আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
285 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (7 points)
edited by

আমি একজন ওয়াসওয়াসার রুগী। আমি বিয়ে করেনি। আমি জীবনে অনেকবার আল্লাহর দেওয়া কসম ভেঙেছি। এমনও কসম ভেঙেছি যা ভাঙলে ঈমান চলে যায়। অর্থাৎ কাফের, মুশরিক হয়ে যাওয়ার কসম ও ভেঙেছি।


আমার কসম ভেঙে ফেলার কাফফারা হিসেবে ২০০টি কসম ভেঙে ফেলার কাফফারা দিবো নিয়ত করেছিলাম। এটা একজন মুফতি হুজুরের সাথে পরামর্শ করেই নিয়েছিলাম।
এরপর আমি তওবা করে ঈমান এনেছি এবং ঈমান আনার জন্য ১-৩টি কাফফারা দিয়েছি। (সংখ্যা মনে নাই) এরপর আরও কিছু কসম ভেঙে ফেলেছি তবে সেগুলো ঈমান চলে যাওয়ার নয়। এরপর আনুমানিকভাবে আরও ৩০ টি কাফফারার নিয়ত করেছি। আরও কিছু কসম ভেঙে ফেলার পর সবমিলিয়ে ২৬৫ টি কাফফারা দেওয়ার নিয়ত করেছি।

কিছুদিন আগে আল্লাহর কসম তালাকের প্রশ্ন করবো না - এ জাতীয় আরও কয়েকবার কসম ভেঙে ফেলেছি। এরপর মনে মনে নিয়ত করে ফেলেছি ১০ টির কাফফারা দিবো। মানে একই কাজ না করার জন্য বার বার কসম কাটার জন্য প্রতিবার আলাদা আলাদা কাফফারা আদায়ের জন্য সতর্কতা হিসেবে ১০টি কাফফার নিয়ত করেছি। যদিও আমি জানি যে একই কাজ বার বার কসম করলেও একবারের টা আদায় করলেই হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কাফফারার সংখ্যা হয়ে গেল ২৭৫ টি। মাঝে মাঝে মনের ভিতরে নিয়ত চলে আসতো ২৯০ টি দিয়ে দিবো, আবার নিয়ত চলে আসে যে সতর্কতা সরুপ ৩০০টির দিয়ে দিবো।
 

ঘটনাটি আমি আপনাকে ম্যাসেজ এ লিখে দিচ্ছি কারণ এই ঘটনাটি অন্য কেউ জেনে ফেললে বা যাকে নিয়ে ঘটনা সে দেখে ফেললো কি না সেটা নিয়ে আমার ভয়। সেই ঘটনার উপর ভিত্তি করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েনঃঃ-

হুজুর, অনুগ্রহ করে আমার ম্যাসেজটি দেখুন। তবে, ম্যাসেজ এর ঘটনার সময় আমার এত ওয়াসওয়াসা ছিল না। কয়েকমাস ধরে ওয়াসওয়াসা অনেক বেড়ে গেছে। তখন, অন্য বিষয়ে ওয়াসওয়াসা ছিল। ঈমান, তালাক, কাফফারা - এসব বিষয় এ হয়তো ওয়াসওয়াসা ছিল না। তাই, ম্যাসেজটি পড়ার সময় ধরে নিয়েন যে, আমার তখন ঈমান, তালাক ও কাফফারা সংক্রান্ত ওয়াসওয়াসা ছিল না।

