আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
263 views
in সাওম (Fasting) by (23 points)
Assalamu Aleykum
১.রোজার সময় জামাত এর সাথে বিতর পড়া কি
 জরুরি?রাতে তাহাজ্জুদ এর সাথে কি বিতর পড়লে
হবে না?কোনটা করলে ভালো হবে?

২.রোজার নিয়ত কি মুখে বলা জরুরি? কি ভাবে করা
উত্তম?
৩.ইফতারের জন্য কি কোনো সহি দোয়া আছে?
৪.আমি বিতর এর ২য় রাকাতে বসি না এবং আল্লাহু
আকবার বলে তাকবির দিয়ে রুকুতে যায় না?সোজা বিসমিল্লাহ বলে কুনুত পড়ি এর পর রুকু করি  -এর হাদিস হাদস নাম্বার টা দিলে খুশি হবো..

৫.আমি হানাফি মাঝহাবের লোক তবে কিছু খেতরে
আমি সবার মতো করি না, কারন এগুলো সহি মনে করি না যেমন সমমিলিত মোনাজাত, এবং বিতর নামাজ ২য় রাকাতে বসা। এমন করলে কি কোনো গুনাহ হবে?

৬,আর আমি কিছু দীন বিতর নামাজ এ ২য় রাকাতে
বসি এবং কিছু সময় বসি না, এমন করলে কি কোনো গুনাহ হবে?

৭.বিতর নামাজ তো সুন্নাতে মুয়াককাদা তাইনা? তাহলে এর কাজা কি ভাবে করতে হয়?

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদিস শরিফে এসেছে,

عن ابى عبد الرحمن السلمى عن على قال دعى القراء فى رمضان فامر منهم رجلا يصلى بالناس عشرين ركعة قال وكان على يوتر بهم

হযরত আবু আব্দুর রহমান সুলামী বলেনঃ হযরত হযরত আলী রাঃ রমজান মাসে কারীদের ডাকতেন। তারপর তাদের মাঝে একজনকে বিশ রাকাত তারাবীহ পড়াতে হুকুম দিতেন। আর বিতিরের জামাত হযরত আলী নিজেই পড়াতেন। {বায়হাকী-৪/৪৯৬}

عن سعيد بن ابى عبيد ان على بن ربيعة كان يصلى بهم فى رمضان خمس ترويحات ويوتر بثلاث

হযরত সাঈদ বিন আবু উবায়েদ থেকে বর্ণিত। হযরত আলী বিন রাবীয়া পাঁচ তারবিহা তথা বিশ রাকাত তারাবীহ এবং তিন রাকাত বিতির জামাতের সাথে পড়তেন। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-২/৩৯৩}

عن جابر بن عبد الله، قال: خرج النبي – صلى الله عليه وسلم – ذات ليلة في رمضان فصلى الناس أربعة وعشرون ركعة وأوتر بثلاثة

‘জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) রমজানের এক রাতে ঘর থেকে বের হয়ে এলেন এবং লোকদেরকে নিয়ে বিশ রাকাত তারাবী ও তিন রাকাত বিতর পড়ালেন।’ [আল মাওসুআতুল হাদিসিয়্যাহ, হাদিস: ৪২৮১]

كَانَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي رَمَضَانَ بِالْمَدِينَةِ عِشْرِينَ رَكْعَةً، وَيُوتِرُ بِثَلَاثٍ

‘উবাই ইবনে কাব (রা.) মদীনায় লোকদের নিয়ে বিশ রাকাত তারাবী পড়াতেন এবং তিন রাকাত বিতর পড়াতেন।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ৭৬৮৪]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ছাহাবায়ে কেরামগন রমজান মাসে বিতির নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতেন।
তবে এটি আবশ্যকীয় বা জরুরি বিষয় নয়।

(০২)
মুখে বলা জরুরি নয়।
অন্তরে " আমি  আজকে রোযা রাখলাম" এটির সংকল্প করলেই নিয়ত হয়ে যাবে।    
বা রোযা রাখার ইচ্ছায় সাহরী খেলেও তাহা নিয়ত বলে যথেষ্ট হবে। 

(০৩)
আপনি নিজ মন থেকে যেকোনো বৈধ দোয়া করতে পারেন।
নির্দিষ্ট কোনো দোয়া হাদীসে পাইনি।

(০৪)
২য় রাকাতে না বসা সহীহ নয়।
এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।

বিতির নামাজ সংক্রান্ত দলিল বিস্তারিত জানুনঃ 

(০৫)
আপনি সম্মিলিত দোয়া না করতে পারেন,তাতে সমস্যা নেই।
তবে বিতর নামাজের ২য় রাকাতে বসতে হবে 

(০৬)
এটি শরীয়ত সমর্থিত কাজ নয়।

(০৭)
হানাফি মাযহাব মোতাবেক এটি ওয়াজিব।
এর কাজা ৩ রাকাতই আদায় করতে হবে।
লোকদের সামনে কাজা আদায় করলে দোয়ায়ে কুনুত এর আগে  তাকবিরের সময় হাত উঠানোর প্রয়োজনীয়তা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 154 views
0 votes
1 answer 167 views
+1 vote
1 answer 210 views
...