ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِيَّاكُمْ وَالدُّخُولَ عَلٰى النِّسَاءِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَفَرَأَيْتَ الْحَمْوَ قَالَ الْحَمْوُ الْمَوْتُ.
‘উকবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। এক আনসার জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! দেবরের ব্যাপারে কী হুকুম? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর হচ্ছে মৃত্যুতুল্য। [মুসলিম ৩৯/৮, হাঃ ২১৭২, আহমাদ ১৭৩৫২] ( বুখারী শরীফ ৫২৩২.আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫২)
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার প্রশ্নের পুরোটা পড়েছি,আলহামদুলিল্লাহ।
এখানে উল্লেখিত স্বপ্ন গুলোর সাথে বিবাহের পজিটিভ বা নেগেটিভ কোনো সম্পর্ক আপাত দৃষ্টিতে দেখছিনা।
তবে এখানে দেবরের বিষয় আর আপনার ছবি পাঠানোর বিষয় সমস্যাকর মনে হয়েছে।
ছবি পাঠাবেননা।
তাদের পরিবারের মেয়ে সদস্যদের আগে এসে দেখতে বলবেন,তারপর পছন্দ হলে ছেলেকে আসতে বলবেন,অন্য কোনো ছেলে যেনো না দেখে , সজাগ থাকবেন।
,
দেবরের সামনে পর্দার বিষয় স্পষ্ট করে নিবেন,যেহেতু দেবর বালেগ পুরুষ ,তাই আপনি আপনার পরিবারের মাধ্যমে বলে দিবেন যে তার সামনে পূর্ণ পর্দার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
এটা মেনে নিলে আর ছেলে আপনাকে দেখার পর উভয়ের পছন্দ হলে এই বিবাহে আর কোনো সমস্যা দেখছিনা,আলহামদুলিল্লাহ।