হুজুর আপনার কাছে পাঠানো ম্যাসেজ অনুযায়ী আমাকে বলুনঃ-
১. যেহেতু একজন মুফতি হুজুর বলেছেন কসম ভেঙে গেছে তাই ঘটনার জন্য আমি আবারও ৭ টি কাফফারা আদায়ের নিয়ত করে ফেলেছি মনে মনে। কসম কি ভেঙে গেছে?
২. তাহলে আমি কি শর্তযুক্ত তালাক ভেঙে ফেলেছি? ভেঙে না ফেললে এর যুক্তি কি?
৩. কসম ভেঙে ফেলার আগেই কি কাফফারা দেওয়ার নিয়ত করা যায়?
৪. হুজুর আমার মোট কতটি কাফফারা দিলে ঈমান থাকবে? আমি হুজুর ঈমান নিয়ে মরতে চাই।
৫. আপনি যদি বলেন যে কসম ভেঙে যায়নি তাহলে এরপরও কি কাফফারা আদায় করবো? যেহেতু নিয়ত করেছি?
৬. যদি কসম ভেঙে ফেলার কাফফারা আদায় করে ফেলি তাহলে কি উপরে তালাকের শর্ত ভেঙে যাবে? যদি আমি কসম ভেঙে না থাকি?
৭. হুজুর, একজন মুসলিমের জন্য ঈমান কতটা দামী সেটা তো হুজুর আমি এখন ভালভাবে বুঝতে পারছি। আমি কিভাবে বিয়ে করতে পারবো এবং ঈমান নিয়ে মরতে পারবো একটু জানান হুজুর। আমার ঈমান বাচানোর জন্য আমি সব করতে পারি হুজুর। কতটি কাফফারা দিলে আমি ঈমান ফিরে পাবো হুজুর?
৮. আপনাকে প্রশ্ন করার সময় যদি শর্তটি সেই মেয়ে দেখে ফেলে কিংবা অন্য কেউ দেখে ফেলে সেই মেয়েকে বলে দেয় তাহলে কি শর্ত ভেঙে যাবে?
৯. আমি ঈমান এনে যদি কাফফারা না দেই তাহলে কি আমার ঈমান আবার চলে যাবে? কাফফারার না দেওয়ার গুনাহ কি তওবার মাধ্যমে কবুল হয়?
১০. কাফফারা দেওয়ার সময় কি মনে মনে নিয়ত করে দিতে হবে যে এটা কোন কসম এর কাফফারা?
১১. আমি কিছুতেই কাফফারার সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারছি না। কারণ ৩০০ টির সাথে ৭ টি যোগ করার কথা ভাবি আবার চিন্তা করি আমি তো ২৬৫ টির পর এত কসম ভেঙে ফেলছি না। এত কেন দিবো? তখন মনের মধ্যে আসে "একবার ভেবেছিলাম ২৬৫+১০+৭ = ২৮২ টি কাফফারা দিবো। ৩০০ টি তো আগেই মনে মনে চিন্তা করেছি। তাহলে ঈমান ভঙের কাফফারা কই গেল? আমার কি ঈমানের চেয়ে টাকার মূল্য বেশি হয়ে গেল?"
১২. একবার মনের মধ্য এ এসে পড়েছিল যে এত কাফফারা বাড়ালে তো ৫০০ টিও দেওয়া যায়। এটা মনে হয় উদাহরণ সরুপ এনেছি। নাকি নিজেই মনে মনে এনেছি মনে করতে পারছি না। মানে কাফফারার সংখ্যা বাড়ানোর নিয়ত করে ফেলি তাই হয়তো এমন চিন্তা করেছিলাম। এখন কি ৫০০ টির নিয়ত হয়ে গেছে?
১৩. কাফফারার সংখ্যা কিভাবে স্থির করতে হয়? আমার মনে তো মাঝে মাঝে ৫০০/১০০০ ও উকি দেয়। - এই নিয়ত মনে হয় মনে মনে আমি ইচ্ছা করেই এনেছি। যেন কাফফারার সংখ্যা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় নাকি অন্য কারণ কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন লেখার সময় দুশ্চিন্তা হচ্ছে ৫০০/১০০০ কাফফারার নিয়ত হয়ে গেল নাতো? - এটা নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে। একটু পর আবার মনে মনে চিন্তা আসতাছে ১০০০ কাফফারা দিলে কেমন খরচ হবে? ইত্যাদি। মানে আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আবার চিন্তা আসতাছে ১ লক্ষ/ ১ কোটি কাফফার। হুজুর, আমি অত্যাধিক সুচীবায়ুগ্রস্থ। আমাকে ঈমান আনতে সাহায্য করুন। যখন কাফফারার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার নিয়ত হয়ে যায় তখন আমি মনে কষ্ট পাই।  আবার ২০০০ কাফফারা নিয়েও চিন্তা চলে আসে। একবার মনে মনে ভেবেছিলাম "১০০০ টি কাফফারা দেওয়ার নিয়ত করলে কত টাকা যাবে? আমি না দিতে পারলে আমার সন্তান দিবে।" এভাবে ভাবতে ছিলাম কিন্তু নিয়ত করেনি। পরে আবার ভয় পেয়ে গেলাম যে ১০০০ টি কাফফারা দেওয়ার নিয়ত হয়ে গেল কি না? হুজুর, আমাকে কতটি কাফফারা দিতে হবে?
১৪. আমি যদি ভাবি যে, "কাফফারা আদায় না করলে ঈমান আসবে না" - এটা কি ঈমানের পরিপন্থী?
১৫. আমি প্রশ্ন লেখার সময় অন্য মানুষকে কথা দিয়েছিলাম যে উমুক কাজ করবো। আমার যদি এমন মনে হয় যে উমুক কাজ না করলে হয়তো কাফফারার সংখ্যা বেড়ে যাবে। এরপর আমি যদি ঐ কাজটি করার নিয়ত করি এবং পরে যদি সেটাকে ওয়াসওয়াসা ভেবে বাদ দেই তাহলে কি কাফফারার সংখ্যা বেড়ে যাবে?

