আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in সাওম (Fasting) by (18 points)
ইফতারের পরপর আমি হায়েজের রক্ত দেখতে পায়।আমি বুঝতে পারছি না আমার হায়েজ কি ইফতারের আগে শুরু হয়েছিল না কি পরে।ইফতারের কিছুক্ষণ আগেও আমি কোনো রক্ত দেখিনি(তখন ভালো করে চেক করিনি)।আর হায়েজ শুরুর কোনো লক্ষণ ও ছিল না।আমার রোজা টা কি হবে না কি কাজা করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (676,800 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَلِيٌّ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْهَرٍ - عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ إِذَا طَهُرَتْ قَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَطْهُرُ فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ يَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .

আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... মুআযা আদাবীয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন কি সে সালাত কাযা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।
(নাসায়ী শরীফ ২৩২০।)

একটি মূলনীতি হলো,
الأصل في كل حادث تقديره بأقرب زمن .
সারমর্মঃ 
প্রত্যেক বের হওয়া বস্তুর ক্ষেত্রে যদি ওয়াক্ত নির্ণয় সম্ভব না হয়,তাহলে সেটি নিকটতম ওয়াক্তের সাথে সম্পৃক্ত হবে।

ومعنى القاعدة : أنه إذا حدث أمر ما ، وأمكن أن يكون وقته قريباً أو بعيداً ، وليس هناك ما يرجح أيا من الاحتمالين ؛ فوقته المعتبر هو أقرب الوقتين لحدوثه ؛ لأن هذا الوقت هو الذي تيقنا أنه حدث فيه ، والآخر مشكوك فيه .

এই কায়েদার অর্থ হলোঃ
যদি কোনো জিনিস বের হয়,এবং সম্ভাবনা রয়েছে যে এর বের হওয়ার ওয়াক্ত নিকটেও হতে পারে,দূরেও হতে পারে,এবং সেখানে কোনো একটিকে প্রাধান্য দেয়ার মতো কোনো দলিল ইত্যাদি  না পাওয়া যায়,তাহলে নিকটতম ওয়াক্তই উদ্দেশ্য হবে।

ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ 

لو رأت المرأة الحيض ، ولم تعلم زمن نزوله ، هل كان قبل الغروب أو كان بعده ؟ ففي هذه الحال يحمل وقت نزول الدم على أقرب الوقتين ، وأقرب الوقتين في مسألتك : أن الدم نزل بعد الغروب .
সারমর্মঃ
কোনো মহিলা যদি হায়েজ দেখে,সেটি বের হওয়ার সময় না জানে,যে এটি কি সূর্য ডুবে যাওয়ার পর এসেছে না কি তার আগে?
তাহলে নিকটতম ওয়াক্তের সাথে বিষয়টি সম্পৃক্ত হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত যদি আপনার প্রবল ধারনা হয় যে হায়েজ সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে এসেছে, তাহলে আপনার এদিনের রোযা অনার্থক হবে,পুনরায় এই রোযার কাজা আবশ্যক হবে।

আর যদি আপনার প্রবল ধারনা হয় যে হায়েজ সূর্য ডুবে যাওয়ার পরে এসেছে, তাহলে এই রোযা সহীহ।

আর যদি আপনার কোনো দিকেই প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি নিকটতম ওয়াক্ত ধরবেন,তথা সে মনে করবেন যে এটি সূর্য ডুবে যাওয়ার পরেই এসেছে, তাই আপনার এই রোযা সহীহ হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 117 views
0 votes
1 answer 218 views
0 votes
1 answer 177 views
...