আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
১)ধরুন,কোন ব্যাক্তি ভালোবাসার ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে তার স্ত্রীকে শরিক করেছে কি না,অর্থাত শিরক করেছে কি না তাই নিয়ে চিন্তিত।

এমতাবস্থায় তার স্ত্রী তাকে ফোন করে জানাল যে, "আজ সকাল থেকে আমার শরীর খারাপ লাগছিল, কিন্তু এখন ভালো লাগছে"

এটা শুনে তার মন ভালো লাগছিল যে তার স্ত্রীর শরীর ভালো হয়ে গেছে।

স্ত্রীর সুস্থতার কথা শুনে যে সে শিরকের চিন্তা ভুলে খুশি বোধ করল,এতে কি শিরক হবে???

২)ধরুন,আমি ফুল গাছের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলাম।

সবাই বলল খুব সুন্দর ছবি টা।

সবাই আমার প্রশংসা করছিল।

আর আমি খুশি খুশি বোধ করছিলাম।

ফুল তো আল্লাহর সৃষ্টি।

ছবি তুলার তাওফিক আল্লাহ ই দিছেন।

কিন্তু সবাই যে আমার প্রশংসা করছে এতে কি শিরক হবে??

৩)ধরুন,কেউ দুনিয়াবি একটা বিষয় নিয়ে ক্ষতির আশংকায় শিরক ছারতে পারছে না।।

এরপর একটা সময় সেই সমস্যা কেটে গেল।

এখন শিরক ছাড়লেও দুনিয়াবি ওই বিষয় নিয়ে ক্ষতির আশংকা নাই।

এখন সে তাওবা করলেই চলবে??

নাকি যেই বিষয় নিয়ে ক্ষতির আশংকা করছিল,সেই বিষয় এ ক্ষতি করতে হবে ইচ্ছা করে?

৪)ধরুন,কেউ তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসে।অনেক গল্প করে।মাঝে মধ্যে স্ত্রীর আবদার পুরন করতে গিয়ে হারাম কাজ করে ফেলে।

এরপর সে একদিন ভালোবাসার ক্ষেত্রে শিরক হয় এটা জানতে পারে।

এখন তার সন্দেহ হয় যে,সে কি ভালবাসার ক্ষেত্রে শিরক করছে কি না??

তাই সে একবার ভাব্ল,সে স্ত্রী কে তালাক দিবে।পরে তার মনে হল যে সে তার স্ত্রী কে অনেক ভালো বাসে।আবার তালাক দিলে বাচ্চাদেরও কষ্ট হবে।।

তাই,সে ভাবল,শিরক হলেও তালাক দিবে না সে।

এই ব্যাক্তি কি মুশরিক হিসেবে গন্য হবে???

৫)নবী (সা) কি আমাদের দোয়া শুনতে পান??

তাকে সালাম দিলে বা দুরুদ পড়লে আল্লাহ তার কাছে পৌঁছায় দেন সেটা জানি।

কিন্তু আমাদের দোয়া তো তিনি শুনতে পান না তাই না??

৬)কোন লোক যখন বাসার বাইরে যায় একা একা তখন সে বেগানা মহিলাদের দিকে তাকায়।

কিন্তু যখন তার সাথে স্ত্রী থাকে তখন স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য সে কোন মেয়ের দিকে তাকায় না।

তার এই কর্মকাণ্ড কি শিরক হবে??

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম



শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,
কিছু বিষয় আছে এমন, যা তাওহীদ-পরিপন্থী তো নয়, তবে তা ‘তাওয়াক্কুলে’র সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিম্নস্তরের। এ ধরনের বিষয়গুলোকে শিরক বলা স্পষ্ট ভুল। যে বিষয়ে যতটুকু কমতি আছে তাতে ততটুকু কমতির কথাই বলা উচিত। বাড়াবাড়ি করে বিদআতকে শিরক বলে দেওয়া অথবা তাওয়াক্কুলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিপন্থী বিষয়কে তাওহীদের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে শিরক বানিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
,
শিরকের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন।
  
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

(০১)
এতে শিরক হবেনা।

(০২)
এতে শিরক হবেনা।

(০৩)
এখন সে তাওবা করলেই চলবে।

(০৪)
এতে শিরক হবেনা।
সেই ব্যাক্তি  মুশরিক হিসেবে গন্য হবেনা।

(০৫)
পৌছিয়ে দেয়া হয়।
সরাসরি শুনতে পাননা।

(০৬)
তার এই কর্মকাণ্ড নাজায়েজ হবে,তবে শিরক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...