আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
286 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (-1 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ

কোন একটা আমল শুরু করার পর যদি মনে হয় যে আমি তো এটা লোকদেখানোর জন্য শুরু করেছিলাম তাহলে এমতাবস্থায় তার করণীয় কি? সেই আমল চলমান থাকলে বাদ দিয়ে দিতে হবে?

1 Answer

+1 vote
by (675,600 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 
,
শরীয়তের বিধান হলো এমতবস্থাতেও আপনাকে উক্ত আমল চালিয়ে যেতে হবে।
ছেড়ে দেওয়া যাবেনা।
আল্লাহর কাছে নিয়মিত পানাহ চাইতে হবে, আস্তে আস্তে রিয়া অন্তর থেকে দূর হয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ।  
বেশি বেশি ইস্তেগফার, لا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم  পাঠ করবেন।
,
বান্দার আমলে রিয়া যদি ইচ্ছাকৃত হয়, তবে তা যত গৌণই হোক—সে আমল আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়।
,
 হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি শরিককারীদের শরিক থেকে অমুখাপেক্ষী। যে ব্যক্তি কোনো আমল করল এবং তাতে আমার সঙ্গে কাউকে শরিক করল, আমি তাকে ও যাকে সে শরিক করল তাকে প্রত্যাখ্যান করি।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৫২৮)

তবে রিয়া যদি অনিচ্ছায় হয়, বান্দা তা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে এবং এ জন্য অনুতপ্ত হয়, তবে গ্রহণযোগ্য মত হলো, এমন ইবাদত আল্লাহর দরবারে প্রত্যাখ্যাত হবে না। ব্যক্তি ইবাদতের দায় থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। তবে তার প্রতিদান কী হবে, তা আল্লাহই ভালো জানেন।
,
রিয়া থেকে বাঁচা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 
,
নামাযের ভিতরে রিয়ার চিন্তা মনে আসলেই কবর মৃত্যুর কথা স্মরণ করুন। সাথে এটা মনে রাখুন যে, কেউ না জানুক, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার সব কাজ, সকল অনুভূতি শুনছেন, দেখছেন। 

আর নামাযের মাঝে সুন্নতের প্রতি খেয়াল করে নামায পড়–ন, আর সাথে সাথে স্মরণ করুন যে আল্লাহ তাআলা আপনাকে দেখছেন। আপনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কুদরতী পায়ে সেজদা করছেন। তাহলে নামাযে রিয়া আসবে না আশা করি।

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, أَنْ تَعْبُدَ الله كَأَنَّكَ تَرَاهُ ، فَإِنَّكَ إِنْ لا تَكُنْ تَرَاهُ

“ইবাদত এমনভাবে কর, যেন তুমি আল্লাহকে দেখছো, যদি এমন হালাত না হয়, তাহলে জেনে নাও, আল্লাহ তাআলা তোমাকে দেখছেন”। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১২, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১২০, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৯}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...