বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বুঝে হোক আর না বুঝে হোক, মহর ক্ষমা করে দেয়ার পর এখন স্ত্রী আর মহর চাইতে পারবে না।স্ত্রীর অধীকার অবশিষ্ট থাকবে না।
(২)
ধোকার মাধ্যমে মাফ করিয়ে নিলে, সেটা মাফ হবে না।তখন স্বামীকে অবশ্যই মহর পরিশোধ করতে হবে।
(৩)
স্ত্রী যেহেতু ক্ষমা করে দিয়েছে, তাই এখন আর সে মহর চাইতে পারবে না।
(৪)
জ্বী, দেনমহরও ধর্তব্য। তবে মনে রাখতে হবে, দেনমহর সকলের ক্ষেত্রে সমান নয়।অর্থাৎ খরচ কম বা বেশী হওয়ার প্রত্যেকের সম্পদের উপর নির্ভর করবে।কারো জন্য এক লাখ অনেক বেশী।আবার কারো জন্য ১০লাখও তেমন কিছু না।
সুতরাং ব্যক্তিত্বের উপরই নির্ভর করবে যে, কার জন্য কত মহর কম খরচ হিসেবে পরিগণিত হবে।এবং কার জন্য বেশী হিসেবে পরিগণিত হবে।
(৫)
দেনমহর সহ সকল খরচের বেলায় স্বামীর আর্থিক অবস্থা লক্ষণীয়। স্বামী যা অনায়াসে দিতে পারবে, সেটা কম খরচ হিসেবে পরিগণিত হবে।রাসূলুল্লাহ সাঃ উম্মে হাবীবা রাযিকে অনেক বড় মহর দিয়ে বিয়ে করেছিলেন।৪০০০ দিরহাম।যা আজকের হিসেব অনুযায়ী প্রায় বিশ লাখেরও বেশী।