১৬. আমার কাফফারার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সাথে কি অন্য কোন কাজ বা পাপ সম্পর্কিত? যেমন প্রশ্ন লেখা সময়ে, বা আপনি যতক্ষণ উত্তর না দিবেন তখন কোন পাপ করলে কাফফারা বেড়ে যাবে? বা পরে পাপ করলে বেড়ে যাবে?

১৭. এই আইডি ফেইক। আমি ভুল নামে ও ভুল ইমেইল ব্যবহার করে আইডি খুলে প্রশ্ন করেছি। এতে কি কাফফারার সংখ্যার উপর কোন সমস্যা হবে? মানে কাফফারা কি বেড়ে যাবে?

১৮. একজন কাফফারার প্রশ্ন লেখার সময় একজন ফোন দিয়ে বলল একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে। আমি বলেছি ৯ টায় যাবো। এরপর ভয় ঢুকে গেল ৯ টায় না গেলে কাফফারার সংখ্যা বেড়ে ৫০০/১০০০ হয়ে যায় কি না? কারণ, তখন সম্ভবত ৫০০/১০০০ কাফফারা নিয়ে লিখছিলাম সে আমায় যখন ফোন দিছিল৷ তাই, আমি ৯ টার পূর্বেই বের হয়ে গেলাম। এখন যাওয়ার সময় আমি যদি বান্দার হোক কিংবা অন্য যেকোনো পাপ কাজে লিপ্ত হই তাহলে কি কাফফারা বেড়ে যাবে? আমার এই ধরনের প্রশ্ন আসলে করনীয় কি? বা প্রশ্ন লেখার সময় কোন পাপ কাজে লিপ্ত হলে কি কাফফারার সংখ্যা বেড়ে যাবে?

১৯. কাফফারার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে আমি যে ভয় পাচ্ছি আর এত প্রশ্ন করছি এতে কি এমন হতে পারে আল্লাহ তা'আলা রেগে আমার কাফফারা বাড়িয়ে দিবেন বা কবুল করবেন না?

২০. আমার কাফফারার সংখ্যা নিয়ে অতিরিক্ত প্রশ্ন আসা শুরু হয়ে গেছে। কি করলে মুক্তি পাবো? আপনার দেওয়া ফতোয়া আর পরামর্শ যদি না মানি সেক্ষেত্রে কি কাফফারা বেড়ে যাবে? আমার আরো প্রশ্ন জেগে আছে। সেগুলো না করলে কাফফারার সংখ্যা বেড়ে যাবে? আমি তো প্রশ্ন করতে চাই না। কিন্তু প্রশ্ন মনের আসে শুধু।  হুজুর, এসব প্রশ্নের আপনার উত্তর মনোযোগ দিয়ে না পড়লে কি কাফফারা বেড়ে যাবে? 

