আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
229 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বিয়ের একটা প্রপোজাল এসেছে।প্রস্তাব দিয়েছেন আমাদের পাশের থানার একজন বিশিষ্ট দাঈ যিনি তাবলীগের মেহনতি সাথী এবং আলিম।উনার সাথে আমার ভাইয়ের বন্ধুত্ব।সেই সূত্রে আমাদের পরিবার সম্পর্কে এবং আমার সম্পর্কে জানেন।
পাত্রের পরিবারের সাথেও উনার দীর্ঘদিনের পরিচয়।উনারাও তাবলীগের মেহনতে জড়িত।
তো মাওলানা সাহেব,পাত্রের বাবা এবং আরও দুজন সাথির বিদেশে সফরে যাওয়ার কিছু কাগজপত্র আমার ভাই করেদেন   ফ্রীতে।সেই সূত্রে আমার ভাইয়ের সাথে উনার অনেক কথাবার্তা বলতে হয়।একদিন উনি উনার ছেলের জন্য পাত্রি খোঁজছেন বলেন।কেমন পাত্রি জানতে চাইলে উনি অনেক কথা বলেন।উনাদের প্রচুর  চাহিদা দেখে ভাইয়া আর কিছু বলেননি।(পাত্রের বাবা জানতেন না আমার ব্যাপারে) ভাই সবকিছু মাওলানাকে জানান উত্তরে মাওলানা বলেন উনার চাহিদা অনুযায়ী পাত্রি কোথাও পাওয়া যাবে না।মাওলানাও জানতেন উনি পাত্রি খোঁজছেন অনেকসময় যাবত।

চাহিদা গুলো ছিলঃ-
মেয়ে মাস্তুরাতে সময় লাগানো হতে হবে,ঘরে ইস্তেমায়ি তালিম যেনো চালাতে পারে।সংসার ম্যানেজমেন্ট, রান্নাবান্নার কাজে দক্ষতা,শিক্ষিত,সুন্দরী ফর্সা এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের।ছেলেরা দুই ভাই।ছেলে বড়।পর্দার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন দেবরকে ছোট ভাই হিসেবে দেখার জন্য।ইসলাম এত কঠিন না।

এসব শুনে এখানেই শেষ।
কিন্তু কিছুদিন আগে মাওলানার কাছে আবার ছেলের বিষয়ে বললে মাওলানা ছেলের বাবাকে কিছুটা শাসান আর বলেন যেই মেয়ের বিষয়ে আপনাকে বলতাম তার প্রাপ্য মর্যাদা তো আপনারা দিতে পারবেন না(উনি যেভাবে বলেছেন সেটাই উল্লেখ করলাম)।পরে আমার কথা বললে উনি বার বার মাফ চান আর উনাদের চাহিদাও কমান আর আমার ব্যাপারে আগ্রহ দেখান।

উল্লেখ্য আমি শ্যামবর্ণ, দেখতে অসুন্দর কেউ বলেনি।মাস্তুরাতেও সময় লাগানোর তৌফিক আল্লাহ্ দিয়েছেন প্রায় ১৫ বারের মতো।পরিবার সচ্ছল মধ্যবিত্ত।সামাজিক ভাবে সম্মানিত আলহামদুলিল্লাহ।দুই ভাইবোন।ভাই বিবাহিত।আমি অনার্স শেষ করে আইওএমে পড়ছি।মাহরাম-নন মাহরাম মেনে পর্দা করি আলহামদুলিল্লাহ।
ছেলেরা ঢাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকেন।প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করেন।বেতন মোটামুটি। ছেলে তাবলীগে ৪০ দিন সময় লাগিয়েছেন এসএসসির পর।এর পর মাঝে মধ্যে তিন দিন করে লাগিয়েছেন।নম্র,ভদ্র।
মাওলানা ছেলের ব্যাপারে এবং তার মায়ের ব্যাপারে প্রশংসা করেন। মাওলানার আহলিয়ার সাথে পরিচয় আছে।কিন্তু বাবার ব্যাপারে বলে উনার খুব বেশী কথা বলার অভ্যাস আর রাগী।

