বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
পিতা মাতার জন্য রাগের কারণে দোয়া না করলে গুণাহ হবে না, তবে পিতামাতার প্রতি রাগ থাকা বা রাগ প্রদর্শন করা কখনো জায়েয হবে না। রাগে খুশীতে সর্বদাই মাতাপিতার খেদমত এবং তাদের জন্য দু'আ সন্তানের জন্য কল্যাণকর।
(২)
মসজিদে নামাজের ক্ষেত্রে ইমাম সাহু সিজদা দিবে, কিন্তু মুসল্লিরা জানে না, তাই তাশাহুদ পাঠ করার পর তারা দুরুদের কিছু অংশ পাঠ করে ফেলছে, তারপর ইমামের সাথে সাহু সিজদা দিলে, মুক্তাদির নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
সন্তানের প্রতি মাতাপিতার হক হল, সন্তান তার মাতাপিতার সাথে সর্বদাই উত্তম আচরণ করবে।
আর সন্তানের প্রতি মাতাপিতার হক হল, জন্মের পর ভালো একটি নাম রাখা, দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করা।
(৪)
https://www.ifatwa.info/343 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
(৫)
বালেগ হওয়ার পর যত নামায রোযা কাযা হয়েছে, অনুমান করে গুলোকে কাযা করে নিতে হবে।