আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
328 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (38 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।শায়েখ দয়া করে প্রত্যেকটা পয়েন্ট গুলো একটু বিশ্লেষণ করে বলিয়েন।জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।মোবাইলে সব বিষয় মনে থাকে না।এখানেও বারবার এডিট করে জিগ্যেস করি।জানার জন্য প্রশ্ন করতেছি।কস্ট করে বলিয়েন শায়েখ।অনেক উপকৃত হব।শায়েখ আমি চাই না প্রশ্ন করতে কিন্তুু ভয় হয় ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে এটা প্রশ্ন কর নয়ত গুণাহ হবে পরকালে যেনার শাস্তি পাবি।তাই জানার জন্য প্রশ্ন করি আমার দিকে ইন্গিত না করে।

১**কোন স্ত্রীকে তার স্বামী তা........ অধিকার দিয়েছে।সে মারাত্বক ওয়াসওয়াসা রুগী।বলার বাইরে।জিহ্বা সহ নাড়ে না।কোন কথা বের হওয়ার সময়,মনে হয় তা.... কথা বের হচ্ছে। কিন্তুু সে চাই না নিজেকে তা.....  দিতে।এমনকি কথা বলার সময় মুখ খুলবে তখনই ওয়াসওয়াসা আসে তা...... বের হচ্ছে। সে সাথে সাথে না বলে মুখ খুলে বা মনে মনে না বলে মুখ খুলে।আবার মাঝে মাঝে বুঝে উঠার আগেই কথা বলে ফেলে।জিহ্বা বেশিক্ষণ চেপে রাখার কারনে না বলে মুখ খুলললেও  জিহ্বা স্বাভাবিক ভাবে নাড়াতে সমস্যা হয়।তহ ভয়ে থাকে সে কি উচ্চারন করেছে।মাঝে মাঝে  বুঝতেও পারে না কি বলেছে।ওর মনে শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয় যে কোন ত....   বলেছে কিনা।কারন আগে থেকে ওয়াসওয়াসা ঘুরতেছে।সে ভয়ে থাকে।সে নিজেই বুঝতে পারে না কি বলেছে।এমনকি মুখ দিয়ে কথা বের করার আগে থেকে ওয়াসওয়াসা আসে।সে মনে মনে না বলে তবে মাঝে মাঝে বলেছে কিনা বুঝতেও পারে না।না বলেছে কিনা।কিন্তুু ওর মনে হচ্ছে ও কোনদিন ত.......  শব্দটা উচ্চারন করে নি এমনকি জিহ্বাও নাড়ে নি।অন্য শব্দ বললেও ওর মনে ওয়াওয়াসা আসে যে ত.... বলেছে।জিহ্বা অন্য শব্দ দিয়ে নাড়ালেও  আগে মনে মনে ত.....ওয়াসওয়াসা থাকায় ওর ভয় হচ্ছে।আবার মাঝে মাঝে মনে হয় ওর কোন জেনেশুনে বলেছে কিনা সন্দেহ আসে।জানে না সে,ভয়ে থাকে।সে পাগল প্রায় অবস্হা ।এর দ্বারা ওর বৈবাহিক জীবনে কি কোন সমস্যা হবে?

২** কারো ওয়াসওয়াসার কারনে নানা,ধরনের চিন্তা আসে।শুধু জি্হ্বা নাড়ানোর সময় ভাবে কি বলতেছি? মানে সে দি্ধাদন্ধে পড়ে যায় যদি।একবার ওয়াসওয়াসা আসে মনে ওর ত...... নিয়তে বলতেছে আবার সে  মনে মনে বলে না না।মানে এভাবে সারাক্ষণ যুদ্ধ চলে।তবে সে যদি ত....... কথা উচ্চারন ওই না করে তাহলে কি ত...... হবে? আবার মাঝে মাঝে কি বলে নিজেই বুঝতে পারে না।আর অন্য শব্দ বলার সময় যদি এরকম চিন্তা মাথায় আসে ওর মানে একবার মনে হয় এটা...............  আরেকবার বলে না না এসব কি চিন্তা করতেছি।সে সারাক্ষণ যুদ্ধ করে নিজের নফসের সাথে আর শয়তানের ওয়াসওয়াসার সাথে।উপরোক্ত কোন কারনে কি সমস্যা হবে?

