ তারবিহা তথা বিশ রাকাত তারাবীহ এবং তিন রাকাত বিতির জামাতের সাথে পড়তেন। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-২/৩৯৩}
عن جابر بن عبد الله، قال: خرج النبي – صلى الله عليه وسلم – ذات ليلة في رمضان فصلى الناس أربعة وعشرون ركعة وأوتر بثلاثة
‘জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) রমজানের এক রাতে ঘর থেকে বের হয়ে এলেন এবং লোকদেরকে নিয়ে বিশ রাকাত তারাবী ও তিন রাকাত বিতর পড়ালেন।’ [আল মাওসুআতুল হাদিসিয়্যাহ, হাদিস: ৪২৮১]
كَانَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي رَمَضَانَ بِالْمَدِينَةِ عِشْرِينَ رَكْعَةً، وَيُوتِرُ بِثَلَاثٍ
‘উবাই ইবনে কাব (রা.) মদীনায় লোকদের নিয়ে বিশ রাকাত তারাবী পড়াতেন এবং তিন রাকাত বিতর পড়াতেন।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ৭৬৮৪]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ছাহাবায়ে কেরামগন রমজান মাসে বিতির নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতেন।
তবে এটি আবশ্যকীয় বা জরুরি বিষয় নয়।
(০২)
মুখে বলা জরুরি নয়।
অন্তরে " আমি আজকে রোযা রাখলাম" এটির সংকল্প করলেই নিয়ত হয়ে যাবে।
বা রোযা রাখার ইচ্ছায় সাহরী খেলেও তাহা নিয়ত বলে যথেষ্ট হবে।
(০৩)
আপনি নিজ মন থেকে যেকোনো বৈধ দোয়া করতে পারেন।
নির্দিষ্ট কোনো দোয়া হাদীসে পাইনি।
(০৪)
২য় রাকাতে না বসা সহীহ নয়।
এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
বিতির নামাজ সংক্রান্ত দলিল বিস্তারিত জানুনঃ
(০৫)
আপনি সম্মিলিত দোয়া না করতে পারেন,তাতে সমস্যা নেই।
তবে বিতর নামাজের ২য় রাকাতে বসতে হবে
(০৬)
এটি শরীয়ত সমর্থিত কাজ নয়।
(০৭)
হানাফি মাযহাব মোতাবেক এটি ওয়াজিব।
এর কাজা ৩ রাকাতই আদায় করতে হবে।
লোকদের সামনে কাজা আদায় করলে দোয়ায়ে কুনুত এর আগে তাকবিরের সময় হাত উঠানোর প্রয়োজনীয়তা নেই।