আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আলাইকুম আলাইকুম,

আপনি এর আগের ফাতওয়া তে বলেছিলেন,যদি তা সংরক্ষিত না থাকে তাহলে ছবি নেয়া যেতে পারে।

বিষয়টি অস্পষ্ট!

যেমনটি আমি বলেছিলামঃ উদাহরণস্বরূপ, আমরা সচারাচর সকলেই কম বেশি ফেইসবুক ব্যবহার করে থাকি।অনেকেই অনেক ধরনের পোষ্ট ও করে থাকি।এর মধ্যে কিছু কিছু ছবি আছে যা তে প্রাকৃতিক দৃশ্য বা কুরআনের বানী অথবা এমন কোনো কিছু লিখা থাকে যা হারাম বা অশ্লিল নয়।সেগুলো আমরা উক্ত ছবিটি যার আইডি থেকে পোষ্ট করা হয়েছে তাকে না জানিয়েই ডাউনলোড করে নিজের কাছে রাখি। এটা কি উচিত?যেহেতু আপনি বলেছেন সংরক্ষিত না থাকলে নেয়া যেতে পারে।

আমরা জানি যে, অনলাইনে যে সকল সাধারন ছবি পাওয়া যাও তার বেশিরভাগই সংরক্ষিত নয়!যেগুলো সংরক্ষিত তা কপিরাইট করা থাকে।

১)আমার পূর্বের প্রশ্নের উত্তরে আপনি বলেছিলেন যদি সংরক্ষিত না থাকে তাহলে ছবি তোলা যাবে।কিন্তু বিষয়টি ছবি তোলার সাথে সম্পৃক্ত নয়!

বিষয়টি আমি একজনের অধিনে কাজ করি।আর তার প্রডাক্টস গুলো ফার্নিচারস কভার।এগুলো অনলাইনে এভেইলেবল আছে।সার্চ করলেই চলে আসে।কাজ করার সুবাধে আমার কাছে পন্যের সকল ছবি আছে যেগুলো অন্যান্য পেইজেও আছে (অসংরক্ষিত) আমি এই ছবিগুলো নিজ প্রয়োজন নিত্র চাচ্ছি। মালিকের অনুমতিবিহীন।

তোলা ছবিগুলো নিতে চাচ্ছি।উনিও কারো থেকে কালেক্ট করেছেন।

২) আরেকটি বিষয় যদি এমন না হয়ে থাকে, তাহলে আমি কি অন্য পেইজ থেকে বা অনলাইনের গুগল বা ইয়াহু অথবা আলিবাবা এগুলোতেও পাওয়া যায় ছবি।ওখান থেকে কি নিতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কোনো ছবি সংরক্ষিত থাকলে সেটি নেয়া যাবেনা,কেননা এতে ধোকা হবে।
আর কোনো ছবি সংরক্ষিত না থাকলে নেয়া যেতে পারে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত সেই ছবিগুলো যদি আপনার কাছেই থাকে,তাহলে তো এটি নিজের কাজে ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা নেই।
,
তবে তাহা যদি মালিকের সংরক্ষণে থাকে,আর আপনি তার থেকে নেয়ার সময় তাকে না জানিয়েই নিজে নেন,তাহলে এক্ষেত্রে তাকে না জানিয়ে নিজে তাহা নেয়া বৈধ হবেনা।
তার থেকে অনুমতি নিয়ে সেগুলো নিতে পারবেন।    

(০২)
হ্যাঁ,  অসংরক্ষিত হলে নেয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...