ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
বুখারী শরীফের ৩৯৬ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى نُخَامَةً فِي الْقِبْلَةِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ حَتَّى رُئِيَ فِي وَجْهِهِ، فَقَامَ فَحَكَّهُ بِيَدِهِ فَقَالَ " إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلاَتِهِ، فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ ـ أَوْ إِنَّ رَبَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ ـ فَلاَ يَبْزُقَنَّ أَحَدُكُمْ قِبَلَ قِبْلَتِهِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمَيْهِ ". ثُمَّ أَخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ فَبَصَقَ فِيهِ، ثُمَّ رَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ، فَقَالَ " أَوْ يَفْعَلْ هَكَذَا ".
কুতায়বা (রহঃ) .... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে (দেয়ালে) ‘কফ’ দেখলেন। এটা তাঁর কাছে কষ্টদায়ক মনে হল। এমনকি তাঁর চেহারায় তা ফুটে উঠলো। তিনি উঠে দিয়ে তা হাত দিয়ে পরিষ্কার করলেন। তারপর তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে তাঁর রবের সাথে একান্তে কথা বলে। অথবা বলেছেন, তাঁর ও কিবলার মাঝখানে তাঁর রব আছেন। কাজেই, তোমাদের কেউ যখন কিবলার দিকে থুথু না ফেলে। বরং সে যেন তাঁর বাম দিকে বা পায়ের নীচে তা ফেলে। তারপর চাঁদরের আঁচল দিয়ে তিনি তাতে থুথু ফেললেন এবং তাঁর এক অংশকে অন্য অংশের উপর ভাঁজ করলেন এবং বললেনঃ অথবা সে এরূপ করবে।
সহীহ : বুখারী ৪০৫,
[বুখারি ৪০৫, ২৪১, ৪১২, ৪১৩, ৪১৭, ৫৩১, ৫৩২, ৮২২, ১২১৪, মুসলিম ৪৯৩, নাসায়ি ৩০৮, ৭২৮, আবু দাউদ ৪৬০, ইবন মাজাহ ৭৬২, ২০২৪, আহমদ ১১৬৫১, ১২৩৯৮, ১২৫৪৭, ১২৫৭৯, ১২৬৫৩, ১২৮০৪, ১৩৪২৪, ১৩৪৭৭, ১৩৫৩৬, ১৩৬৮৫, দারেমি ৪১৩৯৬
সহীহ আল জামি‘ ১৫৩৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ২২৬৭।]
★সুতরাং সালাতে যদি কারো কান্নার কারণে নাকের পানি ঝরে, আর সেটা সে হাত বা শরীরের কাপড় দিয়ে মুছে, তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই।
অযু ভেঙ্গে যাওয়ার তো প্রশ্নই উঠেনা।
(০২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই.
এভাবে তারাবিহ পড়লে আদায় হয়ে যাবে।
তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর নামাজের পর এভাবে নিয়মিত তারাবিহ সালাত আদায় করাকে ফুকাহায়ে কেরামগন সুন্নাতের খেলাফ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তাই আপন মাঝে মাঝে এরকম করতে পারেন।
তবে উভয় ছুরতেই আপনার তারাবিহ হয়ে যাবে।