আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
আমি কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি যে সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা নামাজ আদায়ের জন্য দুটি নিয়ম আছে।

একটি হলো প্রথম বৈঠকে তাশাহুদের সাথে দুরুদ এবং দোয়া মাসূরা পড়ে সালাম না ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়ে তৃতীয় রাকাতে আবার সানা এবং আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়ে কেরাত শুরু করা।এভাবে পড়ে শেষ বৈঠক ধারাবাহিকভাবে পড়ে সালাম ফিরানো।

এবং দ্বীতিয় নিয়ম হলো আমরা যেভাবে অন্যান্য সুন্নত নামাজ পড়ি প্রথম বৈঠতে শুধু তাশাহুদ পড়া সেটা।

আমি জানতে চাচ্ছি সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা নামাজ পড়ার দুটি নিয়মই কি সঠিক?যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে উত্তম পদ্ধতি কোনটি?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ ثَابَرَ عَلَى ثِنْتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً مِنَ السُّنَّةِ، بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ، أَرْبَعٍ قَبْلَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ»

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিয়মিত বারো রাকআত সুন্নাত সালাত (নামায/নামাজ) পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসা’দ নির্মাণ করা হবে। যোহরের (ফরজের) আগে চার রাকআত ও (ফরজের) পরে দু রাকআত, মাগরিবের (ফরজের) পরে দু রাকআত, এশার (ফরজের) পরে দু রাকআত এবং ফজরের (ফরযের) পূর্বে দু রাকআত। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১১৪০, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৫১, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৪১৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৭৩০]

عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ صَلَّى فِي يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً، بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ»

আবূ সুফ্ইয়ান কন্যা উম্মু হাবীবা থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি দিনে বারো রাকআত (সুন্নাত) সালাত (নামায/নামাজ) পড়লো, তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসা’দ নির্মাণ করা হয়। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১১৪১, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৫০, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৪১৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৭২৮]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা নামাজ পড়ার উপরোক্ত দুটি নিয়মই সঠিক।
এক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ১ম নিয়মটি উত্তম পদ্ধতি।

শরীয়তের বিধান মতে,  চার রাকাত বিশিষ্ট নফল ও সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা নামাজের প্রথম বৈঠকে দরুদ শরিফ ও দুয়া মাসুরা পড়া উত্তম। এর পর তৃতীয় রাকাতের শুরুতে সানা ও আউজুবিল্লাহও পড়া উত্তম। 

তবে অন্যান্য নামাজ যেভাবে পড়া হয়, সেভাবে আদায় করলেও নামাজও আদায় হয়ে যাবে। যদিও তা উত্তম নিয়ম অনুযায়ী হয়নি। 

উল্লেখ্য যে, চার রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের প্রথম বৈঠকে শুধু তাশাহহুদ পড়তে হয়; দরুদ শরিফ পড়তে হয় না। অনুরূপভাবে তৃতীয় রাকাতের শুরুতে সানা ও আউজুবিল্লাহও পড়তে হয় না।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 16):
(ولا يصلى على النبي صلى الله عليه وسلم في القعدة الأولى في الأربع قبل الظهر والجمعة وبعدها) ولو صلى ناسيا فعليه السهو، وقيل لا شمني (ولا يستفتح إذا قام إلى الثالثة منها) لأنها لتأكدها أشبهت الفريضة (وفي البواقي من ذوات الأربع يصلي على النبي) صلى الله عليه وسلم (ويستفتح) ويتعوذ ولو نذرا لأن كل شفع صلاة.
সারমর্মঃ-
জোহর ও জুম'আর পূর্বের ও পরের সুন্নাত নামাজের ১ম বৈঠকে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উপর দরুদ পাঠ করবেনা, কেহ যদি ভূলক্রমে পড়ে,সেক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু দিতে হবে। 
এই দুই সুন্নাত ব্যাতিত অন্যান্য চার রাকাত বিশিষ্ট সুন্নাত (যেমন, আছর,ঈশার পূর্বে চার রাকাত সুন্নাত) সেক্ষেত্রে ১ম বৈঠকে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উপর দরুদ পাঠ করবে,তৃতীয় রাকাতের শুরুতে সানা ও আউজুবিল্লাহ পড়বে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 460 views
...