এরপর মাওলানা ভাইয়াকে সব জানানোর পর বলেন দেখতে পারেন ছেলেটা ভালো।আমার বাবা,ভাই সহজ সরল  টাইপের মানুষ।
তার পর সপ্তাহ খানেক আগে আমার বাবা,ভাই আর হুজুর উনারা তিনজন ঢাকায় যান ছেলেকে দেখতে আর কিছু খোঁজ নিতে।উনাদের এলাকার
মসজিদের ইমাম সাহেবও প্রায় একই কথা বলেন।ছেলে আর তার মায়ের ব্যাপারে পজিটিভ কিন্তু বাবার ব্যাপারে বাচালতা, রাগ ও আরো কিছু বিষয় বলেন।সামনাসামনিও ছেলের বাবা নিজেদের কি আছে না আছে আর ছেলের ব্যাপারে প্রচুর কথা বলেন।
আর কারো থেকে খোঁজ নিতে পারেননি সময়ের সল্পতায়।ছেলেকে দেখে মোটামুটি পছন্দ হয়েছে উনাদের।

এখন উনারা আসতে চাচ্ছেন এবং ডেইট জানিয়েছেন।আমি ছেলেকে দেখতে যাওয়ার পর থেকে ইস্তেখারা করে যাচ্ছি।
দুইদিন দুটো স্বপ্ন দেখে মন অশান্ত হয়ে আছে।

সংক্ষেপে স্বপ্ন ১.
আমাদের গ্রামের বাড়ি গিয়ে আমাদের বাড়িতে না উঠে আমি পাশের চাচাতো চাচাদের বাড়িতে উঠি।এবং এর কিছুক্ষণ পরেই প্রচন্ড বেগে ঝড় উঠে আর দুইজন চাচার তিনটা ঘড়ের সামনের দিকটা ভেঙে  পড়তে থাকে।আমি একঘড় থেকে আরেকটায় যাই আর এরকম হতে থাকে।খুব ভয় পেয়ে যাই।অনেক্ক্ষণ পর ঝড় থামে আর উনারা ঘর ঠিকঠাক করার কাজে লাগেন।উঠোনে কোমর পানি আর ময়লা পার করে আমি আমাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি ওখানে ঝড়ের কোনো আলামতই নাই।আমি আফসোস করি আর বলতে থাকি কেন ওদের ওখানে গেলাম এখানে থাকলে তো আমার এই বিপদ হতো না।

স্বপ্ন ২.
আমরা আমাদের পূর্বের ভাড়া বাসায় আছি। প্রতিবেশী সামনের বাসাটার বারান্দায় ৫ জন শিশু খেলা করছে।সেখানে হঠাৎ বৈদ্যুতিক তারে ঘর্ষণ লেগে আগুন জলে বোমার মত ফুটে উঠে আর সাথে সাথে একটা শিশুর শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।বাকিরা পড়ে থাকে অচেতন অবস্থায়।
আমি দেখে ছাদে অবস্থানরত তাদের বোনকে জানালে সে ছাদে থেকেই বেয়ে বারান্দায় নামে। আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি এই ভেবে যে সে নিচে পড়ে গেছে।পরে সাহস করে তাকিয়ে দেখি সে বারান্দায় নেমেছে।আর কেউ একজন টুকরো হয়ে যাওয়া দেহটা কাঁথা জাতীয় কিছুর মধ্যে মুড়ে নিচ্ছে।
আমি অত্যন্ত ভয় পেয়ে আমাদের বাসায় তাড়ে এমন হচ্ছে কিনা খুঁজতে থাকি আর বলি আল্লাহ রক্ষা করেছেন আমাদের এখানে সব ঠিক আছে।

এরপরের ইস্তেখারাগুলোতে আর কোনো স্বপ্ন দেখি নি।স্বপ্ন দেখবো এই আশা নিয়েও আমি ইস্তেখারা করিনি।এখনো করে যাচ্ছি আর প্রচুর দু'আ করছি কল্যাণকর ফয়সালার জন্য।

