আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
344 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। নিচের ঘটনা গুলোর সমাধান জনতে চাই।
১।হুজুর কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে শত দিতো কোন একটি বিষয়ে কথা না বলতে,,,যেমনঃ স্ত্রীকে স্বামী শর্ত দেয় যাতে  তা***** একটি  ঘটনা নিয়ে তার সাথে কথা না বলে বা এই বিষয়ে সন্দেহ নিয়ে স্বামীকে কিছু না বলে।   তারপর স্ত্রী যদি পরবর্তীতে প্রশ্ন করে """আপনি সেদিন শুধুমাত্র ওই ঘটনার কথা বলতে না করেছিলেন না?? আর শুধুমাত্র ওই বিষয়ের সন্দেহ নিয়ে না বলতে বলেছিলেন না?? """ স্ত্রী এইখানে বিষয়ের নাম উল্লেখ করেনি কিন্তু স্বামী বুঝতে পেরেছিল কোন বিষয় বুঝিয়েছে,,, স্ত্রীর এইভাবে প্রশ্ন করার জন্য কি শত মোতাবেক তা*** পতিত হয়ে যাবে?? স্বামী বলেছিল তা***** একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কথা না বলতে,,,, কিন্তু স্ত্রীতো অই নির্দিষ্ট বিষয়ে স্বামীর কাছে কিছু বলেনি শুধু জিজ্ঞেস করেছে ওই বিষয়ের কথা নিষেধ করেছিল কিনা।।  যদি এইভাবে প্রশ্ন করে তাহলে কি শত কার্যকর হয়ে যাবে বা তা**** পতিত হবে শত মোতাবেক??


২।কোন স্বামী যদি স্ত্রীকে রাগ করে বলে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কথা না বলতে,, বললে ওইদিনই সব শে*.. এই কথা বলার পর স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে স্বামী বলে সে কোন নিয়ত নিয়ে বলেনি বা শত দেয়নি।
কিছুদিন পর স্ত্রী ওয়াসওয়াসায় ভোগে যে স্বামী যে কথা বলেছিল সেটা সে মেনে চলবে যাতে সন্দেহ না আসে। তাই সে স্বামীকে জিজ্ঞেস করে সে ওইদিন "শুধুমাত্র একটি বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছে নাকি এই ধরনের সকল বিষয়ে??"
স্বামী বলে আমিতো  বলেছিলাম কোন নিয়ত করিনি তাহলে কেন জানতে হবে??

স্ত্রী বলে আমি জানি তোমার নিয়ত ছিল না,, শুধু জানতে চাই,,, ওই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছিলে না/??

তারপর স্বামী বলে,," আমি মূলত ওইসব কথাই না বলতে বলেছিলাম,,"  স্বামী এইভাবে উত্তর দেওয়াতে সমস্যা হবে?বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে যেহেতু স্ত্রীর মনে সন্দেহ ছিল?


৩। স্বামীর উত্তর পাওয়ার পর মহিলা আবার ওয়াসওয়াসায় ভোগে স্বামীর কথা কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে কিনা,,, যদি স্বামী  স্ত্রীর কথার উত্তর  দেওয়ার  সময় মনে মনে শর্ত দেওয়ার নিয়তে বলতো,,, তাহলে কি শর্ত হয়ে যেত?? মানে এইটুকু বললে কি শত হয়ে যায় """ ওইদিন মূলত এইসব বিষয়ে কথা না বলতে বলেছিলাম"""" এইটুকু বলার সময় যদি মনে মনে তা*** শত দেওয়ার নিয়ত থাকে তাহলে কি শর্ত হয়ে যাবে নাকি স্পষ্ট করে বলতে হবে??

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ

এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।  

মনে হচ্ছে আপনি অনেকবার এ সংক্রান্ত প্রশ্ন করেছেন। 
আসলে ওয়াসওয়াসা থেকেই আপনি এসব প্রশ্ন করছেন।
পরামর্শ থাকবে ওয়াসওয়াসাকে গুরুত্ব না দেওয়ার।

এ ধরনের বিষয় মাথায় আসলেই অন্য মনস্ক হয়ে যাবেন বা অন্য কোনো কাজে লিপ্ত হয়ে যাবেন।
তালাক সংক্রান্ত মাসয়ালা না পড়ার পরামর্শ থাকবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...