আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
838 views
in সালাত(Prayer) by (23 points)
1.বিতর নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা না ওয়াজিব?

২.বিতর নামাজ পড়ার সহি তরিকা কোনটা?

৩.জুম্মার নামাজের পূর্বের এবং পরের কয় রাকাত কয় রাকাত করে? এবং এগুলোর নিয়ত কেমন হবে?

৪. ইমামের ফেছোনে সুরা ফাতিয়া পড়া এবং অন্য সুরা পড়া যাবে?

[ দলিল সহ উত্তর দিলে খুশি হবো জাজাকাল্লাহ ]

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
বিতরের নামাজ ওয়াজিব।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْعَتَكِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْوِتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا، الْوِتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا، الْوِتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا " 

হযরত বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন,
‘বিতর নামাজ অপরিহার্য। যে বিতর পড়বে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিতর নামাজ অপরিহার্য। যে বিতর পড়বে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বিতর নামাজ অপরিহার্য। যে বিতর পড়বে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ [আবু দাউদ, হাদিস:১৪১৯]

বিতরের নামাজ ওয়াজিব,সুন্নাত নয়।
(আলবাহরুর রায়েক ২/৬৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২২)

তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে বিতর নামাজ ওয়াজিব নয়,সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারেন।          

(০২)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

(০৩)
প্রথমেই কিছু হাদীস লক্ষ্য করিঃ

হযরত ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেন,

كان النبي صلى الله عليه و سلم يركع قبل الجمعة أربعا . لا يفصل في شيء منهن

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর পূর্বে চার রাকাত পড়তেন। মাঝে সালাম ফেরাতেন না। ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১১২৯, তাবারানী, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং ১৬৪০। 

হযরত আলী রা. বর্ণনা করেন,

كان رسول الله يصلي قبل الجمعة أربعا وبعدها أربعا يجعل التسليم في آخرهن ركعة

অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর পূর্বে পড়তেন চার রাকাত, পরে পড়তেন চার রাকাত। আর চার রাকাতের পরেই তিনি সালাম ফেরাতেন। তাবারানী, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং ১৬১৭; আবু সাঈদ ইবনুল আরাবী, (মৃত্যু ৩৪০ হি.) আল মুজাম, হাদীস নং ৮৭৪।

حدثنا علي بن سعيد الرازي قال نا سليمان بن عمر بن خالد الرقي قال نا عتاب بن بشير عن خصيف عن ابي عبيدة عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه و سلم أنه كان يصلي قبل الجمعة اربعا وبعدها أربعا

অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর পূর্বে চার রাকাত ও পরে চার রাকাত পড়তেন। (মু'জামুল আওসাত,হাদীস নং ৩৯৫৯)

নাফে’ রহ. বর্ণনা করেন,

كَانَ ابْنُ عُمَرَ يُطِيلُ الصَّلاَةَ قَبْلَ الْجُمُعَةِ وَيُصَلِّى بَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ فِى بَيْتِهِ وَيُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ

ইবনে উমর রা. জুমআর পূর্বে দীর্ঘ নামায পড়তেন এবং জুমআর পরে ঘরে গিয়ে দুই রাকাত পড়তেন। আর বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনই করতেন। (আবু দাউদ ১১২৮)

আবূ আব্দুর রহমান সুলামী র. বলেন,

كان عبد الله يأمرنا أن نصلي قبل الجمعة أربعا ، وبعدها أربعا ، حتى جاءنا عليّ فأمرنا أن نصلي بعدها ركعتين ثم أربعا . أخرجه عبد الرزاق (٥٥٢٥) وإسناده صحيح.

অর্থ : আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. আমাদেরকে কাবলাল জুমআ চার রাকাত, বা’দাল জুমআ চার রাকাত পড়ার নির্দেশ দিতেন। অবশেষে হযরত আলী রা. যখন আমাদের এখানে (কূফায়) আসলেন, তখন তিনি আমাদেরকে বা’দাল জুমআ দুই রাকাত তারপর চার রাকাত (মোট ছয় রাকাত) পড়ার আদেশ দিয়েছেন। মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং ৫৫২৫। এর সনদ সহীহ।

 কাতাদা র. বলেন,

أن ابن مسعود كان يصلي قبل الجمعة أربع ركعات وبعدها أربع ركعات ، قال أبو إسحاق : وكان علي يصلي بعد الجمعة ست ركعات ، وبه يأخذ عبد الرزاق . أخرجه عبد الرزاق (٥٥٢٤) ورواه الطبراني وإسناده صحيح قاله النيموي في آثار السنن.

অর্থ: ইবনে মাসউদ রা. কাবলাল জুমআ চার রাকাত ও বা’দাল জুমআ চার রাকাত পড়তেন। আবূ ইসহাক বলেন, আলী রা. বা’দাল জুমআ ছয় রাকাত পড়তেন। (আব্দুর রাযযাক বলেন,) আব্দুর রাযযাক এ হাদীস অনুসারেই আমল করে থাকে।

মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং ৫৫২৪। তাবারানী শরীফ। এর সনদ সহীহ।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জুম'আর নামাজের আগে চার রাকাত সুন্নাত।
জুম'আর নামাজের পরেও চার রাকাত সুন্নাত। 
তবে এই ব্যাপারে বিভিন্ন হাদীস থাকায় ফুকাহায়ে কেরামগন দের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর মতে  জুম'আর নামাজের পরেও চার রাকাত + দুই রাকাত মোট ৬ রাকাত সুন্নাত। এই মতকেই ফুকাহায়ে কেরামগন প্রাধান্য দিয়েছেন।

(০৪)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 212 views
0 votes
1 answer 231 views
0 votes
1 answer 331 views
0 votes
1 answer 261 views
...