বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সুন্নাতে মুয়াক্কাদা সম্পর্কে আল্লামা জুরজানী রাহ বলেনঃ
ﻭﺣﻜﻤﻬﺎ ﻛﺎﻟﻮﺍﺟﺐ -— ﺇﻻ ﺃﻥ ﺗﺎﺭﻙ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﻳﻌﺎﻗﺐ ﻭﺗﺎﺭﻛﻬﺎ ﻻ ﻳﻌﺎﻗﺐ - ( ﺍﻟﺘﻌﺮﻳﻔﺎﺕ ﻟﻠﺠﺮﺟﺎﻧﻰ 138-
সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই। অর্থাৎ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহী করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুআক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহী করতে হবে। তবে ওয়াজিব তরককারীর জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়ে যেতেও পারে। তবে শাস্তিও পেতে পারে।
ফরজ নামাযের আগে পরের সুন্নতে মুআক্কাদার অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত। এ কারণেই ফুক্বাহায়ে কেরাম লিখেন যে,
ﺭﺟﻞ ﺗﺮﻙ ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺍﻥ ﻟﻢ ﻳﺮ ﺍﻟﺴﻨﻦ ﺣﻘﺎ ﻓﻘﺪ ﻛﻔﺮ، ﻷﻧﻪ ﺗﺮﻛﻬﺎ ﺍﺳﺘﺨﻔﺎﻓﺎ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ - 2/492 ، ﺑﺪﺍﺋﻊ ﺍﻟﺼﻨﺎﺋﻊ - 1/644
যদি কেউ সুন্নতকে হক মনে না করে এটাকে ছেড়ে দেয়, তাহলে এ কর্ম তাকে কুফরী পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
ﻭﺍﻥ ﺭﺁﻫﺎ ﺣﻘﺎ ﻓﺎﻟﺼﺤﻴﺢ ﺃﻧﻪ ﻳﺄﺛﻢ، ﻷﻧﻪ ﺟﺎﺀ ﺍﻟﻮﻋﻴﺪ ﺑﺎﻟﺘﺮﻙ، ﻛﺬﺍ ﻓﻰ ﻣﺤﻴﻂ ﺍﻟﺴﺮﺧﺴﻰ، ( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ - 1/112
তবে কেউ যদি সুন্নতকে সহীহতো মনে করে, কিন্তু অলসতা করে ছেড়ে দেয়। তাহলে সে গোনাহগার হবে।
(ﻗﻮﻟﻪ ﻭﺳﻦ ﻣﺆﻛﺪا) ﺃﻱ اﺳﺘﻨﺎﻧﺎ ﻣﺆﻛﺪا؛ ﺑﻤﻌﻨﻰ ﺃﻧﻪ ﻃﻠﺐ ﻃﻠﺒﺎ ﻣﺆﻛﺪا ﺯﻳﺎﺩﺓ ﻋﻠﻰ ﺑﻘﻴﺔ اﻟﻨﻮاﻓﻞ، ﻭﻟﻬﺬا ﻛﺎﻧﺖ اﻟﺴﻨﺔ اﻟﻤﺆﻛﺪﺓ ﻗﺮﻳﺒﺔ ﻣﻦ اﻟﻮاﺟﺐ ﻓﻲ ﻟﺤﻮﻕ اﻹﺛﻢ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ اﻟﺒﺤﺮ، ﻭﻳﺴﺘﻮﺟﺐ ﺗﺎﺭﻛﻬﺎ اﻟﺘﻀﻠﻴﻞ ﻭاﻟﻠﻮﻡ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ اﻟﺘﺤﺮﻳﺮ: ﺃﻱ ﻋﻠﻰ ﺳﺒﻴﻞ اﻹﺻﺮاﺭ ﺑﻼ ﻋﺬﺭ
সুন্নাতে মুয়াক্কাদা অর্থ হল,নফল নামায সমূহের মধ্যে অতিরিক্ত তাগিদ সম্পন্ন।এজন্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদা সমূহ গোনাহ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় ওয়াজিবের নিকটতম।সুন্নাতে মুয়াক্কাদা তরককারী গোমরাহি ও তিরস্কারযোগ্য। যেভাবে বিনা উজরে ধারাবাহিক তরক করলে হয়। আদ্দুর্রুল মুখতার-২/১২(দারুল ফিকর বাইরুত)
★ইমদাদুল আহকাম-১/৬০৫
★কিফায়াতুল মুফতী৩/৩১৯(দারুল এশায়াত)
★ফাতাওয়া দারুল উলূম-৪/২০৬(দারুল এশায়াত)