উল্লেখ্য, আমার আশীক জ্বিনের বদনজরের সমস্যা আছে।দীর্ঘদিন রুকইয়াহ করেছি এখন আর করতে পারছি না।তবে যখনই আমার আমল/দু'আ বেড়ে যায় তখনই রাতের ঘুম,নামাজে অনেক সমস্যা  হয়।একা ঘুমাই না তারপরও অনেক ভয় হয়, নানান রকম শব্দ পাই,চোখ বন্ধ করলে মনে হয় কেউ চোখে লাইট মারছে।গা ছমছম করে, অনেক সময় নামাজে থাকলে ছেড়ে দিতে বাধ্য হই।মাঝেমধ্যেই ইবাদতে প্রচুর অনীহা সৃষ্টি হয়।মাদ্রাসার পড়ালেখায়ও অনেক সমস্যা ফেস করছি।বড় কোনো রোগ নেই কিন্তু প্রায়ই অসুস্থতা লেগে থাকে আলহামদুলিল্লাহ।আল্লাহর তৌফিকে দান সাদাকাহ সাধ্যমতো করার চেষ্টা করা হয় নিয়মিত সুস্ততার নিয়্যতে।

আজ আমার ভাই আসার ব্যাপারে ফোন দিলে উনারা ডেইট চেঞ্জ করতে চান বলেন ছেলের খালার চল্লিশায় যাবেন।এটা শুনেও আমার ভালো লাগছে না।এসব বিদ'আতী কর্মকান্ডে তাবলীগের একজন পুরনো সাথি হয়ে কি করে উপস্থিত হচ্ছেন!আর ভাইয়া ছেলের ছবি চাওয়ায় কিছু আত্নীয়দের জন্য,উনিও উনার ওয়াটস এ্যাপে আমার ছবি দিতে বলেন বারবার। উনার আহলিয়ার কাছে পাঠাতে বললেও একটা কথা ছিল!যদিও আমার ভাই ছবি দেবেন না!

আমার মনে বিয়ে ভীতি আছে আশেপাশের অনেক পরিবারের অবস্থা দেখে।বদ নজরের কারণে এমন হয় কিনা জানিনা।
আর একজন দ্বিনদার জীবনসঙ্গী এবং পরিবার চেয়ে অনেক বছর দু'আ করে যাচ্ছি।কিছুদিন আগেও একটা বিয়ের আলোচনা হয় ,ইস্তেখারা করার পর স্বপ্নে দেখি আমার মা সরাসরি বলছেন এখানে বিয়ে হবে না।তারপর ঐ পক্ষ থেকে যোগাযোগ করবে বলেও আর করেনি।

এখন আমি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি,উনাদের আসা না আসা নিয়ে।ভাইয়াকে মারকাযের উস্তাদের কাছে সব বলার জন্য বলেছিলাম।কিন্তু উনার ব্যস্ততার কারণে এখনো সম্ভব হয়নি।তাই আপনাদের দারস্থ হয়েছি।
অনুগ্রহপূর্বক আমাকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন।

জাযাকুমুল্লাহ খইর

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِيَّاكُمْ وَالدُّخُولَ عَلٰى النِّسَاءِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَفَرَأَيْتَ الْحَمْوَ قَالَ الْحَمْوُ الْمَوْتُ.

‘উকবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। এক আনসার জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! দেবরের ব্যাপারে কী হুকুম? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর হচ্ছে মৃত্যুতুল্য। [মুসলিম ৩৯/৮, হাঃ ২১৭২, আহমাদ ১৭৩৫২] ( বুখারী শরীফ ৫২৩২.আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫২)
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার প্রশ্নের পুরোটা পড়েছি,আলহামদুলিল্লাহ। 
এখানে উল্লেখিত স্বপ্ন গুলোর সাথে বিবাহের পজিটিভ বা নেগেটিভ কোনো সম্পর্ক আপাত দৃষ্টিতে দেখছিনা।

তবে এখানে দেবরের বিষয় আর আপনার ছবি পাঠানোর বিষয় সমস্যাকর মনে হয়েছে।
ছবি পাঠাবেননা।
তাদের পরিবারের মেয়ে সদস্যদের আগে এসে দেখতে বলবেন,তারপর পছন্দ হলে ছেলেকে আসতে বলবেন,অন্য কোনো ছেলে যেনো না দেখে , সজাগ থাকবেন।
,
দেবরের সামনে পর্দার বিষয় স্পষ্ট করে নিবেন,যেহেতু দেবর বালেগ পুরুষ ,তাই আপনি আপনার পরিবারের মাধ্যমে  বলে দিবেন যে তার সামনে পূর্ণ পর্দার নিশ্চয়তা দিতে হবে। 

এটা মেনে নিলে আর ছেলে আপনাকে দেখার পর উভয়ের পছন্দ হলে এই বিবাহে আর কোনো সমস্যা দেখছিনা,আলহামদুলিল্লাহ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...