আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
172 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

১।হুজুর, একটি সমস্যার সমাধান করুন। কোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যদি ২/৩ বার কেনয়া তা*** মত ঘটনা বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি মুলক ঘটনা ঘটে থাকে,, তাহলে তারা কয় তা** ধরে নিবে? অর্থাত স্বামী যদি কেনায়া তা*** মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়,, এইরকম ঘটনা যদি কয়েকবার ঘটে থাকে তাহলে তারা কয় তালা* ধরবে?
বায়েন তা** নাকি একটা পরার পর,, পরবর্তীতে ইজাব কবুল না হলে পুনরায় বায়েন তা** পরে না।

##তাহলে সেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যদি স্পষ্ট ইজাব কবুল না হয়ে থ কেনায়া তালা** মিথ্যা স্বীকারোক্তির ঘটনার পর।
কিন্তু  কিছু ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সেগুলোর মাধ্যমে কি ইজাব কবুল হবে আর বার বার বায়েন তা** পরবে??

ঘটনা ঃ স্ত্রী স্বামীকে বললো,, তুমি না আমার স্বামী,,, অমুক কাজটা করো না দয়া করে,, এইভাবে বলার পর যদি স্বামীও যদি বলে হ্যাঁ / তুমি আমার বউ। এইভাবে বলার সময় যদি সামনে উপযুক্ত সাক্ষী থাকে। তাহলে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে??

২।যদি এইভাবে ইজাব কবুল হয় তা*** ঘটনা গুলোর মাঝে,, তাহলে কি বার বার তালা* পতিত হবে??

৩। ইজাব কবুলের মত ঘটনা গুলো সন্দেহ জনক,, অর্থাত স্বামী স্ত্রী উভয়ে জামাই/ বউ ডেকেছিল কিনা মনে নেই স্পষ্ট।  ঘটনার সাক্ষি হিসেবে যাদেরকে মনে করতে পারছে,,তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে যদি সঠিক ঘটনা মনে না করতে পারে,, বা স্বামী ও মনে না করতে পারে স্ত্রীকে বউ বলে সম্মোধন করেছিল কিনা তার স্ত্রী তাকে স্বামী বলার পরে। স্ত্রী স্বামীকে জামাই বলে সম্মোধন করেছে বলে মনে আছে,,, কিন্তু এরপর স্বামী সম্মতিসূচক কিছু বলেছিল বলে মনে নেই,, হেসেছিল এইটুকু মনে আছে।   তাহলে হুকুম কি?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি সম্পূর্ণই অস্পষ্ট। দয়াকরে স্পষ্ট করে ইডিট করে দিবেন।নতুন করে প্রশ্ন না করে বরং এই প্রশ্নকে ইডিট করে দিবেন। আমি বলতে চাচ্ছি, সম্পূর্ণ  জবাব দেয়ার পূর্বে একবার আমার সাথে ফোনে কথা বলুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
আপনার প্রশ্নটি সম্পূর্ণই অস্পষ্ট। দয়াকরে স্পষ্ট করে ইডিট করে দিবেন।নতুন করে প্রশ্ন না করে বরং এই প্রশ্নকে ইডিট করে দিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...