২২. উমুক কাজ না করলে কাফফারা বেড়ে যাবে - মনের মধ্যে এই ধরনের শর্ত চলে আসলে করনীয় কি? আমি যদি সতর্কতা সরুপ উমুক কাজ করার নিয়ত করে ফেলি এবং পরে যদি সেই কাজটি না করি তাহলে কি কাফফারা বেড়ে যাবে?

২৩. এইগুলো যদি ওয়াসওয়াসা হয়ে থাকে আমি যদি এই ধরনের প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকি তাহলে কি আমি জিহাদের সওয়াব পাব? আপনার দেওয়া পরামর্শ না মেনে যদি আমি নিজের মত করে শর্ত তৈরি করি এবং সে অনুযায়ী কাজ করি তাহলে কি পাপ হবে?

২৪৷ জানার জন্য এই প্রশ্ন করতাছিঃ কেউ যদি বলে উমুক কাজ না করলে কাফফারা বেড়ে যাবে - এটা যদি সে উচ্চারণ করে বলে এবং উমুক কাজটি (সেটি যত সওয়াব এর কাজই হোক বা পাপের কাজই হোক না কেন)  না করে তাহলে কি তার কাফফারা বেড়ে যাবে? এই প্রশ্নের মাধ্যমে কি কাফফারা বেড়ে যাবে? আমি তো এমন কথা উচ্চারণ করে বলেনি।

২৫. আমি নিয়মিত ফরজ নামাজ পড়ি না। আমি ঘুনিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে ওঠার পর মনে হল আজকে আসরের নামাজ না পড়লে কাফফারা বেড়ে যাবে। তখন মনে হলো যে ওয়াক্ত চলে গেছে। তাহলে আগামী কাযা আদায় করবো। পরে দেখি নামাজের সময় আছে। ৫.০৩ - ৫.২০ এর মধ্যে কি আসরের ওয়াক্ত থাকে? আমাকে কি কাযা আদায় করতে হবে যেহেতু নিয়ত চলে এসেছে নাকি আমিই মনে মনে করেছি যে আগামীকাল কাযা আদায় করবো? আমি যদি নামাজ আদায় না করতাম তাহলে কি কাফফারা বেড়ে যেত? নামাজ/ওযু শুদ্ধ না হলে বা আমি যদি জেনে শুনেও ভুল করে থাকি তাহলে কি কাফফারা বেড়ে যাবে? কাযা নিয়ত করার সময় হয়তো আমি আগামীকাল ফরজ নামাজও পড়তাম এখন যদি আগামীকাল কাযা ও ফরজ নামাজ না পড়ি তাহলে কি কাফফারা বেড়ে যাবে? আমার মনের মধ্যে আসতাছে যে, আগামীকাল আসর নামাজ না পড়লে কাফফারা বেড়ে যেতে পারে। - আমি কি এই অনুযায়ী পাত্তা দিবো? আমি যদি কাফফারার চিন্তা আসায় নিয়ত করেও ফেলি যে আগামীকাল আসরের নামাজ আদায় করবো। এক্ষেত্রে আগামীকাল আসরের নামাজ আদায় করলে বা না করলে কি কাফফারা বেড়ে যাবে? শুধুমাত্র কাফফারা যেন বেড়ে না যায় - এই নিয়তে নামাজ আদায় করলে কি সেটা গুনাহ হবে?

২৬. আজকে আসরের নামাজ না পড়লে হয়তো কাফফারা বেড়ে যেতে পারে - এই নিয়তে হয়তো আমি আসরের সালাত আদায় করেছি। এতে কি কাফফারা বেড়ে যাবে? - এই ধরনের ধারণা রাখা কি ঈমানের পরিপন্থী? এই ধরনের ধারণা করলে কি কাফফারা বেড়ে যাবে?

