উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
,
শরীয়তের বিধান হলো এমতবস্থাতেও আপনাকে উক্ত আমল চালিয়ে যেতে হবে।
ছেড়ে দেওয়া যাবেনা।
আল্লাহর কাছে নিয়মিত পানাহ চাইতে হবে, আস্তে আস্তে রিয়া অন্তর থেকে দূর হয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ।
বেশি বেশি ইস্তেগফার, لا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم পাঠ করবেন।
,
বান্দার আমলে রিয়া যদি ইচ্ছাকৃত হয়, তবে তা যত গৌণই হোক—সে আমল আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়।
,
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি শরিককারীদের শরিক থেকে অমুখাপেক্ষী। যে ব্যক্তি কোনো আমল করল এবং তাতে আমার সঙ্গে কাউকে শরিক করল, আমি তাকে ও যাকে সে শরিক করল তাকে প্রত্যাখ্যান করি।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৫২৮)
তবে রিয়া যদি অনিচ্ছায় হয়, বান্দা তা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে এবং এ জন্য অনুতপ্ত হয়, তবে গ্রহণযোগ্য মত হলো, এমন ইবাদত আল্লাহর দরবারে প্রত্যাখ্যাত হবে না। ব্যক্তি ইবাদতের দায় থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। তবে তার প্রতিদান কী হবে, তা আল্লাহই ভালো জানেন।
,
রিয়া থেকে বাঁচা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
,
নামাযের ভিতরে রিয়ার চিন্তা মনে আসলেই কবর মৃত্যুর কথা স্মরণ করুন। সাথে এটা মনে রাখুন যে, কেউ না জানুক, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার সব কাজ, সকল অনুভূতি শুনছেন, দেখছেন।
আর নামাযের মাঝে সুন্নতের প্রতি খেয়াল করে নামায পড়–ন, আর সাথে সাথে স্মরণ করুন যে আল্লাহ তাআলা আপনাকে দেখছেন। আপনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কুদরতী পায়ে সেজদা করছেন। তাহলে নামাযে রিয়া আসবে না আশা করি।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, أَنْ تَعْبُدَ الله كَأَنَّكَ تَرَاهُ ، فَإِنَّكَ إِنْ لا تَكُنْ تَرَاهُ
“ইবাদত এমনভাবে কর, যেন তুমি আল্লাহকে দেখছো, যদি এমন হালাত না হয়, তাহলে জেনে নাও, আল্লাহ তাআলা তোমাকে দেখছেন”। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১২, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১২০, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৯}