বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
কোনো মুসলমান যুবক-যুবতীর জন্য উচিৎ হবে না মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে কোনো কাজ করা বা নিজ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া। মা-বাবাকে যে কোনো মূল্যে রাজি করিয়ে সিদ্ধান্ত নিন,নতুবা তাদের সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন।তাদের অসন্তুষ্টিতে কোনো কিছু করা আপনার জন্য কখনো মঙ্গলজনক হবেনা।এবং না হওয়াই যুক্তিসংগত।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﻗَﻀَﻰ ﺭَﺑُّﻚَ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﺍْ ﺇِﻻَّ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻭَﺑِﺎﻟْﻮَﺍﻟِﺪَﻳْﻦِ ﺇِﺣْﺴَﺎﻧًﺎ ﺇِﻣَّﺎঙঙঙ ﻳَﺒْﻠُﻐَﻦَّ ﻋِﻨﺪَﻙَ ﺍﻟْﻜِﺒَﺮَ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﺃَﻭْ ﻛِﻼَﻫُﻤَﺎ ﻓَﻼَ ﺗَﻘُﻞ ﻟَّﻬُﻤَﺂ ﺃُﻑٍّ ﻭَﻻَ ﺗَﻨْﻬَﺮْﻫُﻤَﺎ ﻭَﻗُﻞ ﻟَّﻬُﻤَﺎ ﻗَﻮْﻻً ﻛَﺮِﻳﻤًﺎ
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা:১৭/২৩)
অমুক ব্যতীত জীবন অচল এমন মনোভাব পরিহার করুন।বরং সর্বদা আল্লাহর হুকুম ও নবীজ সা: এর ত্বরিকায় জীবন পরিচালনা ও ক্ষণস্থায়ী লোভ-লালসা পরিহারের মনোভাব তৈরী করাই আপনার নৈতিক দায়িত্ব।
যদি ও বালেগ ছেলে-মেয়ের বিবাহ তারা নিজে নিজে সম্পাদন করতে পারে,(ছেলে গায়রে কু'ফু হলে মহিলার অভিবাবকের অনুমতি অত্যাবশ্যকীয়)তথাপিও মা-বাবার সন্তুষ্টি সন্তানের জন্য মঙ্গলজনক।
যদি দুই সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে বিয়ে হয়ে গেছে। এখন নতুন করে বিয়ে করার আর কোনো প্রয়োজন নেই।