৩** আমি নিজের দিকে ইন্গিত না করে উপরে আপনাদের  প্রশ্ন করেছি আপনাদের।এতে আমার বৈববাহিক জীবনে কি সমস্যা হবে? জানার জন্য প্রশ্ন করলেও? নয়ত জানব কেমনে আমরা? শুনেছি কেউ নিজের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্ন করলেও নাকি আপনাদের তাহলেও ত..... হয়।তাই।আশা করি শায়েখ আমি কি বলতে চেয়েছি বুঝেছেন।আমি ভাবতে চাই না এ বিষয়ে আর।চাই না প্রশ্ন করতে আমি কিন্তুু ওয়াসওয়াসা আর ভয় আসে মনে এটা জানার চেষ্টা কর নয়ত গুনাহ হবে,যেনা হবে।

৪** এই প্রশ্নটা জানার জন্য।কেউ যদি আপনাদের এইখানে প্রশ্ন করে অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে।কিন্তুু  মনে মনে নানা ধরনের ওয়াসওয়াসা আসে যে কোন ওর দিকে ইন্গিত হচ্ছে কিনা।কিন্তুু সে লিখল না।ওয়াসওয়াসার কারনে এসব ভাবে তাহলে কি ওর বৈববাহিক জীবনে সমস্যা হবে?

৫** কেউ যদি বুঝিয়ে প্রশ্ন না করতে পারে।আর যেগুলো করে ওইসবগুলোর  উত্তর যদি না আসে মানে ত...... হয়নি আসে।যে প্রশ্ন করেছে সে ওই উত্তরটা নিয়ে বসে আছে মানে  হয় নি ত......।কিন্তুু যদি হয়ে থাকে কিন্তুু সে জানে না বুঝিয়ে প্রশ্ন করতে না পারায় উত্তর ও ভিন্ন এসেছে।এতে কি ওর গুণাহ হবে  মানে যে প্রশ্ন জানার জন্য করেছে তার?
by (38 points)
edited by
শায়েখ আরেকটা প্রশ্ন জানার জন্য করতেছি।আমি এখানে প্রশ্ন করার পর জানতে পারি কোন স্ত্রী যদি মেসেজে ত....... চায় এর পর পর স্বামী নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বললেও ত........  হয়।আরো জানতে পারি মেসেজে হলে পরপর বললে হয় কিন্তুু পরপর না বললে হয় না মানে আরো কথা হওয়ার পর বললে নিয়ত ছাড়া।প্রশ্ন হল মেসেজে স্ত্রী ত...... চাওয়ার পরপর  যদি স্বামী কেনায়া বাক্য না বলে আরো কথা হল।কথা হয়ত অন্য বিষয়ে হতে পারে বা এই বিষয়েও হতে পারে বা স্বামী স্ত্রীকে বুঝাচ্ছে এমন ও হতে পারে।এরপর ও যদি স্ত্রী  রাগ বা অভিমান করে আবার বলে চলে যাব।স্বামী যদি তলাকের নিয়ত ছাড়া বলে যাওগা বা যাইলে যাওগা। এতেও কি হবে?উল্ল্যেখ্য স্বামী স্ত্রী যদি কেউ আগে থেকে না জানে কেনায়া তালাকের ব্যপারে। শুনেও নাই এটা কি।তবু হবে? আমি শুনেছি  মেসেজে পরপর না বললে হয় না।তবু জানার জন্য প্রশ্ন করলাম।আমার ব্যপার নই।তবু সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করলাম।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না। 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার সমস্ত বিবরণ পড়ে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যে, আপনার তালাক হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...