আসসালামু আলাইকুম হুজুর। নিচের বিষয় গুলো বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম। দয়া করে উত্তর দিবেন..আমি একজন মুফতির সাথে কথা বলেছিলাম উনি বলেছিলেন সমস্যা হবে না,,তাও আপনাদের কাছে সমাধান জানতে চাচ্ছি কোন দ্বিমত আছে কিনা।
১। কোন একদিন স্বামী কেনায়া বাক্য বলার পর স্ত্রী নিয়তের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে কোন নিয়ত ছিল না। তারপর আরেকদিন স্ত্রী জিজ্ঞেস করে ওইদিন বা অন্য কোনদিন কোন কেনায়া বাক্য বলার সময় তালাকের বা সত্যি সত্যি ছেড়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করে তার স্বামী কোনকিছু বলেছিল কিনা?? একই প্রশ্ন সে ওইদিন সকালে করার পর স্বামী বলেছিল তার কোন নিয়ত ছিল না।
কিন্তু এইবার স্বামী খুবই বিরক্ত হয় আর উত্তর দেয়," হ্যাঁ বলেছি,,,স্ত্রী বলে এই কথা বললা তুমি?? স্বামী বলে,,, আবার যদি জিজ্ঞেস করো আবারও হ্যাঁ বলবো আর এইবার বললে মন থেকে বলবো কিন্তু"""
তারপর স্ত্রী আর কিছু জিজ্ঞেস করে না কান্না করে,,, স্বামী বলে কান্না করছো কেন এখন? স্ত্রী বলে তুমি তখন হ্যাঁ বললা? স্বামী তখন অনেক রেগে যায় আর অনেক জোড়ে বলে হ্যাঁ বলেছি,,,,,বলেছি আবার জিজ্ঞেস করলে আবারও বলবো,, কারন এই একই প্রশ্নের উত্তর তোমাকে আগেও দিয়েছি। সকালেও একই প্রশ্ন করেছ আমি বলেছি নিয়ত নেই। এখনো কেন জিজ্ঞেস কর তাহলে??
হুজুর এইখানে সে দুইবার হ্যাঁ বলেছি কথাটা বলার কারনে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? এই ঘটনার পর মাথা ঠান্ডা হবার পর সে বলেছে সে বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছিল। আর পরবর্তীতে অনেকবার বলেছে কখনোঈ কোন নিয়ত করে কেনায়া বাক্য বলেনি।
২। হুজুর কোন স্ত্রী যদি কষ্ট পেয়ে বলে আমি যদি খারাপ হই আমাকে তা-** দিয়ে দাও। তারপর স্বামী খুবই অবাক হয় আর রাগ করে৷ সে বলে"""ছিঃ জিন্নাত,,,,ছিঃ ' আর একটা কথা তুমি বলবা না,, আমি আজ থেকে তুমার জন্য হারা* হয়ে গেছি। ? ছিঃ ছিঃ তুমি আমার বউ,, ভাবতেও অবাক লাগছে"" এইখানে স্বামী নিজেকে হারা* বলার কারনে কি সমস্যা হবে?
সে খুবই কষ্ট পেয়ে কথাগুলো বলেছিল। এইভাবে কথা বলার ফলে কি তার নিয়ত না থাকলেও তা-** পতিত হবে? স্বামী কথাগুলো কষ্ট পেয়ে বলেছিল।
৩। কেনায়া শব্দ বলার সময় নিয়ত না থাকে,, এবং সে বলে তার নিয়ত ছিল না৷ কিন্তু পরবর্তীতে স্ত্রীর জিজ্ঞাসায় বিরক্ত হয়ে যদি কেউ বলে "হ্যাঁ বলেছি/ হ্যাঁ করেছি"" এইসব বলে তাহলে কি এইসব কথায় কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যায়??
.কমেণ্টে ১ নাম্বার প্রশ্নের মত একটি ঘটনার ফতোয়া আছে। তাই আমিও আপনার কাছে এই বিষয়ে সমাধান চাই...