ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ الّٰٓیِٴۡ یَئِسۡنَ مِنَ الۡمَحِیۡضِ مِنۡ نِّسَآئِکُمۡ اِنِ ارۡتَبۡتُمۡ فَعِدَّتُہُنَّ ثَلٰثَۃُ اَشۡہُرٍ ۙ وَّ الّٰٓیِٴۡ لَمۡ یَحِضۡنَ ؕ وَ اُولَاتُ الۡاَحۡمَالِ اَجَلُہُنَّ اَنۡ یَّضَعۡنَ حَمۡلَہُنَّ ؕ وَ مَنۡ یَّتَّقِ اللّٰہَ یَجۡعَلۡ لَّہٗ مِنۡ اَمۡرِہٖ یُسۡرًا ﴿۴﴾
তোমাদের যে সব স্ত্রী আর ঋতুবতী হওয়ার আশা নেই। তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তোমরা সন্দেহ করলে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস এবং যারা এখনো ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি তাদেরও; আর গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। আর যে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ্ তার জন্য তার কাজকে সহজ করে দেন।
(সুরা তালাক ০৪)
وفی الفتاوی الهندية "و اعلم ان أصحابنا أقاموا الخلوة الصحيحة مقام الوطئ في حق بعض الأحكام دون البعض، فأقاموها مقامه في حق تأكد المهر وثبوت النسب والعدة والنفقة والسكنى في هذه العدة وحرمة نكاح أختها وأربع سواها وحرمة نكاح الأمة على قياس قول أبي حنيفة رحمه الله تعالى ومراعاة وقت الطلاق في حقها، ولم يقيموها مقام الوطئ في حق الإحصان وحرمة البنات وحلها للأول والرجعة والميراث،
وأما في حق وقوع طلاق آخر ففيه روايتان، والأقرب أن يقع؛ كذا في التبيين". (الهندية:1/306)
সারমর্মঃ
জেনে রাখা ভালো যে, হানাফি ফকিহগণ খালওয়াতে সহিহাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত গণ্য করেন, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত মনে করেন না।হানাফি ফকিহগণ মহর, সন্তানের নসব, ইদ্দত এবং ভরণপোষন, উক্ত স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করা, এবং এ স্ত্রী ব্যতীত আরো চারটি বিয়ে করা বা বাদি বিয়ে করা এর ক্ষেত্রে খালওয়াতে সহিহাকে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত মনে করেন। তবে সিফাতে এহসান সাব্যস্ত হওয়া , উক্ত স্ত্রীর মেয়ে হারাম হওয়া, এবং ঐ স্ত্রী তার পূর্বে তিন তালাক প্রদানকারী স্বামীর জন্য হালাল হওয়া, এবং রাজআত, ও মিরাছের ক্ষেত্রে খালওয়াতে সহিহাকে সহবাসের স্থলাভিষিক্ত মনে করেন না।
তবে আরেকটি তালাক পতিত হওয়ার ক্ষেত্রে দুটি রেওয়ায়েত আছে।
সঠিকতার বেশি নিকটতম মত হলো তালাক পতিত হবে।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
★প্রশ্নে উল্লেখিত কোর্টে গিয়ে তালাক দেয়া শরয়ী বাধ্যতামূলক নিয়ম নয়।
এমনিতে মৌখিক বা লিখিত তালাক দিলেও তাহা পতিত হয়ে যাবে।
তবে সরকারী আইনের ক্ষেত্রে ঝামেলা হওয়ার শংকা হলে কোর্টে গিয়ে তালাক নামায় সাইন করতে হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু খালওয়াতে সহীহাহ হয়েছে,সুতরাং তালাক হয়ে গেলে উক্ত মহিলার ইদ্দত পালন করতে হবে।
তাত ইদ্দত হবে ৩ মাস।
★পরিবারকে না জানিয়ে বিবাহের কারনে পরিবারের কথায় তালাক চাওয়া জায়েজ হবে।
★পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যেতে হবে,তাহলে সম্পর্ক ছিন্নের গুনাহ হবেনা।
তবে মা বাবাকে কষ্ট দেয়ার গুনাহ হবে।