হুজুর আমায় ক্ষমা করে দিয়েন আমি অনেকগুলো প্রশ্ন করে ফেলেছি।

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


কসম ভঙ্গ করলে তার কাফফারা আদায় করা আবশ্যক।

কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,

لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَكِنْ يُؤَاخِذُكُمْ بِمَا عَقَّدْتُمُ الْأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُوا أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

‘তোমাদের অনর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না, কিন্তু, যেসব শপথ তোমরা ইচ্ছে করে কর সেগুলোর জন্য তিনি তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন। তারপর এর কাফফারা দশজন দরিদ্রকে মধ্যম ধরনের খাদ্য দান, যা তোমরা তোমাদের পরিজনদেরকে খেতে দাও, বা তাদেরকে বস্ত্রদান, কিংবা একজন দাস মুক্তি। অতঃপর যার সামর্থ্য নেই তার জন্য তিন দিন রোজা রাখবে। তোমরা শপথ করলে এটাই তোমাদের শপথের কাফফারা। আর তোমরা তোমাদের শপথ রক্ষা করো। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তার আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা শোকর আদায় কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৮৯]

★প্রতিটি কসমের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কাফফারা আদায় করতে হয়। একাধিক কসমের জন্য একটি কাফফারা আদায় করা যথেষ্ট নয়। 
 
{ফাতহুল কাদির ৪/৩৬৬; তাবয়িনুল হাকায়িক ৩/৪৩২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৬৮;ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/৫৪৬}

বিস্তারিত জানুনঃ  

যদি অর্থনৈতিকভাবে কেহ দুর্বল হয়ে থাকে, তাহলে একটি কাফফারা আদায় করা যেতে পারে।
,

(قَوْلُهُ وَتَتَعَدَّدُ الْكَفَّارَةُ لِتَعَدُّدِ الْيَمِينِ) وَفِي الْبُغْيَةِ: كَفَّارَاتُ الْأَيْمَانِ إذَا كَثُرَتْ تَدَاخَلَتْ، وَيَخْرُجُ بِالْكَفَّارَةِ الْوَاحِدَةِ عَنْ عُهْدَةِ الْجَمِيعِ. وَقَالَ شِهَابُ الْأَئِمَّةِ: هَذَا قَوْلُ مُحَمَّدٍ. قَالَ صَاحِبُ الْأَصْلِ: هُوَ الْمُخْتَارُ عِنْدِي. اهـ. مَقْدِسِيٌّ، وَمِثْلُهُ فِي الْقُهُسْتَانِيُّ عَنْ الْمُنْيَةِ (رد المحتار، كتاب الايمان، مطلب تتعدد الكفارة لتعدد اليمين-3/714)
সারমর্মঃ
কাফফারা যখন অনেক বেশি হয়ে যাবে,তখন তাদাখুল তথা একটা কাফফারা দিয়েই সকল কসমের কাফাফারার ক্ষেত্রে  যথেষ্ট হবে।

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

(১-২৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সম্ভব হলে আপনি যতগুলি কসম ভেঙ্গে ফেলেছেন,এখানে একই ধরনের যেই কসম গুলো,সেগুলোর মোট একটি কাফফারা আদায় করবেন 

আর আলাদা জাতীয় কসম হলে আলাদা ভাবেই কাফফারা দিবেন।

যদি সামর্থ না থাকে,তাহলে সব মিলে একটি কাফফারা আদায় করলেও হয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ।  

মেসেজে আপনি যাহা উল্লেখ করেছেন,তাতে আপনার কসম ভেঙ্গে গিয়েছে।
আপনাকে এর জন্য একটি কাফফারা দিতে হবে।
আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
তাই নতুন করে ঈমান আনতে হবেনা।

আপনি প্রথমে যাকে বিবাহ করবেন,সে তিন তালাক প্রাপ্তা হয়ে যাবে।
পরবর্তীতে আপনি অন্য কোনো মহিলাকে বিবাহ করে নিবেন। 

আর যদি আপনাকে কেউ না জানিয়েই আপনার পক্ষ থেকে ইজাব করে আর মেয়ে কবুল করে,অতঃপর বিষয়টি আপনাকে জানানো হলে আপনি মৌখিক কিছু না বলে মোহর (আংশিক হতে পারে) পাঠিয়ে দেন, তাহলে এইভাবে আপনার ১ম বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(২৫)
এই নিয়তে নামাজ আদায় করলে গুনাহ হবেনা।

(২৬)
এতে কাফফারা বেড়ে যাবেনা। 
এই ধরনের ধারণা রাখা ঈমান পরিপন্থী নয়।
এতে ঈমান চলে যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...