আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। নিচের বিষয় গুলো বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম। দয়া করে উত্তর দিবেন..আমি একজন মুফতির সাথে কথা বলেছিলাম উনি বলেছিলেন সমস্যা হবে না,,তাও আপনাদের কাছে সমাধান জানতে চাচ্ছি কোন দ্বিমত আছে কিনা।

১। কোন একদিন স্বামী কেনায়া বাক্য বলার পর স্ত্রী নিয়তের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে কোন নিয়ত ছিল না। তারপর  আরেকদিন স্ত্রী জিজ্ঞেস করে ওইদিন বা অন্য  কোনদিন কোন কেনায়া বাক্য বলার সময় তালাকের বা সত্যি সত্যি ছেড়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করে তার স্বামী কোনকিছু বলেছিল কিনা?? একই প্রশ্ন সে ওইদিন সকালে করার পর স্বামী বলেছিল তার কোন নিয়ত ছিল না।
কিন্তু এইবার স্বামী খুবই বিরক্ত হয় আর উত্তর দেয়," হ্যাঁ বলেছি,,,স্ত্রী বলে এই কথা বললা তুমি?? স্বামী বলে,,, আবার যদি জিজ্ঞেস করো আবারও হ্যাঁ বলবো আর এইবার বললে মন থেকে বলবো কিন্তু"""
তারপর স্ত্রী আর কিছু জিজ্ঞেস করে না কান্না করে,,,  স্বামী বলে কান্না করছো কেন এখন? স্ত্রী বলে তুমি তখন হ্যাঁ বললা? স্বামী তখন অনেক রেগে যায় আর  অনেক  জোড়ে বলে হ্যাঁ বলেছি,,,,,বলেছি আবার জিজ্ঞেস করলে আবারও বলবো,, কারন এই একই প্রশ্নের উত্তর তোমাকে আগেও দিয়েছি। সকালেও একই প্রশ্ন করেছ আমি বলেছি নিয়ত নেই। এখনো কেন জিজ্ঞেস কর তাহলে??

হুজুর এইখানে সে দুইবার হ্যাঁ বলেছি কথাটা বলার কারনে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? এই ঘটনার পর মাথা ঠান্ডা হবার পর সে বলেছে সে বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছিল।  আর পরবর্তীতে অনেকবার বলেছে কখনোঈ কোন নিয়ত করে কেনায়া বাক্য বলেনি।

২। হুজুর কোন স্ত্রী যদি কষ্ট পেয়ে বলে আমি যদি খারাপ হই আমাকে তা-** দিয়ে দাও। তারপর স্বামী খুবই অবাক হয় আর রাগ করে৷ সে বলে"""ছিঃ জিন্নাত,,,,ছিঃ ' আর একটা কথা তুমি বলবা না,, আমি আজ থেকে তুমার জন্য হারা* হয়ে গেছি। ? ছিঃ ছিঃ তুমি আমার বউ,, ভাবতেও অবাক লাগছে"" এইখানে স্বামী নিজেকে হারা* বলার কারনে কি সমস্যা হবে?

সে খুবই কষ্ট পেয়ে কথাগুলো বলেছিল। এইভাবে কথা বলার ফলে কি তার নিয়ত না থাকলেও তা-** পতিত হবে? স্বামী কথাগুলো কষ্ট পেয়ে বলেছিল।

৩। কেনায়া শব্দ বলার সময় নিয়ত না থাকে,, এবং সে বলে তার নিয়ত ছিল না৷ কিন্তু পরবর্তীতে স্ত্রীর জিজ্ঞাসায় বিরক্ত হয়ে যদি কেউ বলে "হ্যাঁ বলেছি/ হ্যাঁ করেছি"" এইসব বলে তাহলে কি এইসব  কথায় কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যায়??
.কমেণ্টে ১ নাম্বার প্রশ্নের মত একটি ঘটনার ফতোয়া আছে। তাই আমিও আপনার কাছে এই বিষয়ে সমাধান চাই...
by (16 points)

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(১.৩)

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
https://ifatwa.info/38427/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে প্রশ্নের বিবরন মোতাবেক এতে তালাক হবেনা।

আরো জানুনঃ 

(০২)
এটি কেনায়া বাক্য।
স্বামী এতে তালাকের নিয়ত করে থাকলে তালাক হয়ে  যাবে।
নতুবা নয়।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...